সড়ক পথে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এনে দেওয়া অবকাঠামো পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের তিন বছর পূর্ণ হয়েছে গতকাল বুধবার। ২০২২ সালের এ দিনে সেতুটি উদ্বোধন করা হয়। পর দিন ২৬ জুন থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এরপর থেকে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু দিয়ে গত তিন বছরে পারাপার হয়েছে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ৬০৭টি যানবাহন। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ হাজার ৫০৭ কোটি ৯১ লাখ ৫২ হাজার ৬০০ টাকা। পদ্মা সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদ বলেন, গত তিন বছরে যানবাহন পারাপার ও টোল আদায়ের চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এর মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছর পাড়ি দিয়েছে ৫৬ লাখ ৯৪ হাজার ৮৯৯টি যানবাহন। আর টোল আদায় হয়েছে ৭৯৮ কোটি ৬০ লাখ ৯৩ হাজার ৭০০ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পাড়ি দিয়েছে ৬৮ লাখ ১ হাজার ৩৭৪টি যানবাহন। এ সময় টোল আদায় হয় ৮৫০ কোটি ৪৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫০ টাকা। আর ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত (সর্বশেষ হিসাব) পাড়ি দিয়েছে ৬৯ লাখ ৭৭ হাজার ৩৩৪টি যানবাহন। টোল আদায় হয়েছে ৮৫৮ কোটি ৮৭ লাখ ২ হাজার ৫৫০ টাকা

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে প্রতিবছরই যানবাহনের সংখ্যা ও টোল আদায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পদ ম স ত ট ল আদ য়

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা উত্তর সিটিতে ৬ হাজার ৬৯ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৬ হাজার ৬৯ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে ডিএনসিসির সপ্তম করপোরেশন সভায় (বোর্ড সভা) এ বাজেট অনুমোদন করা হয়।

অনুমোদিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা। যা মোট আয়ের ৬০ শতাংশের সমপরিমাণ। এর মধ্যে বিভিন্ন কর ও রেইটস, ট্রেড লাইসেন্স ও অন্যান্য লাইসেন্সের কর বাবদ ৩ হাজার ২১২ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ভাড়া, সুদ, মুনাফাসহ অন্যান্য রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২৪ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় এবার ঢাকা উত্তর সিটির হাতে থাকা অর্থের পরিমাণ (প্রারম্ভিক স্থিতি) ৩৮৮ কোটি টাকা কম রয়েছে। সর্বশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে হাতে থাকা অর্থের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। কিন্তু ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য সিটি করপোরেশনের হাতে রয়েছে ৮৫০ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরে ঢাকা উত্তর সিটিতে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৩১ কোটি টাকা। কিন্তু আয় করা গেছে ১ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা। আদায় কম হয়েছে ৪৫৭ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটের প্রায় ৭৬ শতাংশ, অর্থাৎ ৪ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়নে। এ খাতে ২ হাজার ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা মোট বাজেটের ৩৩ শতাংশ।

বাজেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে। এ বছর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৪৩৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা মোট বাজেটের ৮ শতাংশ। আর মশা নিয়ন্ত্রণ কাজের জন্য পৌনে ১৮৭ কোটি টাকা টাকা, মোট বাজেটের ৩ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পারিশ্রমিক বাবদ ২৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের হোল্ডিং ট্যাক্স, পরিচ্ছন্নতা, লাইটিং ও স্বাস্থ্য খাত থেকে মোট রাজস্ব আয়ের ৪৫ শতাংশ আদায়ের পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া সম্পত্তি হস্তান্তর খাত থেকে ১ হাজার ৮০ কোটি টাকা, অর্থাৎ প্রায় ৩০ শতাংশ আয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছে। অবশিষ্ট অর্থ সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা ও অনুদানের মাধ্যমে সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

সভায় ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, রাজস্ব আদায়ের উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করাটা নিঃসন্দেহে একটি চ্যালেঞ্জ হবে। তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন প্রস্তুত। ব্যয়ের ক্ষেত্রে নতুন সৃষ্ট ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

বোর্ড সভায় ঢাকা উত্তর সিটির ৫৪টি ওয়ার্ডের ‘ওয়ার্ড সচিব’ পদের নাম পরিবর্তন করে ‘ওয়ার্ড সুপারভাইজার’, ‘ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর’ অথবা ‘ওয়ার্ড অর্গানাইজার’ নামকরণের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পদ্মা সেতুর ৩ বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকার টোল আদায়
  • ১০০ ডলার দেশে পাঠালেই বাড়তি ৩০৭ টাকা বেশি পাবেন
  • ঢাকা উত্তর সিটিতে ৬ হাজার ৬৯ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন
  • আগামী অর্থবছর প্রবৃদ্ধি হবে ৫ শতাংশ
  • কালোটাকা সাদা না করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত
  • চুক্তিভিত্তিক আমদানিতে আর্থিক দায়মুক্তি পেল ব্যাংক
  • একনেকে ৮৯৭৪ কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন
  • সৌদি, আরব আমিরাত, ওমানে বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা কেন কমছে
  • হঠাৎ সরকারের ঋণ বেড়েছে সঞ্চয়পত্রে