নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর ন্যাটো সমকক্ষরা সম্মেলনে যোগ দিতে নেদারল্যান্ডে মিলিত হয়েছেন। তবে আমন্ত্রিত গুরুত্বপূর্ণ চার দেশ জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের নেতারা সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না বলে জানা গেছে।

এ সম্মেলনে বিশ্বের বৃহত্তম নিরাপত্তা সংস্থাটির জন্য নতুন প্রতিরক্ষা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়ে এর ৩২টি সদস্য দেশ ঐক্যবদ্ধ হতে পারে অথবা তাদের মধ্যে বিভেদ আরও বাড়তে পারে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন। এ ছাড়া পশ্চিমা সামরিক জোটের এই বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড– ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের তিন গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দেশের নেতারাও।

এ ধরনের সমন্বিত অনুপস্থিতি একদিকে যেমন ন্যাটোর সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভবিষ্যৎ অংশীদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তেমনি আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে একটি বড় সংকেত হিসেবেও দেখা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য সংকট ও চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে সফর বাতিলের সিদ্ধান্তকে অনেকেই কৌশলগত হিসেবেই দেখছেন।  এদিকে সম্মেলনের এক ফাঁকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন ট্রাম্প। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্সির সূত্র জানায়, দুই পক্ষের টিম বৈঠকের বিস্তারিত চূড়ান্ত করছে। বৈঠকটি স্থানীয় সময় দুপুরের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ বৈঠকে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও কিয়েভের জন্য অস্ত্র সংগ্রহের বিষয়ে আলোচনা হবে। খবর এএফপির।

 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদে ছাড় নয়

জুলাই সনদের ক্ষেত্রে সরকারকে এক বিন্দুও ছাড় দেবেন না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গত এক বছর ছাড় দিয়েছি। জুলাই ঘোষণাপত্রে ছাড় দিয়েছি। জুলাই সনদে কোনো ছাড় হবে না। এক পার্সেন্ট ছাড়ও জুলাই সনদে দেওয়া হবে না।’

আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার এনসিপির যুব সংগঠন জাতীয় যুব শক্তি আয়োজিত ‘জাতীয় যুব সম্মেলন ২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যে মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা জনগণের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, যে নতুন বন্দোবস্তের কথা আমরা বলেছি, সেটিতে গণতন্ত্র নিশ্চিত হবে, স্বৈরাচার আর ফিরে আসতে পারবে না। রাষ্ট্রকাঠামোকে গণতান্ত্রিক হিসেবে গড়ে তুলব। সে জুলাই সনদে আমরা এক বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেব না।’

নাহিদ বলেন, বাংলাদেশের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে স্থিতিশীলতা এবং জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা। যদি রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে না পারে, দেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে নিজেদের মধ্যে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা তৈরি না হয়, তাহলে আরেকটি এক–এগারো আসবে। কারণ, ইতিহাসে এটাই দেখা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, সমীকরণ এখনো শেষ হয়ে যায় নাই। ফলে যারা এখনই সমীকরণ মিলিয়ে ফেলছে, তারা ভুল পথে হাঁটছে। গণ-অভ্যুত্থানের শক্তি এখনো রাজপথে আছে।’

আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে এনসিপির যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তি আয়োজিত ‘জাতীয় যুব সম্মেলন ২০২৫’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ