রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলের ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রথম ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষার্থীর নাম সাদ আহমেদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হলের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ওই শিক্ষার্থী ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে প্রেমঘটিত একাধিক পোস্ট দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। সাদ আহমেদ ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘লিসা তুমি জানতা, তোমাকে আমি কতটা ভালোবাসি। তবু কেন এমন করলে??.

..’ আরেকটি পোস্টে তিনি লিখেছেন—‘ভালোবাসি লিসা’।

সোহরাওয়ার্দী হলের ছাত্র সাগর চন্দ্র দাস নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কক্ষে পড়ছিলাম। এমন সময় আমার কক্ষের সামনের দিকে একজন ছাদ থেকে চিৎকার দিয়ে পড়ে গেল, এমন মনে হলো। এসে দেখি, তার পা মাটির ভেতরে চলে গেছে। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটি শোনামাত্রই সেখানে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাঁর পায়ে একাধিক জায়গায় ফ্রাকচার (ফাটল) ও বুকে আঘাত লেগেছে। চিকিৎসক বেশ কিছু এক্স-রে করতে দিয়েছেন। রিপোর্ট পেলে পরিস্থিতি জানা যাবে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় আনোয়ার হোসেন (৩১) নামের রেনেটা লিমিটেডের এক বিক্রয়কর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার গভীর রাতে উপজেলার বেতগাড়ী এলাকায় ঢাকা–রংপুর মহাসড়কের পূর্ব পাশে ফটকি সেতুর কাছে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আনোয়ার হোসেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের খোয়াজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর আকন্দপাড়ায় পরিবারসহ ভাড়া থাকতেন। রেনেটা লিমিটেডে তিনি সহকারী পরিবেশন কর্মকর্তা (সহকারী ডিস্ট্রিবিউশন কর্মকর্তা) পদে চাকরি করতেন। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এটি হত্যাকাণ্ড। হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। থানায় এখনো হত্যা মামলা হয়নি। হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন ও জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে নেমেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাতে ঢাকা–রংপুর মহাসড়কের পাশে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে এক পথচারী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন দেন। শাজাহানপুর থানা–পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে শেরপুর হাইওয়ে থানা–পুলিশকে জানায়। পরে হাইওয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান করে নিশ্চিত হয়, এটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু নয়।

হাইওয়ে পুলিশের শেরপুর থানার ওসি আজিজুল ইসলাম বলেন, হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনের গতি ও সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত হয়, নিহত আনোয়ার হোসেনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। হত্যাকাণ্ড নিশ্চিত হওয়ার পর শাজাহানপুর থানা–পুলিশ লাশটি তাদের হেফাজতে নেয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ