সোনারগাঁয়ে সাংবাদিককে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি, থানায় জিডি
Published: 25th, June 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে গ্লোবাল টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মো. মনিরুল আলমকে গুলি করে হত্যার পর লাশ ঘুম করার হুমকি দিলেন সন্ত্রাসী কামরুল হাসান দিপু।
ঘটনাটি ঘটেছে সাংবাদিক মনিরুল আলমের কাঁচপুর মেগা কমপ্লেক্সের অফিসে। সন্ত্রাসী দিপু রূপগঞ্জ উপজেলার যাত্রামুড়া এলাকার শামসুল হকের ছেলে। এ বিষয়ে সোনারগাঁ থারায় একটি সাধারণ ডাইরী করা হয়েছে। জিডি নং-১১৩১।
জানা যায়, গত ২২ শে জুন সকাল আনুমানিক ১১ ঘটিকার সময়, সোনারগাঁ মেগা কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় সাংবাদিক মনিরুল আলমের অফিস রুমে কামরুল হাসান দিপু প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হত্যা হুমকি দিয়ে লাশ গুম করার কথা বলে।
সন্ত্রাসী দিপুর এমন আচরণ শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সে চলে যায় এবং যাওয়ার সময় বলে কোন আইনি পদক্ষেপ নিলে গুলি করে লাশ নদীতে ফেলে দিবে। সে সন্ধ্যা ছয়টার থেকে মার্কেটের ভিতরে একাধিক লোক নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূল কর্মকাণ্ড চালায়। এবং সে তিনটি মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন বলে জানা গেছে।
এদিকে এ বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার, র্যাব ১১ এর সিও এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে অবগত করা হয়েছে বলে জানান সাংবাদিক মো.
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুর রহমান জানান বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ মন র ল স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।
আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।
এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।