সুদানের একটি হাসপাতালে ভয়াবহ হামলায় ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই শিশু এবং চিকিৎসক। মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান  টেডরস আধানম গেব্রেয়েসাস এ তথ্য জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার এক্স-এ তিনি লিখেছেন, “আরেকটি ভয়াবহ হামলা। আমরা এটা জোরে বলতে পারি না যে, স্বাস্থ্যের উপর আক্রমণ সর্বত্র বন্ধ হওয়া উচিত!”

আল-মুজলাদ হাসপাতাল শনিবার হামলার শিকার হ। হাসপাতালটি পশ্চিম কর্ডোফান রাজ্যে অবস্থিত, যেখানে সুদানের যুদ্ধরত পক্ষগুলো তিন বছর ধরে লড়াই করছে।

বিদ্রোহী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) তার প্রতিপক্ষ সুদানের সেনাবাহিনীকে হাসপাতালে আক্রমণের জন্য দায়ী করেছে।

২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানের গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দুর্ভোগের মাত্রা এতটাই বিস্তৃত যে জাতিসংঘ এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকট হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্কের মতে, মুগলাদ শহরের আল-মুজলাদ হাসপাতাল ছিল ‘এই এলাকার একমাত্র কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র।’

রবিবার সুদানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অফিস জানিয়েছে, নিহত ৪০ জনেরও বেশি লোকের মধ্যে ছয়জন শিশু এবং পাঁচজন স্বাস্থ্যকর্মী। এর বাইরে আরো কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে।

সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক এবং জরুরি আইনজীবীদের গ্রুপ উভয়ই জানিয়েছে, শনিবারের হামলার জন্য সুদানী সশস্ত্র বাহিনী দায়ী ছিল।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

হাসপাতালে নেই এন্টিভেনম, ২ সপ্তাহে সাপের কামড়ে মৃত ৫

ঠাকুরগাঁওয়ে সাপের কামড়ে গত দুই সপ্তাহে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে এন্টিভেনম না থাকায় সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন রোগীরা।

সর্বশেষ শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্ত এলাকার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের স্কুলছাত্র সাকিবুল ইসলাম (পঞ্চম শ্রেণি) বিষধর সাপের কামড়ে মারা যায়।

জানা যায়, সাপে কামড়ানোর পর তাকে প্রথমে বালিয়াডাঙ্গী, পরে হরিপুর, এরপর ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল এবং সবশেষে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এসব হাসপাতালের কোথাও এন্টিভেনম মজুত ছিল না। পরে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় সাকিবুলের।

সাকিবুলের বাবা ইসরাইল উদ্দীন বলেন, “চারটা হাসপাতালে নিয়েও ভ্যাকসিন পাইনি। কোলের উপরেই ছেলেকে হারালাম। আর যেন কোনো বাবার বুক খালি না হয়, সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিক।”

অন্যদিকে, সাকিবুলের মতো পীরগঞ্জের স্কুলছাত্র তারেক, রাণীশংকৈলের কলেজছাত্র মোকসেদ আলী এবং হরিপুরের গৃহবধূ সম্পা রানীসহ গত দুই সপ্তাহে জেলায় সাপের কামড়ে মারা গেছে অন্তত পাঁচ জন।

সম্পা রানীর স্বামী জিতেন বলেন, “হাসপাতালে ভ্যাকসিন না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ওঝার কাছে যেতে হয়েছে। তবুও স্ত্রীকে বাঁচাতে পারিনি। দেড় বছরের সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছি।”

স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আজমুল হক বলেন, “বর্ষার সময়ে সাপের কামড়ের ঘটনা বেশি হয়। প্রতি বছর জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে ভ্যাকসিন পাঠানো হয় বর্ষা শেষের দিকে। অথচ আগে থেকেই মজুত রাখা উচিত।”

ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. মো. আনিছুর রহমান বলেন, “চাহিদা পাঠানোর পরও কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে এন্টিভেনম পাওয়া যায়নি। সেখানেও সংকট রয়েছে। চেষ্টা করছি দ্রুত আনার।”

সাপের কামড়ে মৃত্যুর এই ধারাবাহিক ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামাঞ্চলে। চিকিৎসক ও সচেতন মহল বলছে, বর্ষার শুরুতেই প্রতিটি উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত এন্টিভেনম সরবরাহ করতে হবে।

ঢাকা/হিমেল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ