র্যাগিং প্রতিরোধে জবির সব বিভাগে কমিটি
Published: 25th, June 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাম্পাস র্যাগিং মুক্ত রাখতে প্রত্যেক বিভাগে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিভাগের চেয়ারম্যান বা পরিচালক ও সিনিয়র শিক্ষকের নেতৃত্বে এ কমিটি গঠিত হবে।
বুধবার (২৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টার ক্লাস শুরুর পর শিক্ষার্থীরা র্যাগিংয়ের মুখোমুখি হচ্ছে মর্মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট বা রির্পোট (অভিযোগ) পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
আরো পড়ুন:
জাবিতে অটোরিকশা চালুর দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ
কুমিল্লা বোর্ডে এইচএসসি থেকে ঝরে পড়ল ২৫ হাজার শিক্ষার্থী
এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি বিভাগে চেয়ারম্যান বা পরিচালক ও সিনিয়র শিক্ষকের নেতৃত্বে ছাত্র উপদেষ্টাসহ তিন সদস্যের কমিটি গঠন করতে হবে।
এতে আরো বলা হয়, এ কমিটি শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে। এ বিষয়ে বিভাগের বর্তমান পরিস্থিতি এবং যেসব বিভাগের ইতোমধ্যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।
এসব বিষয়ে তদন্ত করে কেউ দায়ী সাব্যস্ত হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ বা ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশপূর্বক রির্পোট আগামী বৃহস্পতিবারের (২৬ জুন) মধ্যে রেজিস্ট্রার বরাবর প্রদান করতে হবে।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যাচ্ছিলেন বিয়ের দিন ঠিক করতে, পথে ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা
রংপুরের তারাগঞ্জে ভ্যানচোর সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে ৯টার দিকে উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
রবিবার (১০ আগস্ট) তারাগঞ্জ থানার ওসি এমএ ফারুক বলেন, “গণপিটুনিতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। মামলা প্রস্তুতি চলছে।”
নিহতরা হলেন, তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুরের রুপলাল দাস (৪০) এবং মিঠাপুকুরের বালুয়াভাটা গ্রামের প্রদীপ দাস (৩৫)। সম্পর্কে তারা আত্মীয়।
আরো পড়ুন:
সিলেটে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
সাংবাদিক তুহিন হত্যা: আরো একজন গ্রেপ্তার
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান, নিহত রুপলাল দাসের মেয়ে নুপুর দাসের বিয়ের কথা চলছিল মিঠাপুকুরের শ্যামপুর এলাকার লালচাদ দাসের ছেলে ডিপজল দাসের সঙ্গে। রবিবার বিয়ের দিনতারিখ ঠিক করার কথা ছিল।
মিঠাপুকুর থেকে নিজের ভ্যান চালিয়ের প্রদীপ দাস আত্মীয় রুপলাল দাসের বাড়ির দিকে রওনা হন। গ্রামের ভেতর দিয়ে রাস্তা না চেনায় প্রদীপ দাস তারাগঞ্জের সয়ার ইউনিয়নের কাজীরহাট এলাকায় গিয়ে রুপলালকে ফোন করেন। রুপালাল গেলে তারা দুইজনে ভ্যানে করে ঘনিরামপুর গ্রামের দিকে রওনা হন।
রাত ৯টার দিকে তারাগঞ্জ-কাজীরহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে ভ্যান চোর সন্দেহে তাদের কয়েকজন আটক করেন। এরপর সেখানে লোক জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রদীপ দাসের ভ্যানে থাকা বস্তা থেকে চারটি প্লাস্টিকের ছোট বোতল বের করেন লোকজন। এর একটি বোতল খুললে ভেতরে থাকা তরলের ঘ্রাণে অসুস্থ হয়ে পড়েন পাশারিপাড়া গ্রামের ভ্যান চালক আলমগীর হোসেন ও বুড়িরহাটের মেহেদী হাসান। ফলে লোকজনের সন্দেহ আরো বেড়ে যায়।
এরপর ভ্যান চোর সন্দেহে তাদের মারধর শুরু করেন এলাকাবাসী। বটতলা থেকে মারতে মারতে বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে আসা হয় তাদের। মারধরের একপর্যায়ে অচেতন হলে সেখানে ফেলে রাখা হয় তাদের। রাত ১১টায় আহতদের উদ্ধার করে পুলিশ তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
তারাগঞ্জ হাসপাতালের চিকিৎসক রুপলাল দাসকে মৃত্য ঘোষণা করেন। প্রদীপ দাসকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে। আজ রবিবার ভোরে তিনিও মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন নিহত রুপলাল দাসের ভাই খোকন দাস।
ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ