জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাম্পাস র‍্যাগিং মুক্ত রাখতে প্রত্যেক বিভাগে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিভাগের চেয়ারম্যান বা পরিচালক ও সিনিয়র শিক্ষকের নেতৃত্বে এ কমিটি গঠিত হবে।

বুধবার (২৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টার ক্লাস শুরুর পর শিক্ষার্থীরা র‍্যাগিংয়ের মুখোমুখি হচ্ছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট বা রির্পোট (অভিযোগ) পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।

আরো পড়ুন:

জাবিতে অটোরিকশা চালুর দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

কুমিল্লা বোর্ডে এইচএসসি থেকে ঝরে পড়ল ২৫ হাজার শিক্ষার্থী

এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি বিভাগে চেয়ারম্যান বা পরিচালক ও সিনিয়র শিক্ষকের নেতৃত্বে ছাত্র উপদেষ্টাসহ তিন সদস্যের কমিটি গঠন করতে হবে।

এতে আরো বলা হয়, এ কমিটি শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিংয়ের বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে। এ বিষয়ে বিভাগের বর্তমান পরিস্থিতি এবং যেসব বিভাগের ইতোমধ্যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।

এসব বিষয়ে তদন্ত করে কেউ দায়ী সাব্যস্ত হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ বা ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশপূর্বক রির্পোট আগামী বৃহস্পতিবারের (২৬ জুন) মধ্যে রেজিস্ট্রার বরাবর প্রদান করতে হবে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।

আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।

এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।

এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’

গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।

ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’

১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ