বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ২৪৭ রানের জবাবে দুর্দান্ত ওপেনিং জুটি পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। কলম্বোয় দলটির শতক ছোঁয়া জুটি ভেঙেছেন তাইজুল। তুলে নিয়েছেন লাহিরু উদারাকে।
শ্রীলঙ্কা ২৭ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান করেছে। ক্রিজে থাকা ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ৫৮ রান করেছেন। তার সঙ্গী দিনেশ চান্ডিমাল। উদারা ৪০ রান করে ফিরেছেন।
আড়াইশ’ ছোঁয়া পুঁজি: কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালেই সাজঘরে ফেরেন এবাদত হোসেন। উপায় নেই দেখে ব্যাট চালিয়ে খেলেছেন তাইজুল ইসলাম। ২২০ রানে প্রথম দিন শেষ হওয়া ইনিংস ২৪৭ রানে নিয়েছেন তিনি। তাইজুল খেলেছেন ৩৩ রানের ইনিংস। সকালে বাংলাদেশের ইনিংসে ৭.
দুইশ’র আগে আউট মিরাজ: মুশফিক ও লিটনের বিদায়ের পর নাঈম হাসানকে নিয়ে আশা দিচ্ছিলেন মেহেদী মিরাজ। কিন্তু তিনি ৩১ রান করে ওয়ানডের মতো ব্যাটিং করে আউট হন। সপ্তম ব্যাটার হিসেবে দলের ১৯৭ রানে সাজঘরে ফেরেন। দলের রান দুইশ’ ছাড়িয়ে ব্যক্তিগত ২৫ রানে ফেরেন নাঈম।
মুশফিক-লিটনের আত্মহনন: কলম্বোয় ৭৬ রানে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারানোর পর মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস দলকে সেরা ভরসাটা দিচ্ছিলেন। ততক্ষণে বল পুরনো হয়েছে, উইকেট সহজ হয়েছে। নির্ভার ব্যাটিংও করছিলেন তারা। কিন্তু ৬৭ রানের জুটি দিয়ে আত্মঘাতী শট খেলে আউট হন লিটন। পরেই সুইপ খেলে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক তারা। তারা যথাক্রমে ৩৪ ও ৩৫ রান করেন।
লাঞ্চ করে সাদমান-শান্তর ভাত ঘুম: শুরুতে এনামুল বিজয় ও মুমিনুল হক ফিরলেও ওপেনার সাদমান ইসলাম ভালো ব্যাটিং করছিলেন। গল টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি পাওয়া নাজমুল শান্ত ক্রিজে এসে তাকে নিয়ে লাঞ্চে যান। দল তখন দুই উইকেট হারিয়েছে। কিন্তু লাঞ্চের পরই তিন রান করে যোগ করে সাদমান ও শান্ত আউট হন। সাদমান ৪৬ রান করেন। শান্ত করেন ৮।
বিজয়ের আবার শূন্য: গল টেস্টের উইকেট ছিল নিঁখাদ ব্যাটিং বান্ধব। রান ও সেঞ্চুরির কীর্তির ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ডাক মারেন বিজয়। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হন। কলম্বোতেও ১০ বল খেলে শূন্য করে বোল্ড হন তিনি। দু’বার জীবন পেয়েও প্লেড অন হন বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে।
অভিষিক্ত সোনালের বাজিমাত: শ্রীলঙ্কার হয়ে প্রথম ইনিংসে আসিথা ফার্নান্দো ৩ উইকেট নিয়েছেন। দলে ফেরা বাঁ হাতি পেসার বিশ্ব ফার্নান্দো নিয়েছেন ২ উইকেট। তবে অভিষিক্ত সোনাল দিনুশা বাজিমাত করেছেন। তিনি ৩ উইকেট নেন যার প্রথম দুটি ছিল লিটন ও মুশফিকের। শেষ ব্যাটার তাইজুলকেও ফিরিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ দিনের সেরা তিন উইকেটই গেছে তার দখলে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স দম ন ত ইজ ল র ন কর প রথম উইক ট কলম ব
এছাড়াও পড়ুন:
৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ নিয়ে সারজিস-হাসনাত-আখতারের আপত্তি
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিন ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও আখতার হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে ফেসবুকে এক পোস্টে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে ৫ আগস্ট। ৮ আগস্ট না। ৫ আগস্টের সাধারণ ছাত্র–জনতার এই অর্জনকে সরকারের কুক্ষিগত করার চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।’
কাছাকাছি সময়ে এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি লিখেছেন, ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস সেদিন হবে, যেদিন জুলাই ঘোষণাপত্র আসবে, যেদিন মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে জুলাই সনদ হবে।’
আরো পড়ুন:
দুদকের চা খাওয়ার বিল এক লাখ টাকা: অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
অবৈধ বালু ব্যবসায় বাধা, এনসিপি নেতা ও তার স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সন্ধ্যায় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘৮ আগস্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতা শুরু হয়নি। দ্বিতীয় স্বাধীনতা নষ্টের, ছাড় দেওয়ার এবং বিপ্লব বেহাতের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস’ এবং ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস।’
ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর তিন দিন পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। গতকাল ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ এবং ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
একই সঙ্গে গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলন নতুন মাত্রা পেয়েছিল যেদিন, সেই ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা করা হয়। ওই দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথম নিহত হন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ, যিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ।
গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে প্রতি বছর যথাযথভাবে এই তিন দিবস প্রতিপালন করতে বলা হয়।
ঢাকা/এসবি