১. আপনি যেমন সেভাবেই কি নিজেকে গ্রহণ করছেন

নিজেকে যদি নিজের মতো করে গ্রহণ না করেন, অতীতের ভুলের জন্য নিজেকে ক্ষমা না করেন, নিজেকে ভালো না বাসেন, তাহলে আপনি কীভাবে আশা করেন, অন্য আরেকজন আপনার জন্য সেটা করবে? আপনিই–বা অন্য আরেকজনকে কীভাবে ভালোবাসবেন, যেখানে আপনি নিজেই নিজেকে ভালোবাসেন না!

২. নিজেকে নিয়ে নিশ্চিত নন

অন্যের ‘সার্টিফিকেট’ বা সমর্থনই যদি হয় আপনার চালিকাশক্তি, তাহলে নিশ্চিতভাবেই আপনি এখনো ভালোবাসার জন্য প্রস্তুত নন। কেননা, সে ক্ষেত্রে অন্য কেউ আপনার সঙ্গীকে পছন্দ না করলে সেটা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আপনিও নিজের সঙ্গীকে অপছন্দ করতে শুরু করবেন। আপনি কেমন সঙ্গী চান, সে বিষয়ে আপনার যদি স্পষ্ট জ্ঞান ও অনুভূতি না থাকে, তাহলে আপনার সঙ্গীও আপনাকে নিয়ে একটা আস্থার সম্পর্কে যেতে পারবেন না। আপনি অপর পক্ষের জন্য হয়ে উঠবেন ‘প্যারা’।

৩.

সঙ্গী ও ভালোবাসা সম্পর্কে অবাস্তব ধারণা

প্রতিটা সম্পর্কের গ্রাফ উঁচুতে ওঠে আবার নিচে নামে। আপনি যদি মনে করেন, ভালোবাসার সম্পর্ক মানে কেবল সুখ আর সুখ কিংবা রূপকথার ‘অতঃপর তাহারা সুখে–শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল...’, তা আদতে ভুল! আপনি সম্পর্কের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার মানসিক প্রস্তুতি রাখুন। সঙ্গীর সঙ্গে ঝলমলে দিন, মেঘলা দিন কাটানোর জন্য মনে মনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হোন। যা কিছুই আসুক না কেন, দুজনে মিলে সামলে নেওয়ার জন্য তৈরি হোন। নাহলে ভালোবাসার সম্পর্ক এখনই আপনার জন্য নয়।

৪. আপনি কি নিজের জন্য যথেষ্ট

যখন আপনি নিজেই নিজের জন্য যথেষ্ট হবেন, নিজের সঙ্গ উপভোগ করবেন, কেবল তখনই আপনি সঙ্গীর সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করবেন। যখন আপনি সঙ্গীর ওপর বা যে কেউ আরেকজনের ওপর অযৌক্তিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন, তখন সেই ভারসাম্য বিনষ্ট হবে।

আরও পড়ুনতাৎক্ষণিকভাবে দাম্পত্য সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এই ১০ অভ্যাস০২ জানুয়ারি ২০২৫৫. আপনি কি সঙ্গীকে সন্দেহ করেন

হয় সঙ্গীকে শতভাগ বিশ্বাস করুন, নয়তো ওই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসুন। এর মাঝামাঝি কোনো রাস্তা নেই। মনে রাখবেন, অবিশ্বাস নিয়ে ভালোবাসার সম্পর্কে কেউ সুখী হয় না।

৬. সঙ্গী পাশে থাকলে আপনার কেমন লাগে

প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গী পাশে থাকলে আপনার যদি ভালো না লাগে, স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ হচ্ছে বা হতে পারে ভেবে অস্বস্তি বোধ হয়, নিজের ‘প্রাইভেসি’ নষ্ট হওয়া নিয়ে ভয়ে থাকেন, তাহলে আপনি ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ানোর জন্য তৈরি নন বা ভালোবাসার সম্পর্ক আপনার জন্য নয়।

আরও পড়ুনআমার ৬৬ বছরের বাবা ১৮ বছরের এক তরুণীর প্রেমে পড়েছেন২২ ঘণ্টা আগে৭. আপনি কি সঙ্গীর সঙ্গে কিছু না করে সময় কাটাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন

গল্প করা, খাওয়াদাওয়া করা, ঘুরে বেড়ানো বা নানা কাজের ভেতরে থেকে সময় কাটানো তুলনামূলকভাবে সহজ। যদি আপনি ওই মানুষটার সঙ্গে কিছু না করে চুপচাপ সময় কাটাতে অস্বস্তি বোধ করেন বা মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়, তাহলে এর মানে আপনি তার সঙ্গে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য প্রস্তুত নন।

৮. আপনি কি ছাড় দিতে রাজি

সম্পর্কের সব মুহূর্ত, সবকিছুই যে সব সময় আপনার পক্ষে থাকবে, তা নয়। প্রতিটা সম্পর্কে এমন সব সময় আসে, যখন সম্পর্ক টিকে থাকে যেকোনো একজনের ছাড় দেওয়ার ওপর। তাই দুজনকেই ছাড় দেওয়ার মানসিকতা নিয়েই সম্পর্কে এগোতে হয়।

সূত্র: ড. কিম্বারলে মফিটের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল

আরও পড়ুনসম্পর্ক খারাপ করতে না চাইলে টেক্সটিংয়ে এসব ভুল এড়িয়ে চলুন০২ জুন ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস ত ত ন র জন য আপন র ন আপন

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ