যে ৮ লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনি ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ানোর জন্য প্রস্তুত নন
Published: 26th, June 2025 GMT
১. আপনি যেমন সেভাবেই কি নিজেকে গ্রহণ করছেন
নিজেকে যদি নিজের মতো করে গ্রহণ না করেন, অতীতের ভুলের জন্য নিজেকে ক্ষমা না করেন, নিজেকে ভালো না বাসেন, তাহলে আপনি কীভাবে আশা করেন, অন্য আরেকজন আপনার জন্য সেটা করবে? আপনিই–বা অন্য আরেকজনকে কীভাবে ভালোবাসবেন, যেখানে আপনি নিজেই নিজেকে ভালোবাসেন না!
২. নিজেকে নিয়ে নিশ্চিত ননঅন্যের ‘সার্টিফিকেট’ বা সমর্থনই যদি হয় আপনার চালিকাশক্তি, তাহলে নিশ্চিতভাবেই আপনি এখনো ভালোবাসার জন্য প্রস্তুত নন। কেননা, সে ক্ষেত্রে অন্য কেউ আপনার সঙ্গীকে পছন্দ না করলে সেটা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আপনিও নিজের সঙ্গীকে অপছন্দ করতে শুরু করবেন। আপনি কেমন সঙ্গী চান, সে বিষয়ে আপনার যদি স্পষ্ট জ্ঞান ও অনুভূতি না থাকে, তাহলে আপনার সঙ্গীও আপনাকে নিয়ে একটা আস্থার সম্পর্কে যেতে পারবেন না। আপনি অপর পক্ষের জন্য হয়ে উঠবেন ‘প্যারা’।
৩.সঙ্গী ও ভালোবাসা সম্পর্কে অবাস্তব ধারণা
প্রতিটা সম্পর্কের গ্রাফ উঁচুতে ওঠে আবার নিচে নামে। আপনি যদি মনে করেন, ভালোবাসার সম্পর্ক মানে কেবল সুখ আর সুখ কিংবা রূপকথার ‘অতঃপর তাহারা সুখে–শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল...’, তা আদতে ভুল! আপনি সম্পর্কের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার মানসিক প্রস্তুতি রাখুন। সঙ্গীর সঙ্গে ঝলমলে দিন, মেঘলা দিন কাটানোর জন্য মনে মনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হোন। যা কিছুই আসুক না কেন, দুজনে মিলে সামলে নেওয়ার জন্য তৈরি হোন। নাহলে ভালোবাসার সম্পর্ক এখনই আপনার জন্য নয়।
৪. আপনি কি নিজের জন্য যথেষ্টযখন আপনি নিজেই নিজের জন্য যথেষ্ট হবেন, নিজের সঙ্গ উপভোগ করবেন, কেবল তখনই আপনি সঙ্গীর সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করবেন। যখন আপনি সঙ্গীর ওপর বা যে কেউ আরেকজনের ওপর অযৌক্তিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন, তখন সেই ভারসাম্য বিনষ্ট হবে।
আরও পড়ুনতাৎক্ষণিকভাবে দাম্পত্য সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এই ১০ অভ্যাস০২ জানুয়ারি ২০২৫৫. আপনি কি সঙ্গীকে সন্দেহ করেনহয় সঙ্গীকে শতভাগ বিশ্বাস করুন, নয়তো ওই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসুন। এর মাঝামাঝি কোনো রাস্তা নেই। মনে রাখবেন, অবিশ্বাস নিয়ে ভালোবাসার সম্পর্কে কেউ সুখী হয় না।
৬. সঙ্গী পাশে থাকলে আপনার কেমন লাগেপ্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গী পাশে থাকলে আপনার যদি ভালো না লাগে, স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ হচ্ছে বা হতে পারে ভেবে অস্বস্তি বোধ হয়, নিজের ‘প্রাইভেসি’ নষ্ট হওয়া নিয়ে ভয়ে থাকেন, তাহলে আপনি ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ানোর জন্য তৈরি নন বা ভালোবাসার সম্পর্ক আপনার জন্য নয়।
আরও পড়ুনআমার ৬৬ বছরের বাবা ১৮ বছরের এক তরুণীর প্রেমে পড়েছেন২২ ঘণ্টা আগে৭. আপনি কি সঙ্গীর সঙ্গে কিছু না করে সময় কাটাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেনগল্প করা, খাওয়াদাওয়া করা, ঘুরে বেড়ানো বা নানা কাজের ভেতরে থেকে সময় কাটানো তুলনামূলকভাবে সহজ। যদি আপনি ওই মানুষটার সঙ্গে কিছু না করে চুপচাপ সময় কাটাতে অস্বস্তি বোধ করেন বা মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়, তাহলে এর মানে আপনি তার সঙ্গে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য প্রস্তুত নন।
৮. আপনি কি ছাড় দিতে রাজিসম্পর্কের সব মুহূর্ত, সবকিছুই যে সব সময় আপনার পক্ষে থাকবে, তা নয়। প্রতিটা সম্পর্কে এমন সব সময় আসে, যখন সম্পর্ক টিকে থাকে যেকোনো একজনের ছাড় দেওয়ার ওপর। তাই দুজনকেই ছাড় দেওয়ার মানসিকতা নিয়েই সম্পর্কে এগোতে হয়।
সূত্র: ড. কিম্বারলে মফিটের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল
আরও পড়ুনসম্পর্ক খারাপ করতে না চাইলে টেক্সটিংয়ে এসব ভুল এড়িয়ে চলুন০২ জুন ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ত ত ন র জন য আপন র ন আপন
এছাড়াও পড়ুন:
ডিমে শিশুর অ্যালার্জি কেন হয়, কীভাবে বুঝবেন, সমাধান কী
কেন হয়
শিশুদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা পুরোপুরি গড়ে না ওঠায় অনেক সময় ডিমের প্রোটিনকে শরীর ‘অচেনা’ বা ক্ষতিকর হিসেবে ভুলভাবে শনাক্ত করে। ফলে ঠিক যেভাবে রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধব্যবস্থা কাজ করে, একই ধরনের প্রতিক্রিয়া এখানে সৃষ্টি হয়। এই প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবেও হতে পারে, আবার অনেক ক্ষেত্রে কয়েক ঘণ্টা পরেও দেখা দিতে পারে।
লক্ষণ● ত্বকে লাল লাল চাকা, একজিমা।
● পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব বা মুখের চারপাশে চুলকানো।
● সর্দি, শ্বাস নেওয়ার সময় শোঁ শোঁ শব্দ, শ্বাসকষ্ট হওয়া।
● দ্রুত হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ কমে যাওয়া।
● অ্যানাফাইলেকসিস শক।
আরও পড়ুনডিম দিনে কয়টি ও কীভাবে খাবেন০৫ জুলাই ২০২৫রোগনির্ণয়● শিশুকে প্রথম ডিম খাওয়ানোর সময় অ্যালার্জি উপসর্গ বোঝা যায়।
● চিকিৎসক যদি মনে করেন ডিম বা ডিমযুক্ত খাবার খেলে অ্যালার্জি হয়, তবে তা স্কিন টেস্ট করে নিশ্চিত হতে পারেন।
চিকিৎসা● ডিম ও ডিমযুক্ত খাবার না খাওয়া।
● অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া দমনে অ্যান্টি হিস্টামিন, মারাত্মক অ্যানাফাইলেকসিসে শক ইনজেকশন এপিনেফ্রিন ব্যবহার।
● ডিমে অ্যালার্জি থাকলে কিছু খাদ্য উপাদান পরিহার করা যেমন—এলবুমিন, গ্লোবুলিন ইত্যাদি।
অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
আরও পড়ুনডিমের কমলা, না হলুদ কুসুম—কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর৩১ অক্টোবর ২০২৫