ভারতের মুম্বাইসহ বিভিন্ন শহরে কাজ করা ২৭ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। তাঁদের মধ্যে ১৯ জনকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও আটজনকে মেহেরপুরের গাংনী সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা পুলিশের হেফাজতে আছেন। যাচাই–বাছাই শেষে তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের জাম্বুরাছড়া সীমান্ত দিয়ে ১৯ বাংলাদেশি প্রবেশ করেন। তাঁরা একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল পেয়ে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন যে তাঁরা ভারতের মুম্বাইসহ বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতেন। তাঁদের নাম–ঠিকানা যাচাই করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ জানায়, এই ১৯ জনের মধ্যে ৬ পুরুষ, ৯ নারী ও ৪ শিশু রয়েছে। তাঁদের বাড়ি শরীয়তপুর, যশোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম জেলায়।

একই দিনে ভোরে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের খাশমহল সীমান্ত দিয়ে আরও আট বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। তাঁদের মধ্যে নারী ও শিশু আছে।

খাশমহল ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার আবুল বাসার বলেন, এই আটজন নিজেদের বাংলাদেশি দাবি করলেও কারও কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। তাই যাচাই–বাছাই শেষে তাঁদের গাংনী থানায় সোপর্দ করা হবে।

ফেরত আসা কয়েকজন বলেন, তাঁরা দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। ভারতীয় পুলিশ তাঁদের ধরে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিএসএফ তাঁদের সীমান্তে এনে কাঁটাতারের গেট খুলে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।

আমিনুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘ভারতে নির্মাণশ্রমিকদের ভালো বেতন মেলে, এমন কথা শুনে দালালের মাধ্যমে নদীয়ার বহরমপুর এলাকায় যাই। প্রায় তিন বছর কাজ করার পর হঠাৎ পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এরপর জেলে ছিলাম। গতকাল বুধবার রাতে বিএসএফ আমাদের একটি বড় ট্রাকে সীমান্তে এনে নামিয়ে দেয়।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর সীমান্ত থেকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছেন বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে।

ওই ব্যক্তির নাম বদরউদ্দীন (৩০)। তিনি জেলার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর গ্রামের স্কুল পাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে।

আরো পড়ুন:

পাহাড় থেকে পা পিছলে পড়ল শিশুটি, বিজিবির সহায়তায় জীবনরক্ষা 

দুর্গাপূজা বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য ও মিলনমেলার প্রতীক: বিজিবির মহাপরিচালক

বুধবার (১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ভারতের নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বদরউদ্দীন মানব পাচারে জড়িত। বুধবার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাঁচ থেকে ছয় জনকে ভারতে পাচার করছিলেন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা ধাওয়া করলে বদরউদ্দীনের সঙ্গে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। তবে, ধরা পড়েন তিনি। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে নোনাগঞ্জ ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিএসএফ সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে বিজিবি পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’’

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিএসএফ এক জনকে ধরে নিয়ে গেছে বলে লোকমুখে শুনেছি।’’

মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, ‘‘অসমর্থিত সূত্রে জানতে পেরেছি, বিএসএফ এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।’’

ঢাকা/মামুন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর, সবাই কয়রার বাসিন্দা
  • সীমান্তের শূন্যরেখায় শেষবারের মতো মৃত বাবার মুখ দেখলেন মেয়ে
  • জীবননগর সীমান্ত থেকে এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
  • চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ