৯৯৯- এ ফোন পেয়ে যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করল পুলিশ
Published: 26th, June 2025 GMT
বগুড়ার শাজাহানপুরে ছুরিকাঘাতে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার রাতে শাজাহানপুর থানার বেতগাড়ী গ্রামে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের পূর্ব পাশে ফটকি ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম আনোয়ার হোসাইন (৩১)। তিনি নওগাঁর মান্দা উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের খোয়াজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বগুড়ার শাজাহানপুর থানার সাজাপুর আকন্দপাড়ায় ভাড়া থাকতেন। পেশায় রেনেটা কোম্পানির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিস্ট্রিবিউটর। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম শফিক।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় এক ব্যক্তি মরদেহ দেখে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে শাজাহানপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে। বিষয়টি হাইওয়ে থানা পুলিশকে জানানো হয়। পরে হাইওয়ে থানা পুলিশের একটি দল ভোর সাড়ে ৫টায় ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে রোড এক্সিডেন্টের কোনো আলামত নেই।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায়, নিহত আনোয়ারের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। বুকের ডান পাশে ও নিচে, ডান হাতের কনুই এবং কব্জির মাঝামাঝি স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা রাতের কোনো এক সময় তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে।
নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।
আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।
এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।