স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় প্রান হারিয়েছে নবম শ্রেনীর ছাত্র ইমাম হোসেন আদর (১৫)। বুধবার দুপুর ২টায় ফতুল্লার ভুইগড় এসবি গার্মেন্টসের সামনে লিংক রোডে এঘটনা ঘটে।

নিহত ইমাম হোসেন আদর ফতুল্লার ভুইগড় পুরান বাজার এলাকার আমির হোসেন খন্দকার ও শিলা আক্তারের ছেলে। 
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, ইমাম হোসেন আদর ভুইগড় হাজী পান্দে আলী স্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্র। স্কুল ছুটির পর লিংক রোডের পাশ দিয়ে বাসায় ফেরার পথে বেপরোয়া অজ্ঞাত গাড়ি আদরকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। 

এসময় আশপাশের লোকজন আদরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সন্তানকে হারিয়ে তার বাবা মা বাগরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। ঘাতক গাড়িটি সনাক্তের চেষ্টা চলছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ধানমন্ডি ৩২–এ ফুল দিতে গিয়ে আটক রিকশাচালক জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হওয়া রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময়ের একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ শনিবার আজিজুরকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ইসরাত জেনিফার জেরিন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গতকাল শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ফুল নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মারধরের শিকার হন আজিজুর। পরে তাঁকে ধানমন্ডি থানা–পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আজ তাঁকে গত বছরের ৪ আগস্ট করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান। গত ২ এপ্রিল ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেছিলেন আরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।

আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে এসআই তৌহিদুর রহমান উল্লেখ করেন, গত বছরের ৪ আগস্ট ধানমন্ডির সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশের নেতৃত্বে ছাত্র–জনতার ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। এ সময় আরিফুল ইসলাম নামের একজনের শরীরে গুলি লাগে। তিনি দুই মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ঘটনার সময়ের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী এবং বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুর রহমান ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে সাক্ষ্য–প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাঁকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।

আরও পড়ুনফুল দিতে আসা একজনকে ফেরত পাঠাল পুলিশ, আরেকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিল১৫ আগস্ট ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ