Samakal:
2025-08-11@23:47:21 GMT

রূপবদলের গল্প

Published: 26th, June 2025 GMT

রূপবদলের গল্প

ছোটপর্দায় শুদ্ধ অভিনয়ের জন্য তাসনিয়া ফারিণ অনেক আগেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন। কখনও গল্পের আবেগঘন কেন্দ্রবিন্দু, কখনও বা কাঁধে চেপে থাকা সম্পর্কের ভার–সবই তিনি বহন করেছেন সুনিপুণ দক্ষতায়। সিনেমার পর্দা তো ভিন্ন মেজাজের। আবার যদি হয় বাণিজ্যিক সিনেমা? সেটি যেন এক অন্য মহাকাব্য; যেখানে আবেগের পাশাপাশি লাগে অ্যাকশন, গ্ল্যামার আর সঠিক ‘স্ক্রিন প্রেজেন্স’। ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইনসাফ’ যেন সেই পরীক্ষাতেই ফারিণের সাহসী অংশগ্রহণ। তাঁকে নিয়ে লিখেছেন অনিন্দ্য মামুন

মুনীর চৌধুরীর বিখ্যাত উক্তি ‘মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে-অকারণে বদলায়’। মানুষের এই বদলে যাওয়াটা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় হয়। কখনও তা নান্দনিক, কখনও তা জরাজীর্ণ। তবে মানুষ সময়ের সঙ্গে বদলে যেতে থাকে। সেটি নানাভাবে নানামাত্রায়। এই বদলে যাওয়া কখনও প্রশংসিত, কখনও বা তিরস্কৃত। 

নাটক ও ওটিটি কনটেন্টের অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণও বদলে গেলেন। তাঁর এই বদলে যাওয়া প্রশংসিত হলেও ঢের অবাক হয়েছেন দর্শকরা। যে ফারিণকে এতকাল যারা দেখেছেন কলেজ-ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া প্রেমিকার চরিত্রে, পাশের বাসার মিষ্টি মেয়ের চরিত্রে কিংবা ঝগড়াটে প্রেমিকা হিসেবে। সেই ফারিণ সিনেমায় এসে হয়ে উঠলেন অ্যাকশন গার্ল! শাড়ি পরে ভারতের দক্ষিণী নায়িকাদের মতো তুমুল মারপিট করলেন। পুলিশের পোশাকে তাঁর ক্যারিশমা দেখলেন সবাই। শুধুই কী তাই, ফারিণ আইটেম গানেও নাচলেন। নাচালেন দর্শকদেরও। কীভাবে ফারিণ এতটা বদলালেন? প্রশ্ন থেকেই যায়। কারণ, কয়েক বছর আগেও নাটকের অভিনেত্রীরা সিনেমায় এসে এমন চরিত্র করবেন তা যেন কল্পনারও বাইরে ছিল। যারাও এসেছেন তারাও আর্টফিল্ম টাইপের সিনেমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছেন। নাচগান আর অ্যাকশনে ভরপুর সিনেমায় তাদের ভাবাও যায়নি। অথচ ফারিণ সেটি করে দেখালেন। কোমল ফারিণ হয়ে উঠলেন মারকাটারি জাহান খান। জাহান থেকে ফারিণ ইনসাফ ফারিণের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক সিনেমা। নাটক-ওটিটি কিংবা ভিন্ন ধারার গল্পের সিনেমার পর ‘ইনসাফ’-এ ফারিণ নিজেকে যে রূপে উপস্থাপন করেছেন, তা সাহসী, শারীরিক ও মানসিকভাবে চ্যালেঞ্জিং–একজন ‘অ্যাকশন হিরোইন’। এই রূপান্তরের পেছনে লুকিয়ে আছে তাঁর পরিশ্রম, প্রস্তুতি এবং আত্মনিবেদন। ফারিণের মতে, পুরো প্রজেক্টে তাঁর আত্মবিশ্বাস এসেছিল মূলত স্ক্রিপ্ট পড়ে, নির্মাতা ও সহ-অভিনেতাদের প্রতি বিশ্বাস থেকে। জাহান চরিত্রটি শুধু মানসিক গভীরতা নয়, চাইছিল শারীরিক প্রস্তুতিও। এখানেই ফারিণের রূপান্তর সবচেয়ে দৃশ্যমান। ট্রেনিং, স্টান্ট রিহার্সাল, দিনের পর দিন কঠিন শুটিং–সব কিছু মিলিয়ে ফারিণ যেন নিজেকেই নতুন করে চিনেছেন। যারা ছবিটি দেখেছেন, তারা জানেন–এই অভিনেত্রী শুধু সংলাপে নয়, শরীরী অভিব্যক্তি, লড়াইয়ের দৃশ্য–এমনকি গানেও দারুণ স্বাচ্ছন্দ্য দেখিয়েছেন। বিশেষ করে ‘আকাশেতে লক্ষ তারা’ গানে তাঁর পারফরম্যান্স, যা এখন সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত। ফারিণ বলেন, ‘চরিত্রটা যখন পড়ি, মনে হচ্ছিল, ভিন্ন কিছু হবে। আমি এতদিন যে চরিত্রগুলো করে এসেছি, সিনেমায় যেন এমন চরিত্র না হয় সেটিরই অপেক্ষায় ছিলাম। পরিচালক সঞ্জয় সমাদ্দার দাদা গল্প বলার পর যেন সে চরিত্রই খুঁজে পেলাম। বুঝেছিলাম চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তোলা চ্যালেঞ্জের, পরিশ্রমের। আমি সে চ্যালেঞ্জটা নিতে চেয়েছি। নিয়েছিও। জাহান খান হয়ে উঠতে আমাকে দফায় দফায় টিমের সঙ্গে বসতে হয়েছে। ফাইট শিখতে হয়েছে, নাচও শিখতে হয়েছে মাসখানেক। এই পুরো প্রক্রিয়াটি অনেক পরিশ্রমের ছিল। পরিচালকের মনে হয়েছে আমি জাহান খান হয়ে উঠতে প্রস্তুত। এরপরই ক্যামেরা ওপেন করা হয়েছে।’

প্রস্তুতি নিয়ে শুটিংয়ে যাওয়ার পরও বারবার হোঁচট খেতে হয়েছে ফারিণকে। পেতে হয়েছে আঘাতের পর আঘাত। সেই অভিজ্ঞতার গল্প শুনুন ফারিণের মুখেই, ‘শুটিংয়ে আমি যখন অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করতে যাই, তখন ফিজিক্যাল ও মেন্টাল ট্রেনিং নিয়েছি। ফাইট ডিরেক্টরদের কাছ থেকে ধারণা নিয়ে এরপর প্রতিটি শট দিয়েছি। ক্যামেরার সামনে অ্যাকশন পারফর্ম করা একেবারেই আলাদা অভিজ্ঞতা। সত্যি বলতে, এই দৃশ্যগুলো করতে গিয়ে আমি একাধিকবার আঘাত পেয়েছি। আমি সিনেমায় কাজ করে একটি বড় চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম।’

পরিচালক যেভাবে ফারিণকে দেখলেন

জাহান চরিত্রটির জন্য নাটকের অনেক অভিনেত্রীই মাথায় ছিল পরিচালক সঞ্জয় সমাদ্দারের। এরমধ্যে ফারিণ অন্যতম। তবে ফারিণ চরিত্রটি হয়ে উঠতে পারবেন, কী পারবেন না এ বিষয়ে সংশয় ছিল ইনসাফ টিমের অনেকের। পরিচালকের থেকে গল্প শোনার পরেই অভিনেত্রী বিনাবাক্যে বলে দিয়েছিলেন তিনি চরিত্রটি করবেন। সে সময় ফারিণের কণ্ঠে ছিল দৃঢ়তা; যেটি পরিচালককে আত্মবিশ্বাসী করেছিল বহুগুণ। সঞ্জয় সমাদ্দারের ভাষ্যে, ‘ফারিণ চরিত্রটি পারবে সেটিতে বিশ্বাস ছিল। এতটা ভালো করবে সেটি ভাবিনি। ইনসাফের শুটিং শুরুর আগে ফারিণ প্রায় মাসখানেক সময় নিয়ে নিজেকে তৈরি করেছে। নিয়মিত মারাপিটের রিহার্সাল, নাচের প্র্যাক্টিস সব নিজ উদ্যোগেই করেছে সে। এমনকি অ্যাকশন দৃশ্যে বারবার চোটও পেয়েছে। তবুও সে দমে যায়নি। ফারিণ তার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমার মনে হয়ে পেরেছেও। ফলাফল সিনেমা মুক্তির পর যখন আমরা সিনেমা হল ভিজিটে গিয়েছি সবাই একবাক্যে ফারিণের প্রশংসা করেছেন। সবাই বলেছেন, এতদিন বাংলা সিনেমায় নায়িকাদের যেভাবে দেখেছেন ফারিণ একেবারে ভিন্নভাবে হাজির হয়েছেন। বিশেষ করে নারী দর্শকরা দারুণভাবে গ্রহণ করেছেন ফারিণকে।’ 

ফারিণ কি নিয়মিত থাকবেন

নাটকের অভিনেত্রীরা সিনেমায় এলেও এখানে খুব কমসংখ্যকই নিয়মিত হন। হুট করে দেখা যায় ফের নাটক আর ওটিটিতেই নিয়মিত হয়ে পড়ছেন। ফারিণের বেলাতেও কি এমনটি ঘটবে? নাকি বাণিজ্যিক সিনেমার নায়িকা হিসেবে জয়া আহসান ও মিমদের উত্তরসূরি হবেন তিনি। উত্তর ফারিণ নিজেই দিয়েছেন। যদিও সে উত্তরে খোলাসা করে বলেননি কিছুই। অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘‘একটা সময় আমি নাটকে নিয়মিত কাজ করতাম। সেখান থেকে কিছুটা বিরতি নিয়ে ওটিটিতে গিয়েছি। তখন অনেকে বলেছেন, নাটকেই তো ভালো ছিলাম। ওটিটিতে যাওয়ার কী দরকার ছিল। ওটিটিতে সাফল্য পাওয়ার পর আবার সিনেমায় পথচলা শুরু করলাম। তখনও অনেকেই একই কথা বলেছেন। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, একটি জায়গায় আমি খুব বেশি দিন ভালো থাকি না। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে খুব ভালো লাগে। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই ‘ইনসাফ’ সিনেমাটি করেছি। বাণিজ্যিক সিনেমায় যেহেতু কাজ শুরু করেছি, থামার জন্য করিনি। অবশ্যই আমাকে নিয়মিত থাকতে হবে। তবে ব্যতিক্রমী চরিত্র তো লাগবে।’’
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত সন য় ফ র ণ ন চর ত র প রস ত ত অ য কশন কর ছ ন ইনস ফ

এছাড়াও পড়ুন:

সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম

সালাতুল হাজত একটি নফল নামাজ, যা বিশেষ প্রয়োজনকে সামনে রেখে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে আদায় করা হয়। এই নামাজের মাধ্যমে মুমিন ব্যক্তি জীবনের বিভিন্ন কঠিন পরিস্থিতিতে আল্লাহর নৈকট্য ও সাহায্য কামনা করে।

হাদিসে সালাতুল হাজতের ফজিলত ও নিয়ম বর্ণিত আছে, যা মুমিনের আল্লাহর ওপর ভরসাকে দৃঢ় করে।

সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম

সালাতুল হাজত একটি নফল নামাজ, যা সাধারণত দুই রাকাত আদায় করা হয়। তবে ইচ্ছা হলে চার বা ততোধিক রাকাতও পড়া যায়। নামাজের নিয়ম বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো:

১. অজু করা

সালাতুল হাজত নামাজের জন্য পূর্ণ পবিত্রতা প্রয়োজন। তাই প্রথমে অজু করতে হবে। অজুর ফরজ চারটি: মুখমণ্ডল ধোয়া, দুই হাত কনুই পর্যন্ত ধোয়া, মাথায় মসেহ করা এবং দুই পা টাখনু পর্যন্ত ধোয়া। এ ছাড়া সুন্নত অনুযায়ী অজু করা উত্তম, যেমন বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা, কুলি করা, নাকের ভেতরে পানি দেওয়া ইত্যাদি। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৮৫)

সালাতুল হাজত একটি নফল নামাজ, যা বিশেষ প্রয়োজনকে সামনে রেখে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে আদায় করা হয়। সাধারণ ফরজ বা নফল নামাজের মতোই পড়তে হয়।

২. নিয়ত করা

নামাজ শুরু করার আগে মনে মনে সালাতুল হাজতের নিয়ত করতে হবে। নিয়তের উদাহরণ: ‘আমি দুই রাকাত সালাতুল হাজত নফল নামাজ আল্লাহর জন্য আদায় করছি, আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করে।’

নিয়ত মনে মনে করা যথেষ্ট, মুখে বলা জরুরি নয়। (সাইয়্যিদ সাবিক, ফিকহুস সুন্নাহ, পৃষ্ঠা: ১৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ২০১৮)

আরও পড়ুনইশরাকের নামাজ: সকালের আলোয় আল্লাহর নৈকট্য ০৪ জুলাই ২০২৫

৩. দুই রাকাত নামাজ আদায়

প্রথম রাকাত: তাকবিরে তাহরিমা (আল্লাহু আকবার) বলে নামাজ শুরু করা। সুরা ফাতিহার পর যেকোনো সুরা পড়া, যেমন সুরা ইখলাস। তারপর রুকু, সিজদা ও অন্যান্য নিয়ম অনুসরণ করে প্রথম রাকাত সম্পন্ন করা।

দ্বিতীয় রাকাত: একইভাবে সুরা ফাতিহার পর একটি সুরা পড়া, রুকু, সিজদা ও তাশাহহুদ পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা।

এই নামাজ সাধারণ ফরজ বা নফল নামাজের মতোই পড়তে হবে, তবে খুশুখুজু (মনোযোগ) বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। (সুনান তিরমিজি, হাদিস: ৪৭৮)

৪. নামাজের পর দোয়া

নামাজ শেষে আল্লাহর প্রশংসা ও দরুদ পড়ে নিজের প্রয়োজনের জন্য দোয়া করতে হবে। আব্দুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির আল্লাহর কাছে কোনো প্রয়োজন বা মানুষের কাছে কোনো দরকার থাকে, সে যেন অজু করে দুই রাকাত নামাজ পড়ে, তারপর আল্লাহর প্রশংসা করে, নবীর ওপর দরুদ পড়ে এবং এই দোয়া পড়ে:

উচ্চারণ: ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম, সুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম, আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, আসআলুকা মুজিবাতি রাহমাতিক, ওয়া আজাইমা মাগফিরাতিক, ওয়াল গানিমাতা মিন কুল্লি বিরর, ওয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইসম। লা তাদা লি জাম্বান ইল্লা গাফারতাহু, ওয়া লা হাম্মান ইল্লা ফাররাজতাহু।’

অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি সহনশীল ও দয়ালু। পবিত্র মহান আরশের প্রভু আল্লাহ। সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রভু আল্লাহর জন্য। আমি তোমার কাছে তোমার রহমতের কারণ, ক্ষমার দৃঢ়তা, প্রতিটি পুণ্যের লাভ এবং সব পাপ থেকে মুক্তি প্রার্থনা করি। আমার কোনো গুনাহ রেখো না, যা তুমি ক্ষমা করোনি এবং কোনো দুশ্চিন্তা রেখো না, যা তুমি দূর করোনি।’ (সুনান তিরমিজি, হাদিস:: ৪৭৮)

৫. অতিরিক্ত দোয়া

ওপরের দোয়ার পর নিজের প্রয়োজন বা দরকারের জন্য নিজের ভাষায় আল্লাহর কাছে দোয়া করা। দোয়া করার সময় আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখা এবং ধৈর্যের সঙ্গে ফলাফলের অপেক্ষা করা।

আরও পড়ুননামাজ আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধির একটি ধাপ১৭ জুলাই ২০২৫সালাতুল হাজতের সময়

সালাতুল হাজত নির্দিষ্ট কোনো সময়ের সঙ্গে সীমাবদ্ধ নয়। এটি যেকোনো সময় আদায় করা যায়, তবে নিষিদ্ধ সময় (যেমন সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত বা ঠিক মধ্যাহ্নে) এড়িয়ে চলতে হবে। সর্বোত্তম সময় হলো:

রাতের শেষ প্রহর (তাহাজ্জুদের সময়)।

ফজর বা মাগরিব নামাজের পর।

জুমার দিনে, বিশেষ করে আসর ও মাগরিবের মাঝে। (মুহাম্মদ ইবনে সালিহ, আল-ফিকহুল মুয়াসসার, পৃষ্ঠা: ১৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ২০১৫)

সালাতুল হাজতের ফজিলত

সালাতুল হাজত নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে উল্লেখ আছে। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সালাতুল হাজত পড়ে এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করেন।’ (সুনান তিরমিজি, হাদিস: ৪৭৮)

এই নামাজ মুমিনের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনার একটি শক্তিশালী মাধ্যম, যা মানসিক শান্তি ও ইমানের দৃঢ়তা বাড়ায়।

সতর্কতা

নিষিদ্ধ সময় এড়ানো: সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও মধ্যাহ্নে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকা।

খুশুখুজু: নামাজ ও দোয়ায় মনোযোগ বজায় রাখা, যাতে ইবাদত পূর্ণতা পায়।

হারাম প্রয়োজনে না: সালাতুল হাজত শুধু জায়েজ ও হালাল প্রয়োজনের জন্য পড়তে হবে।

ধৈর্য: দোয়ার ফলাফলের জন্য ধৈর্য ধরা, কারণ আল্লাহ সর্বোত্তম সময়ে প্রয়োজন পূরণ করেন। (ইবনে হাজার আসকালানি, ফাতহুল বারি, ২/৪৮০, দারুল মা’রিফা: ১৯৮৯)

সালাতুল হাজত নামাজ মুমিনের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনার একটি অসাধারণ মাধ্যম। এটি দুই রাকাত নফল নামাজ, যার পর নির্দিষ্ট দোয়া ও নিজের প্রয়োজনের জন্য দোয়া করা হয়। জীবনে ব্যস্ততার মাঝেও এই নামাজ সহজেই আদায় করা যায়।

আরও পড়ুনজীবনকে ছন্দে ফেরাবে ‘ধীর নামাজ’২৪ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ