সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলা: দুদক চেয়ারম্যান
Published: 24th, June 2025 GMT
হয়রানি নয়, বরং সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
চিঠিপত্রের মাধ্যমে টিউলিপ মামলা নিষ্পত্তি করতে চাইছেন জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “অপরাধী যে দেশে অপরাধ করবে তাকে সে দেশেই তা মোকাবিলা করতে হবে। এখন মনে হচ্ছে, (টিউলিপ) সম্ভবত চিঠিপত্রের মাধ্যমে মামলা মোকাদ্দমা নিষ্পত্তি করতে চাইছেন। এটি তো হবার কথা নয়। কোর্টে মামলা হচ্ছে, টিউলিপ সিদ্দিককে কোর্টে হাজির হয়ে মামলা মোকাবিলা করতে হবে।”
আরো পড়ুন:
শরীয়তপুরে সদর হাসপাতালে দুদকের অভিযান
অবৈধ সম্পদ: সাবেক এমপি জিয়াউরের বিরুদ্ধে মামলা
টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলা কোনো ‘রাজনৈতিক মামলা নয়’ জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “এটি কোনো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা নয়, কাউকে ছোট করার মামলা নয়। অনেক আসামির মতো টিউলিপ সিদ্দিকও একজন অভিযুক্ত। আমাদের এরচেয়েও অনেক বড় মামলা আছে।”
টিউলিপের আইনজীবী সম্প্রতি দুদকে একটি চিঠি (উকিল নোটিশ) পাঠিয়েছেন। সেখানে টিউলিপ দাবি করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ও দুদক ব্রিটেনের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে।
এ প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “দুদকের কার্যপরিধিতে রাজনীতিতে যাওয়ার সুযোগ নেই।”
টিউলিপকে আবারও বাংলাদেশি নাগরিক উল্লেখ করে মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, “তিনি আমাদের কাছে বাংলাদেশের নাগরিক। তার জাতীয় পরিচয়পত্র আছে। তার টিআইএন আছে। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে মামলা করেছি। আমার বিশ্বাস, তিনি বাংলাদেশের আইন মেনে মামলা মোকাবিলা করবেন।”
যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক বাস্তবতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ব্রিটেনের রাজনীতি কি এতই ভঙ্গুর যে তার দেশের একজনের নামে মামলা হলো, আর তাতেই ব্রিটেনের সরকার ও রাজনীতি একেবারে ধসে পড়বে, এটা কি হতে পারে?”
টিউলিপের আইনজীবীকে ‘শব্দচয়নে সচেতন’ হবার আহ্বান জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “তারা নিজেদের দেশকে ছোট করছেন। প্রমাণ করছেন ব্রিটেনের রাজনীতি ভঙ্গুর। আমাদের হস্তক্ষেপের কী আছে। দুদকের কার্যপরিধিতে রাজনীতিতে যাওয়ার সুযোগ নেই।”
তিনি বলেন, “টিউলিপ গোড়া থেকেই সবকিছু জানেন। এজন্যই মন্ত্রীর পদ থেকে তাকে সরে যেতে হয়েছে। টিউলিপের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা আছে। তার অনুপস্থিতে বিচার চলবে।”
এর আগে গত ২৩ জুন ড.
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট উল প স দ দ ক য ন বল ন র জন ত ত র র জন ত ট উল প র
এছাড়াও পড়ুন:
ডাক্তারদের হাতের লেখা ঠিক করার নির্দেশ দিলো আদালত
এমন এক সময়ে যখন বেশিরভাগ মানুষ লেখার জন্য কিবোর্ড ব্যবহার করে, তখন হাতের লেখা কি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ? ভারতীয় আদালতের মতে, অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, যদি সেই লেখক হন একজন চিকিৎসক।
ডাক্তারদের বাজে হাতের লেখা নিয়ে ভারতসহ সারাবিশ্বেই রসিকতা করা হয়। কারণ অনেক ক্ষেত্রে এই লেখা কেবল ফার্মাসিস্টরাই বুঝতে পারেন, রোগী কিংবা অন্য কেউ নয়। কিন্তু স্পষ্ট হাতের লেখার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট সম্প্রতি একটি আদেশ জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘মেডিকেল প্রেসক্রিপশন পাঠ একটি মৌলিক অধিকার।’ কারণ এটি জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য তৈরি করতে পারে।
আদালতের এই আদেশ এমন একটি মামলায় এসেছে, যেখানে লিখিত শব্দের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। মামলায় একজন নারীকে ধর্ষণ, প্রতারণা এবং জালিয়াতির অভিযোগ ছিল এবং বিচারপতি জসগুরপ্রীত সিং পুরি জামিনের জন্য পুরুষের আবেদনের শুনানি করছিলেন।
ওই নারী অভিযোগ করেছিলেন, লোকটি তাকে সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, তার ভুয়া সাক্ষাৎকার নিয়েছে এবং তাকে যৌন শোষণ করেছে।
অভিযুক্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তাদের সম্মতিতে সম্পর্ক ছিল এবং অর্থ নিয়ে বিরোধের কারণে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
বিচারপতি পুরি জানান, যখন ওই নারীকে পরীক্ষা করা এক সরকারি চিকিৎসকের মেডিকেল রিপোর্টটি দেখেন, তখন এর কিছুই তিনি বুঝতে পারেননি।
বিচারপতি তার আদেশে লিখেছেন, “এটি এই আদালতের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। কারণ একটি শব্দ বা একটি অক্ষরও স্পষ্টভাবে পড়া যায়নি।”
বিবিসি রায়ের একটি কপি দেখেছে যার মধ্যে প্রতিবেদন এবং দুই পৃষ্ঠার একটি প্রেসক্রিপশন রয়েছে। পুরো প্রেসিক্রিপশন ও রিপোর্ট অপাঠ্য।
বিচারপতি পুরি লিখেছেন, “যেহেতু প্রযুক্তি ও কম্পিউটার সহজলভ্য, তবুও এটা অবাক করার মতো যে সরকারি ডাক্তাররা এখনো হাতে প্রেসক্রিপশন লিখছেন যা সম্ভবত কিছু রসায়নবিদ ছাড়া অন্য কেউ পড়তে পারে না।”
আদালত সরকারকে মেডিকেল স্কুলের পাঠ্যক্রমের মধ্যে হাতের লেখার পাঠ অন্তর্ভুক্ত করতে এবং ডিজিটালাইজড প্রেসক্রিপশন চালু করার জন্য দুই বছরের সময়সীমা নির্ধারণ করতে বলেছে।
বিচারপতি পুরি জানিয়েছেন, যতদিন না এটি বাস্তবায়ন না হয়, ততদিন পর্যন্ত সব ডাক্তারকে বড় অক্ষরে স্পষ্টভাবে প্রেসক্রিপশন লিখতে হবে।
ঢাকা/শাহেদ