বাংলাদেশের হেড কোচ ফিল সিমন্স ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, উইকেট দেখে ভালো মনে হয়েছে। অনেকটা গলের মতো। যার অর্থ ব্যাটিং বান্ধব। লঙ্কান অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাও জানিয়েছেন, উইকেট দেখে ফ্লাট মনে হয়েছে।  

এমন উইকেট ভাঙলে তৃতীয়-চতুর্থ দিনে স্পিনাররা সুবিধা পান। তারপরও কলম্বো টেস্টে পেসারদের ওপর বাজি ধরতে চান স্বাগতিক দলের অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। কলম্বো টেস্টে তিন পেসার নিয়ে খেলতে চান তিনি। ক্ষণে ক্ষণে বদলে যাওয়া কন্ডিশনের সুবিধা নিতে চান। 

বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নে ডি সিলভা বলেন, ‘আমরা আশা করছি, তিন পেসার নিয়ে খেলবো। কিন্তু নিশ্চিত করে বলা কঠিন। উইকেট ফ্লাট মনে হচ্ছে। সময়ে সময়ে উইকেট বদলেও যাও। এমন উইকেটে পেসারদের খেলানো সহজ নয়। দেখা যাক আগামীকাল সকালে উইকেট কেমন থাকে।’ 

বাংলাদেশের বিপক্ষে গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে দুই লঙ্কান পেসার ৬ উইকেট নেন। গত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রেও বাংলাদেশ সফরে এসে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন লঙ্কান পেসাররা। এছাড়া ঘরের বাইরের সিরিজে তিন পেসার নিয়ে খেলতে হবে। সেটার প্রস্তুতিও দরকার মনে করেন ডি সিলভা। সব মিলিয়ে তিনি তিন পেসার খেলানোর পক্ষে। 

লঙ্কান অধিনায়ক বলেন, ‘পেসাররা কীভাবে ৭০ শতাংশ উইকেট নিতে পারে তা নিয়ে আমরা কথা বলেছি। আগের সিরিজেও পেসাররা সেটা করতে পেরেছিলেন।’ কথার সঙ্গে কাজে মিল থাকলে বুধবার শুরু হওয়া টেস্টে শ্রীলঙ্কার একাদশে কাসুন রাজিথার সঙ্গে একাদশে থাকতে পারেন বিশ্ব ফার্নান্দো ও আসিথা ফার্নান্দো।

এছাড়া অ্যাঞ্জেল ম্যাথুস অবসর নেওয়ার চারে ব্যাটিং করা প্রসঙ্গে নিজের ক্যাপটাই ছুড়ে দিলেন ডি সিলভা। প্রথমে মজা করে উত্তর দিলেও তিনিই চারের জন্য নিজেকে বিবেচনা করছেন বলে উল্লেখ করেন, ‘আপনারা যদি মনে করেন আমি যোগ্য তাহলে চারে নামতে পারি। আমিই ওই পজিশনে ব্যাটিং করার কথা ভাবছি।’  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ভবিষ্যতে কি–বোর্ড ও মাউস ছাড়াই চলবে কম্পিউটার, জানাল মাইক্রোসফট

কি–বোর্ড বা মাউস নয়, ভবিষ্যতে কণ্ঠস্বর, হাতের ইশারা বা চোখের মণি নড়াচড়া করেই উইন্ডোজ কম্পিউটার চালানো যাবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট। সম্প্রতি ইউটিউবে প্রকাশিত ‘মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ২০৩০ ভিশন’ শীর্ষক ভিডিওতে আগামী পাঁচ বছরে উইন্ডোজ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা কীভাবে বদলে যাবে, সে ধারণা তুলে ধরেছে প্রতিষ্ঠানটি।

ভিডিওতে মাইক্রোসফটের এন্টারপ্রাইজ ও অপারেটিং সিস্টেম সুরক্ষা বিভাগের করপোরেট ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিড ওয়েস্টন বলেন, আজকের প্রজন্মের কাছে ডিস্ক অপারেটিং সিস্টেম যেমন অপরিচিত, তেমনি আগামী দিনে মাউস চালানো বা কি–বোর্ডে টাইপ করা ঠিক ততটাই অচেনা মনে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে মানুষ কম্পিউটারের সঙ্গে চোখ দিয়ে কম কাজ করবে। বেশি কাজ করবে কথা বলে। ব্যবহারকারী ও যন্ত্রের মধ্যে কথোপকথনের মাধ্যমেই যোগাযোগ তৈরি হবে। ভবিষ্যতের উইন্ডোজ হবে বহুমাত্রিক, যার সঙ্গে ব্যবহারকারী কণ্ঠস্বর, হাতের ইশারা বা চোখের দৃষ্টিতে কথা বলার মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন। এই ভবিষ্যৎ চিত্র অনেকের কাছেই এখন কল্পবিজ্ঞানের মতো মনে হতে পারে, তবে প্রযুক্তি খাতে মাইক্রোসফটের চলমান বিনিয়োগ এই ধারণাকে বাস্তবের পথে এগিয়ে নিচ্ছে।

গত কয়েক বছরে মাইক্রোসফট তার বিভিন্ন পণ্যে এআই ফিচার ‘কোপাইলট’ যুক্ত করেছে। এটি এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে উইন্ডোজ ও অফিস সফটওয়্যারে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন কাজ সহজ করে দিচ্ছে। সম্প্রতি চালু হওয়া ‘হে কোপাইলট’ ফিচারের মাধ্যমে কণ্ঠস্বরে নির্দেশ দিয়েই ব্যবহারকারী উইন্ডোজের বিভিন্ন সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন কিংবা ইন্টারনেট থেকে তথ্য খুঁজে নিতে পারেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির উন্নতির কারণে কম্পিউটার ও ল্যাপটপের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে ওয়েস্টন জানান, এআই প্রযুক্তি রুটিন ধরনের কাজ যেমন হিসেব তৈরি, ব্যয়ের রিপোর্ট বা স্প্রেডশিট বানানো এসবের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দেবে। এতে ব্যবহারকারীরা সময় বাঁচাতে পারবেন এবং বেশি মনোযোগ দিতে পারবেন সৃজনশীল ও তাৎপর্যপূর্ণ কাজে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ