বনাঞ্চল কেটে গড়ে ওঠা বিতর্কিত সেই জাহাজভাঙা কারখানা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। আজ বুধবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের উপকূলীয় এলাকার তুলাতলী মৌজায় কোহিনূল স্টিল নামে এই কারখানাটিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এ সময় কারখানার ভবনটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন হোসেন অভিযানে নেতৃত্ব দেন। অভিযানে সেনা, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সহযোগিতা করেন। এর আগে জেলা প্রশাসনই বনের জায়গায় জাহাজাভাঙা কারখানা স্থাপনের জন্য দুইবার ইজারার অনুমতি দিয়েছিল। আপত্তির পর আবার ইজারা বাতিল করা হয়েছিল। কোহিনূর স্টিল নামে এই কারখানাটি স্থাপন করেছিলেন আবুল কাসেম নামের এক ব্যক্তি। তিনি ‘রাজা কাসেম’ নামে পরিচিত।

ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন হোসেন অভিযানের সময় বলেন, ‘তুলাতলী মৌজায় কারখানাটি যেখানে হয়েছে, সেটি জাহাজভাঙা কারখানার অঞ্চলভুক্ত এলাকা নয়। তুলাতলী মৌজায় সরকারি খাসজমি ও বনাঞ্চল দখল করে এটি গড়ে উঠেছিল। সেটি এখন উচ্ছেদ করা হয়েছে।’

উচ্ছেদের জন্য এক্সকাভেটরের পাশাপাশি অন্তত ৩০ জন শ্রমিককে কাজে লাগানো হয়। উচ্ছেদের সময় সেখানে লোকজনের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। গণমাধ্যমকর্মীদেরও ঢুকতে দেওয়া হয় সীমিত পরিসরে। ইয়ার্ডের স্বত্বাধিকারী আবুল কাসেম কারখানার বাইরে রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলে।

এ সময় আবুল কাসেম দাবি করেন, ‘২০২২ সালে সরকারি নীতিমালার আলোকে ইজারা নেওয়া হয়। বর্তমানে যে ভবনটি ভাঙা হচ্ছে, তা উত্তর সলিমপুর মৌজায় অবস্থিত। তুলাতলী মৌজাতে ছিল না। বিগত সরকারের দায়িত্বরত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্ত করে যে প্রতিবেদন দিয়েছিলেন তাতে ছিল উত্তর সলিমপুর মৌজা। কিন্তু কয়েক মাস আগে থেকে একটি মহল আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকতায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’ অবৈধভাবে ভাঙার বিষয়ে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলে জানান তিনি।

বন বিভাগ সূত্র জানায়, তুলাতলী মৌজায় বন বিভাগের ২০ ধারায় নোটিফিকেশনকৃত বনাঞ্চল রয়েছে। ইজারা চুক্তিতে কাগজে–কলমে সলিমপুর মৌজা দেখানো হলেও মূলত তুলাতলী মৌজায় বিতর্কিত এই ইয়ার্ড গড়ে ওঠে। বন বিভাগ বারবার এই ইজারায় আপত্তি জানিয়ে আসছিল। আপত্তি উপেক্ষা করে তখনকার জেলা প্রশাসকেরা একই ভূমি দুইবার রাজা কাসেমকে ইজারা দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে প্রথম ৭ দশমিক ১০ একর ভূমি শিপইয়ার্ডের জন্য ইজারা পায় কাসেমের বিবিসি স্টিল। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) আইনি পদক্ষেপ নেয় এই ইজারার বিরুদ্ধে। কিন্তু তুলাতলী মৌজাটি বনাঞ্চল ঘেরা হওয়ায় উচ্চ আদালত ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি ইজারা চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করেন। পরে আর ইজারা চুক্তি নবায়ন করেনি জেলা প্রশাসন।

বিবিসির নামে ইজারা বাতিল হওয়ার পর কাসেম তাঁর স্ত্রী কোহিনূর আকতারের নামে নতুন করে একই জায়গায় জমি ইজারার আবেদন করেন। আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হয় কোহিনূর স্টিল। এরপর ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কোহিনূর স্টিলের নামে সীতাকুণ্ডের উত্তর সলিমপুর মৌজা দেখিয়ে পাঁচ একর বনভূমি ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। এ নিয়ে ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রথম আলো পত্রিকায় ‘প্রথমে ব্যর্থ পরে “কৌশলে” ইজারা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আবার ২০২৩ সালের ৮ জুন ‘চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদারতায় ইয়ার্ডের পেটে ৫ হাজার গাছ’ শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

চুক্তির শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে ২০২৩ সালে জেলা প্রশাসন সীতাকুণ্ডের কোহিনূর স্টিল নামের ওই জাহাজভাঙা কারখানার ইজারা বাতিল করেছিল। উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করে হাইকোর্টে প্রতিবেদনও দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এরপর বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে ইজারা চুক্তি বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করেন কোহিনূর স্টিলের মালিক আবুল কাসেম। ইজারা ফিরে পেয়ে কারখানাটিতে ফের জোরেশোরে কাজ শুরু করা হয়। সীতাকুণ্ডের সলিমপুর এলাকার তুলাতলী মৌজায় কোহিনূর স্টিল নামে ইয়ার্ডটির অবস্থান। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় বাতিল হওয়া ইজারা ফিরিয়ে দেওয়ার আদেশ দেয় ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে। এরপর কাসেম আবার ওই জায়গায় কাজ শুরু করেছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই জাহাজভাঙা কারখানার কারণে আমাদের অনেক বনাঞ্চল ধ্বংস হয়েছে। এখন ইয়ার্ড উচ্ছেদ হয়েছে। আমরা আবার বনাঞ্চল করব ওই জায়গায়।’

আরও পড়ুনপ্রথমে ব্যর্থ, পরে ‘কৌশলে’ ইজারা২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বন ব ভ গ ২০২২ স র ইজ র প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

৮ ছাত্র সংগঠনের কার্যালয় মধুর ক্যান্টিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ক্রিয়াশীল অন্তত আটটি ছাত্র সংগঠন তাদের কার্যালয় হিসেবে মধুর ক্যান্টিনকে নিজেদের কার্যালয় বলে দাবি করে। তাদের এমন কর্মকান্ড আইনগতভাবে কতটা বৈধ ও গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। নতুন বাংলাদেশে সংগঠনগুলোর এমন দাবিতে ক্ষুব্ধ রাজনীতি সচেতন শিক্ষার্থীরা। 

সম্প্রতি সংগঠনগুলোর দেওয়া বিভিন্ন বিবৃতি ও নতুন কমিটির ঘোষণাপত্র অনুসন্ধান করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। 

মধুর ক্যান্টিনকে নিজেদের কার্যালয় হিসেবে দাবি করা সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট’। 

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে ৩ মাদরাসা শিক্ষার্থী নিখোঁজ, উ‌দ্বিগ্ন প‌রিবার

শাবিপ্রবি ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ৪ দিনের রিমান্ডে ২ যুবক

গত ২০ জুন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বাংলা কলেজ সংসদের আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণাপত্রে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসেবে মধুর ক্যান্টিনকে দাবি করা হয়েছে।

গত ১০ জুন ঢাবি বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ১৮ জুন ঢাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কসবাদী), ১১ জুন ঢাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ), ৫ মার্চ বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন, ২১ মে ঢাবি ছাত্র ফেডারেশন, ৬ মে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ও ১ জুন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের দেওয়া বিবৃতিতে কার্যালয় বা ঠিকানা হিসেবে মধুর ক্যান্টিন দাবি করা হয়েছে। 

বামপন্থী ছাত্র সংগঠন গুলোর জোট গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটে ‘বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ’ অন্তর্ভুক্ত।

২০২২ সালের ২৬ মে ‘আট ছাত্র সংগঠন’ এর ব্যানারে দেওয়া এক বিবৃতিতেও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো তাদের কার্যালয় হিসেবে মধুর ক্যান্টিনকে দাবি করেছে। ওই আট ছাত্র সংগঠনের ভিতরে ছাত্র ইউনিয়নও অন্তর্ভুক্ত ছিল। 

২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর ‘প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহ’ ব্যানারে বামপন্থী নয়টি ছাত্র সংগঠনের দেওয়া বিবৃতিতেও কার্যালয় হিসেবে মধুর ক্যান্টিন দাবি করা হয়েছে। 

ঢাবির ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী মামুনুর রশিদ বলেন, “আমরা কোন রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যালয় বলতে বুঝি, যেখানে ওই সংগঠনের দাপ্তরিক কার্যাবলী সম্পাদিত হয়ে থাকে। মধুর ক্যান্টিন হলো সব শিক্ষার্থীদের জন্য চা-কফির সঙ্গে আলাপচারিতা ও বসে সময় কাটানোর জায়গা। এটা রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সব শিক্ষার্থীদের জন্যই সমান অধিকারের জায়গা। এটাকে কোনো ছাত্র সংগঠন তাদের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ঘোষণা করে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্যপারে নির্দেশনা কী তা অস্পষ্ট থেকে যায়।”

তিনি বলেন, “আদৌ মধুর ক্যান্টিনকে কি বিশ্ববিদ্যালয় কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে? উত্তর হবে ‘না’। তাহলে মধুর ক্যান্টিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনুমোদিত কোনো রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠিত কার্যকলাপের জায়গা নয়।”

তিনি আরো বলেন, “যদিও ঢাবির ছাত্র সংগঠনগুলো অঘোষিতভাবেই দীর্ঘকাল থেকেই মধুর ক্যান্টিনে তাদের রাজনৈতিক আলাপচারিতা, সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভা করে থাকে। তার মানে এই নয় যে, কোনো রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন তাদের প্রধান কার্যালয় হিসেবে মধুর ক্যান্টিনকে ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু আমরা দেখতে পাই একাধিক রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন মধুর ক্যান্টিনকে তাদের রাজনৈতিক প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এটা সুস্পষ্টভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-নীতি বা নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল।”

ঢাবির সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক প্রান্ত মাহমুদ বলেন, “ঢাবির মধুর ক্যান্টিন শুধু বিভিন্ন দল, মত ও পথের রাজনৈতিক আড্ডা হিসেবে পরিচিত ছিল—এই ধারণাটি একপাক্ষিক ও অসম্পূর্ণ। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, এই ক্যান্টিন ছিল তরুণ রাজনৈতিক কর্মীদের পাশাপাশি, নবীন কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের চিন্তা বিনিময়ের প্রাঙ্গণ। এখানে শিল্প, সাহিত্য, নাটক, সিনেমা কিংবা সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন নিয়ে বহু আলাপ-আলোচনা হয়েছে, মতের অমিল হলেও চিন্তার বহুত্ব ছিল একটানা।”

তিনি বলেন, “দুঃখজনকভাবে, আজ মধুর ক্যান্টিনে সেই সাংস্কৃতিক-সাহিত্যিক প্রাণ নেই বললেই চলে। এখন কিছু ব্যক্তি মধুর কান্টিনকে শুধুই রাজনৈতিক সংগঠনের দাপ্তরিক কার্যলয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। আমার মতে, এটা মধুর ক্যান্টিনের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বকে সংকুচিত করে ফেলছে। আমরা চাই, এই প্রজন্ম রাজনৈতিক ফোবিয়াকে অতিক্রম করে এক বৈচিত্র্যপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক চিন্তার চর্চা হোক। মধুর ক্যান্টিন হোক মুক্ত আলোচনার ক্ষেত্র, যেখানে রাজনীতি সঙ্গে থাকবে সাহিত্য, শিল্প, সমসাময়িক চিন্তার সমান জায়গা।”

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, “ছাত্র রাজনীতির সূতিকাগার হিসেবে মধুর ক্যান্টিনকে অফিসের ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করলে আপত্তি নেই আমাদের। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মধুর ক্যান্টিন সংস্কার করে সব ছাত্র সংগঠনের জন্য আলাদা আলাদা স্পেস তৈরি করে দিলে গণতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির চর্চা ও বিকাশ হবে।”

জানতে চাইলে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, “এটা তো অলংকারিক কার্যালয় হিসেবে বিবেচিত হয়। যে কোনো সংবাদ সম্মেলন থেকে শুরু করে আলোচনা, মতবিনিময়ের ইতিহাস মধুর ক্যান্টিনে। সেই জায়গা থেকে আমরাও এটা করেছি আর কী। এটা একটা অলংকারিক কার্যালয় আমরা চিন্তা করতেই পারি। আমরা মনে করছি এটা একটি ঐতিহাসিক জায়গা, সেই জায়গা থেকে আমরা এটি নির্ধারণ করেছি।”

ঢাবি ছাত্র ফেডারেশনের আহ্বায়ক আরমানুল হক বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ঠিকানাটা আমরা সব সংগঠনই এভাবে লিখে আসছি। কারণ সবাই মধুর ক্যান্টিনে থাকে, আড্ডা দেয়। এটা অফিস না, এটা আগে থেকেই করে আসছে. আর কি।”

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) আহ্বায়ক মুক্তা বাড়ৈ বলেন, “ভিন্ন মত থাকা সত্ত্বেও মধুর ক্যান্টিনের টেবিলগুলো সেখানে কিন্তু তারা বসে। এটা কারো কার্যালয় না। প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা কার্যালয় থাকে। এটা (মধুর ক্যান্টিন) কারো সাংগঠনিক কার্যালয় বলে আমরা জানি না। এমন যদি কেউ দাবি করে, সেটা আমরা ঠিকও মনে করি না।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার মিসেস ফাতেমা বিনতে মুস্তাফা বলেন, “এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। এখন পর্যন্ত এ বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করিনি। মধুর ক্যান্টিনের বিষয় নিয়ে কিছুদিন পরে কাজ শুরু করব।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “এই স্থাপনাগুলো দেখভাল করে আমাদের এস্টেট অফিস। আমি এস্টেট অফিসের সঙ্গে কথা বলব, তারা মধুর ক্যান্টিনের সঙ্গে কথা বলুক। তারপরে আমি এটাতে হস্তক্ষেপ করব। কারণ আমি চাই, যার যেটা দায়িত্ব সে সেটা করুক।”

ঢাকা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাত ক্যাচের চারটি ফেলেছেন জয়সোয়াল, যা বললেন গিল
  • অস্থায়ী কার্যালয়ে ‘মুক্তি ঐক্যদল’, দলীয় প্রধান এমপি হয়ে আবার বিয়ে করতে চান
  • কোনো দলের কার্যালয় আসলে ভাতের হোটেল, কোনোটার ট্রাভেল এজেন্সি
  • চুক্তিভিত্তিক আমদানিতে আর্থিক দায়মুক্তি পেল ব্যাংক
  • সৌদি, আরব আমিরাত, ওমানে বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা কেন কমছে
  • যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৬ বিশ্বকাপে ইরান কি খেলতে পারবে
  • ৮ ছাত্র সংগঠনের কার্যালয় মধুর ক্যান্টিন
  • ঢাকায় স্কুল ঘেঁষে সিগারেটের দোকান, শিক্ষার পরিবেশে বিঘ্ন
  • দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষা চলতে পারে না