ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুল ছেঁড়া নিয়ে সংঘর্ষ-অগ্নিসংযোগ, আহত ৩০
Published: 25th, June 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় ফুল ছেঁড়া নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে দোকান, বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। একটি বাড়িতেও আগুন দেয়া হয়। এতে পুলিশ সদস্যসহ ৩০ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে সংঘর্ষ হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে বুধবার (২৫ জুন) সকাল থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ১০-১২ দিন আগে বাহাদুরপুর গ্রামের মহাজন বাড়ি ও সরকার বাড়র মধ্যে ফুটবল খেলা নিয়ে ঝগড়া হলে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়। মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওই দুই গোষ্ঠীর ছেলেদের মধ্যে আবারো ফুটবল খেলা চলছিল। এ সময় স্থানীয় মহাজন বাড়ির নরুল হকের ছেলে ইয়াছিন পাশের একটি কবরস্থান থেকে ফুল ছিঁড়ে নিয়ে আসে। এরপর সরকার বাড়ির ফাইজুর রহমানের ছেলে আসিফ স্কুলের আঙিনা থেকে একটি ফুল ছেঁড়ে। এ সময় ফুল ছেঁড়া নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরববর্তীতে এ বিষয়টি গ্রামের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
আরো পড়ুন:
ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫
নড়াইলে জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ১০
এ সময় মহাজন বাড়ির পক্ষ মোল্লা বাড়ি, আছিরের বাড়ি এবং সরকার বাড়ির পক্ষে জাকির মিয়ার বাড়ি সংর্ঘষে অংশ নেয়। রাতে দুইপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করলে ইটপাটকেলের আঘাতে তাদের ব্যবহৃত সরকারি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশের পাশাপাশি সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
ঢাকা/পলাশ/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ন হত স ঘর ষ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
একাদশে ভর্তিতে আবেদনের সময় বৃদ্ধি, পছন্দ সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ
২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তিতে ১ম পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের আবেদনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা আগামী শুক্রবার (১৫ আগস্ট) পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। ওই দিন রাত ৮টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
প্রথম ধাপে অনলাইনে একাদশে ভর্তির আবেদনের শেষ দিন ছিল আজ সোমবার, ১১ আগস্ট। ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে আগের সূচি অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে ২০ আগস্ট। নির্বাচিতদের ফল প্রকাশের পরই দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়েও আবেদন করা যাবে। যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তির কাজ হবে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। আর একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।
এর আগে গত ২৪ জুলাই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবারও আগের নিয়মেই আবেদন গ্রহণ ও ভর্তির কাজটি করা হবে। একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে কোনো বাছাই পরীক্ষা হবে না (ঢাকার নটর ডেম কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা নিয়ে আসছে)। এসএসসি ও সমমানের ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
আরও পড়ুনএসএসসিতে ফলাফল পুনর্নিরীক্ষণ: ঢাকা বোর্ডে নতুন জিপিএ-৫ পেল ২৮৬, ফেল থেকে পাস ২৯৩১০ আগস্ট ২০২৫অনলাইনে আবেদন যেভাবে—অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদন করতে হবে শিক্ষার্থীদের। অনলাইন ছাড়া ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন করা হবে না। শিক্ষার্থীদের আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২২০ টাকা। এ ফি দিয়ে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দ দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে, তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটিমাত্র কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হবে।
তবে যেসব শিক্ষার্থী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, তারা বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান ও বিকেএসপি থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে বোর্ড প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থীর ভর্তির ব্যবস্থা করবে।
গ্রুপ নির্বাচন যেভাবে হবে—বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণরা এ দুই গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবে। দাখিল উত্তীর্ণ বিজ্ঞান গ্রুপের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি ও সাধারণ গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন। ভর্তির জন্য কোনো পরীক্ষা হবে না, শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।
আরও পড়ুনগ্লাসগো ইউনিভার্সিটিতে এমবিএ স্কলারশিপ৩ ঘণ্টা আগেতিন ধাপে আবেদন ও ফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস কবে—প্রথম ধাপে অনলাইনে একাদশে ভর্তির আবেদনের শেষ দিন ছিল ১১ আগস্ট পর্যন্ত। এখন চারদিন সময় বৃদ্ধি করা হলো। এখন ১৫ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে ২০ আগস্ট রাত ৮টার দিকে প্রকাশ হবে। এরপর আরও দুই ধাপে আবেদন গ্রহণ, ফল প্রকাশ, নিশ্চয়ন ও চূড়ান্ত ভর্তি শেষে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু করা হবে।
আরও পড়ুনঅবহেলায় শিক্ষা খাত, সংস্কারে কমিশনও করা হয়নি ২ ঘণ্টা আগেকলেজে ভর্তি ফি কত—ভর্তির সময় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরে পাঁচ হাজার টাকা সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি নেওয়া যাবে। ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্য মহানগর এলাকায় তিন হাজার, জেলায় দুই হাজার ও উপজেলা বা মফস্বল এলাকায় দেড় হাজার টাকা নেওয়া যাবে। এ ছাড়া এমপিওভুক্ত নয়, এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফি, সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি কত নেওয়া যাবে, সেটি নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরে বাংলা ভার্সনে সাড়ে সাত হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে সাড়ে আট হাজার টাকা নেওয়া যাবে।
ঢাকা মহানগর বাদে অন্যান্য মহানগর এলাকায় বাংলা ভার্সনে পাঁচ হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে ছয় হাজার টাকা, জেলা পর্যায়ে বাংলা ভার্সনে তিন হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে চার হাজার টাকা এবং উপজেলা ও মফস্বল এলাকায় বাংলা ভার্সনে আড়াই হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে তিন হাজার টাকা নেওয়া যাবে।
আরও পড়ুনএকাদশ শ্রেণিতে ভর্তি: ইকিউ কোটায় সুযোগ যাদের১৮ ঘণ্টা আগেমেধা কোটা যেভাবে নির্ধারণ—নীতিমালা অনুযায়ী, কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ৯৩ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন হবে। বাকি ৭ শতাংশ আসনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ এবং অধীনস্থ দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ আসন মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সংরক্ষিত থাকবে (ন্যূনতম যোগ্যতা থাকতে হবে)। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। তবে পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে মেধাতালিকা থেকে এই আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।
*একাদশে ভর্তি নীতিমালা দেখুন এখানে