ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘ছিনতাইকারীর’ কিলঘুষিতে সাংবাদিকের মৃত্যু
Published: 25th, June 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এক ‘ছিনতাইকারীর’ ঘুষিতে শাহ আলম খন্দকার নামের এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছিনতাইকারী বাবুল মিয়াকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় লোকজন। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার কাইতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহ আলম (৪৮) দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অভিযুক্ত বাবুল মিয়া কাইতলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এলাকায় ‘টাইগার বাবুল ডাকাত’ নামে পরিচিত।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি একটি মামলায় বাবুল মিয়া গ্রেপ্তার হয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে যান। সাংবাদিক শাহ আলম গ্রেপ্তারের খবর দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকায় প্রকাশ করেন। সম্প্রতি জামিন নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন বাবুল। আজ সকালে বেড়াতে যাওয়ার সময় উপজেলার কাইতলা গ্রামের রাস্তায় শাহ আলমের পরিবারকে আটকে ব্যাগ, মুঠোফোনসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেন বাবুল। খবর পেয়ে সাংবাদিক শাহ আলম খন্দকার লোকজন নিয়ে বাবুলের সঙ্গে কথা বলতে যান। দুপুরে কাইতলা গ্রামে শাহ আলম ও বাবুলের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শাহ আলমকে কিলঘুষি দিয়ে গুরুতর জখম করেন বাবুল। শাহ আলম মাটিতে লুটে পড়েন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্থানীয় লোকজন বাবুলকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনূর ইসলাম জানান, দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনায় সাংবাদিক শাহ আলমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বাবুলকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ পাহারায় বাবুল চিকিৎসাধীন। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ হ আলম এ ঘটন ল কজন ক ইতল উপজ ল ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মেঘনা গ্রুপের কর্মকর্তাসহ দুজন নিহত
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী ও কবিরহাট উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মেঘনা গ্রুপের এক কর্মকর্তাসহ দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তি হলেন মেঘনা গ্রুপের (ফ্রেশ) আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক গোলাম ছারওয়ার (৪৫)। তিনি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার আবদুস সাত্তার মণ্ডলের ছেলে। নিহত অপরজন হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিরাহিমপুর গ্রামের বাসিন্দা বেলাল হায়দার (৫২)।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টার দিকে শহরের পশ্চিম মাইজদী এলাকায় মাইজদী-রাজগঞ্জ-ছয়ানী সড়কের নাহার কটেজের মোড়ে মোটরসাইকেল আরোহী মেঘনা গ্রুপের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক গোলাম ছারওয়ারকে পেছন থেকে চাপা দেয় একটি পণ্যবাহী গাড়ি। এ সময় তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে ওই গাড়ির পেছনের চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে সুধারাম থানার পুলিশ গিয়ে নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে এবং গাড়িটি আটক করে।
সুধারাম থানার উপরিদর্শক (এসআই) লন্ডন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সড়কের মোড় ঘুরতে গিয়ে সম্ভবত পণ্যবাহী গাড়িটি মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়েছে। এতে মোটরসাইকেল থেকে আরোহী গোলাম ছারওয়ার ছিটকে গাড়ির পেছনের চাকার নিচে পড়ে যান। গাড়িটি আটক করা হয়েছে। চালক পালিয়ে গেছেন। নিহত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অপর দিকে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কবিরহাটের গ্রামের বাড়ি থেকে কিডনি ডায়ালাইসিস করানোর জন্য জেলা শহরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে যাচ্ছিলেন বেলাল হায়দার (৫২) নামের এক ব্যক্তি। পথে সুন্দলপুর ইউনিয়নের হাতাইল্লা পোল নামের স্থানে বিপরীত দিক হতে আসা একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে বেলালকে বহনকারী অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারের পর বেলাল হায়দারকে জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হন বেলালের স্ত্রী, অটোরিকশার চালক, প্রাইভেট কারের চালক, আরোহীসহ কমপক্ষে আরও পাঁচজন। তাঁরা জেলা শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন মিয়া দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে কবিরহাট থানার পুলিশ দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত ব্যক্তির লাশ পরিবার বাড়িতে নিয়ে গেছে।