চেলসিকে পেছনে ফেলে গ্রুপসেরা ব্রাজিলিয়ান ক্লাব, নকআউটে পেল বায়ার্নকে
Published: 25th, June 2025 GMT
ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের অপরাজিত যাত্রা ধরে রেখে গ্রুপসেরা হয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে ফ্ল্যামেঙ্গো। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করা ফ্ল্যামেঙ্গো আজ ১-১ গোলে ড্র করেছে স্বাগতিক দেশের ক্লাব লস অ্যাঞ্জেলস এফসির (এলএ এফসি) বিপক্ষে।
ফ্লোরিডার ক্যাম্পিং ওয়ার্ল্ড স্টেডিয়ামে ম্যাচজুড়ে দাপুটে ফুটবল উপহার দেয় ফ্ল্যামেঙ্গো। তবে বল দখল ও আক্রমণে আধিপত্য বিস্তার করলেও ফিনিশিংয়ে ভালো করতে পারেনি তারা।
১৯ শটের ৪টি লক্ষ্যে রেখে গোল করতে পেরেছে মাত্র ১টি। এমনকি ম্যাচে ৮৪ মিনিটে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে হারের শঙ্কায়ও পড়েছিল ফ্ল্যামেঙ্গো। যদিও শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি। ২ মিনিট পর ওয়ালেসে ইয়ানের গোলে সমতা ফিরিয়ে ম্যাচ ড্র করে তারা।
আরও পড়ুনক্লাব বিশ্বকাপে ব্রাজিল যেখানে ১০০–তে ১০০ ২৩ জুন ২০২৫আজ জিততে না পারলেও ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা হয়েছে ফ্ল্যামেঙ্গো। সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবে ফ্ল্যামেঙ্গোর সঙ্গী হয়েছে সাবেক ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন চেলসি। এর আগে চেলসিকে হারিয়ে চমক উপহার দিয়েছিল ফ্ল্যামেঙ্গো। শেষ ষোলোয় ফ্ল্যামেঙ্গোর প্রতিপক্ষ গ্রুপ ‘সি’তে রানার্সআপ বায়ার্ন মিউনিখ। ২৯ জুন রাত ২টায় মুখোমুখি হবে দুই দল।
বায়ার্ন–বেনফিকা ম্যাচের একটি মুহূর্ত.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে
প্রযুক্তির উৎকর্ষের মধ্যেও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে প্রায়ই বিকৃতভাবে বা ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। গুগলে ‘ইনডিজেনাস পিপল’ লিখে খোঁজা হলে মাঝেমধ্যে এমন ছবি দেখানো হয়, যা তাদের ‘আদিম’, ‘বন্য’, ‘বর্বর’, ‘জংলি’ ও ‘হিংস্র’ আকারে উপস্থাপন করে।
সোমবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এমন অভিযোগ করেন। ‘আদিবাসী নারীর অধিকার রক্ষা ও ভবিষ্যৎ গড়ার লড়াইয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক।
আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী ত্রিপুরা। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের ঘিরে এমন উপস্থাপনের প্রভাব নারীদের ওপরও পড়বে।
মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির বলেন, দেশে জাতিসংঘের অনেকগুলো দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হলেও আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করা হয় না। তিনি বলেন, বুঝুক আর না বুঝুক বাংলাদেশ জাতিসংঘের বিভিন্ন কনভেনশনকে তড়িঘড়ি করে সমর্থন করে। কিন্তু এই কনভেনশনকে সমর্থন করেনি। সরকার বুঝেশুনেই সমর্থন করেনি। আগের সরকার বলেছে, বাংলাদেশে আদিবাসী নেই, এই সরকারও আদিবাসীদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না।
একটাই ধর্ম ও জাতিসত্তা থাকবে, এমন মনোভাব কাম্য নয় উল্লেখ করে এই মানবাধিকারকর্মী বলেন, ‘কিসের ভয়ে আমরা দেশে ভিন্ন ধর্ম, চিন্তা ও জাতিসত্তার মানুষকে থাকতে দেব না? কে অধিকার দিয়েছে যে একটি মাত্র মতবাদ, চিন্তা, ভাষা জাতি ও ধর্ম থাকবে? রাষ্ট্রের জন্য এটা কাম্য হতে পারে না।’
চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে সমতল ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ করে খুশী কবির বলেন, অভ্যুত্থানের পরে আর নারীদের কোনো অংশগ্রহণ নেই। নারী কমিশন গঠন করা হয়। কিন্তু কমিশনের কোনো কিছু গ্রহণ করা হয়নি। এর অর্থ সরকার নারীদের ভয় পায়। এই অবস্থা টিকে থাকার জন্য অভ্যুত্থান হয়নি। তাই অধিকার আদায়ে নারীদের শক্ত ভূমিকা রাখতে হবে। এখনই উত্তম সময়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির ছবি: প্রথম আলো হেডিং: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে