মিরাজ ফিরলে কলম্বো টেস্টের একাদশ কেমন হবে
Published: 24th, June 2025 GMT
ভাইরাল জ্বর কাটিয়ে উঠেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। গল টেস্ট শেষ হওয়ার আগেই এককভাবে অনুশীলন শুরু করেছিলেন তিনি। কলম্বোয় নিজেকে ঝালিয়ে নিয়েছেন। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে শুরুর একাদশে ফিরতে যাচ্ছেন ডানহাতি এই অফ স্পিন অলরাউন্ডার।
মিরাজ ফিরলে খুব সহজ হিসেবে কলম্বো টেস্টের একাদশ থেকে বাদ পড়বেন ডানহাতি স্পিনার নাঈম হাসান। গল টেস্টে তিনি প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেও উইকেট সমর্থন না দিলে অর্থাৎ তিন স্পিনার না খেলালে বেঞ্চে বসতে হবে তাকে।
কলম্বোর উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের হেড কোচ ফিল সিমন্স ও লঙ্কান অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা যে বার্তা দিয়েছেন, তাকে স্পিনার বেশি খেলানোর সুযোগ কম। বরং শ্রীলঙ্কা পেস বোলিংয়ে বাজি ধরতে চায়। দলে পেসারের প্রাচুর্য থাকায় একই পরিকল্পনা নিতে পারে বাংলাদেশ দলও।
তিন পেসার নিলে এক ব্যাটার কম নিয়ে খেলতে হবে বাংলাদেশের। সেক্ষেত্রে মিরাজ ফেরায় লোয়ার অর্ডারের জাকের আলী বেঞ্চে বসতে পারেন। একাদশে ঢুকতে পারেন পেসার এবাদত হোসেনও। অবশ্য দুই পেসার নিয়ে খেললেও এবাদতের কলম্বো টেস্টে খেলার ভালো সুযোগ আছে।
তরুণ পেসার নাহিদ রানাকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। গল টেস্টে খুব একটা ভালো করেননি তিনি। এবাদত ইনজুরিতে লম্বা সময় মাঠের বাইরে ছিলেন। একাদশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন তিনি। ইনজুরির আগে টেস্ট দলের প্রথম পছন্দের পেসার ছিলেন এই ডানহাতি।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: এনামুল বিজয়, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, নাজমুল শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মেহেদী মিরাজ, জাকের আলী, তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, এবাদত হোসেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কলম ব
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।