ইরানে ইসরায়েলের গোয়েন্দা তৎপরতার জাল কতটা বিস্তৃত
Published: 25th, June 2025 GMT
ইরানে সাম্প্রতিক হামলায় গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি ও শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের নিশানা করার পেছনে বহু বছর ধরে গড়ে তোলা গোয়েন্দা পরিকল্পনা ছিল– এমনটাই জানাচ্ছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো।
ইসরায়েলের হামলায় ইরানের প্রতিরক্ষা অবকাঠামোর বড় অংশ ধ্বংস হয়েছে ও বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এসবের নেপথ্যে রয়েছে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। সংস্থাটির দাবি, তারা ইরানের নিরাপত্তা কাঠামোর বড় অংশেই অনুপ্রবেশ করতে পেরেছে। ইরানের ভেতরে অনেককে মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করা, ইসরায়েলের পক্ষে প্রচারণা চালানো কিংবা জনমতকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কয়েক দিন আগে ইরান সরকার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা টিমকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন ইন্টারনেট-সংযুক্ত স্মার্টফোন ব্যবহার না করে, যাতে ইসরায়েলি হ্যাকিং থেকে গোপন তথ্য রক্ষা করা যায়। ইতোমধ্যে ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা জনগণকে অনুরোধ করেছে, গত কয়েক বছরে তারা কোনো ভবন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দিয়ে থাকলে, সে সম্পর্কে যেন কর্তৃপক্ষকে জানান।
মোসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইরানে এ ধরপাকড় শুরু হয়েছে ইসরায়েলের নজিরবিহীন গোয়েন্দা অভিযানের জের ধরে। তাদের এ গোয়েন্দা অভিযানের ফলেই ইরানে বেছে বেছে ইসরায়েল হামলা করতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইরানে ইসরায়েলের হামলায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মোসাদের গোয়েন্দারা। হামলার পরপরই আন্তর্জাতিক ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমে বন্যার মতো ছড়িয়ে পড়ে ইসরায়েলি গোয়েন্দা তৎপরতার নানা বিবরণ।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানান, কীভাবে মানব গোয়েন্দা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) একসঙ্গে ব্যবহার করে আঘাত হানা হয়েছে, যার ফলে ইরানের বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
হামলার পর গত ১৭ জুন এপি ইসরায়েলি গোয়েন্দা ও সামরিক বাহিনীর ১০ কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে। মোসাদের সাবেক গবেষণা পরিচালক সিমা শাইন এপিকে বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে নিশানা করার জন্য মোসাদ বহু বছর ধরে যে পরিকল্পনা করে আসছিল, এ হামলা ছিল তারই চূড়ান্ত রূপ। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র ইসর য় ল ইসর য় ল র কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে চোরাকারবারিদের নৌকার ধাক্কায় টহল নৌকা ডুবে বিজিবি সদস্য নিখোঁজ
সিলেটের গোয়াইনঘাটে ভারতীয় চোরাকারবারিদের নৌকার ধাক্কায় বিজিবির টহল নৌকা ডুবে এক বিজিবি সদস্য নিখোঁজ হয়েছেন।
আজ শনিবার বিকেল ৫টার দিকে গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়নের আহারকান্দি আমবাড়ী এলাকায় ইছামতী নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ বিজিবি সদস্য মাসুম বিল্লাহ সিপাহি হিসেবে কর্মরত।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার বিকেলে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর ও পশ্চিম জাফলং দিয়ে বয়ে যাওয়া পিয়াইন নদের অংশ ইছামতী নদীতে নৌকায় টহল দিচ্ছিলেন বিজিবি সদস্যরা। বিকেল ৫টার দিকে পন্নগ্রাম ও আমবাড়ীর মধ্যবর্তী স্থানে নৌকাযোগে দুই বিজিবি সদস্য ভারতীয় চোরাচালানের পণ্য পরিবহন করা নৌকাকে ধাওয়া দেন। একপর্যায়ে চোরাচালানের পণ্য বোঝাই নৌকার ধাক্কা লেগে দুটি নৌকাই পানিতে ডুবে যায়। এ সময় বিজিবির টহল নৌকায় থাকা এক সদস্য ও মাঝি তীরে উঠতে পারলেও সিপাহি মাসুম বিল্লাহ উঠতে পারেননি। নিখোঁজের পর থেকে স্থানীয় লোকজন নদীতে নেমে প্রথমে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। পরে খবর পেয়ে বিজিবি, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও নদীতে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন।
৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক জানান, ভারতীয় চোরাই পণ্যবাহী নৌকার ধাক্কায় টহল নৌকা ডুবে গিয়ে এক সিপাহি নিখোঁজ রয়েছেন।
সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার মো. তোফায়েল আহমদ রাত সোয়া আটটার দিকে বলেন, নিখোঁজ বিজিবি সদস্যকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।