যখন সবাই দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছিল জঙ্গলের দিকে, পাশের গ্রামগুলোতে বা নিজেদের আড়াল করতে পাতকুয়ায় ঝাঁপ দিচ্ছিল, তখন মোহাম্মদ দীনু বাড়িতে থেকে যান।

নভেম্বরের তীব্র শীতের রাতে পুলিশ ঘিরে ফেলে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের উত্তাওয়ার গ্রামটি। এটা রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে। পুলিশের কাছে আদেশ ছিল, সন্তান জন্মদানের উপযোগী সব পুরুষকে গ্রামের মাঠে জড়ো করতে হবে।

ভারত তখন প্রায় ১৭ মাস ধরে এক প্রকার স্বৈরশাসনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরি অবস্থার মধ্যে ছিল দেশ; নাগরিক স্বাধীনতা ছিল স্থগিত। হাজার হাজার রাজনৈতিক বিরোধীকে বিচার ছাড়াই বন্দি করা হয়েছিল। বিশ্বব্যাংক ও যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তায় ভারত জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণের এক ব্যাপক কর্মসূচিতে হাত দেয়।

ওই সময় দীনু ও তার ১৪ জন বন্ধু এই কর্মসূচির লক্ষ্য হয়ে ওঠেন। তাদের জোর করে বাহিনীর গাড়িতে তোলা হয় এবং নিয়ে যাওয়া হয় অব্যবস্থাপনায় চালিত বন্ধ্যাকরণ (খোঁজাকরণ বা নসবন্দি) ক্যাম্পে। দীনুর কাছে এটি ছিল একটি ‘ত্যাগ’।

মোহাম্মদ দীনু এখন জীবনের শেষ প্রান্তে। বয়স ৯০ এর কোঠায়। একটা পায়া ভাঙা খাটে বসে দীনু স্মৃতিচারণ করে আলজাজিরাকে বলেন, “যখন সবাই নিজেদের বাঁচাতে পালাচ্ছিল, তখন গ্রামের কিছু বয়োজ্যেষ্ঠ বুঝতে পারেন, যদি কাউকে না পাওয়া যায়, তাহলে সেটা আরো বড় বা দীর্ঘমেয়াদি বিপদের কারণ হবে। তাই গ্রামের কিছু পুরুষকে জড়ো করে তুলে দেওয়া হয়।”

তিনি বলেন, “আমরা ত্যাগের মাধ্যমে এই গ্রামকে রক্ষা করেছি। চারদিকে দেখুন, এখন এই গ্রাম শিশুদের কোলাহলে ভরে আছে।”

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র যখন ২৫ জুন জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি পালন করছে, তখন উত্তাওয়ারে সেই জোরপূর্বক খোঁজাকরণ বা নসবন্দি প্রকল্পের টার্গেট হওয়া দীনুই একমাত্র বেঁচে আছেন। 

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর শাসনামলে সংবিধানের ৩৫২ অনুচ্ছেদের অধীনে নেওয়া ওই পদক্ষেপ ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে তীব্রভাবে নাড়া দেয়।

ওই সময় জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত ৮০ লাখের বেশি পুরুষকে জোরপূর্বক নসবন্দি করা হয়। যার মধ্যে শুধু ১৯৭৬ সালেই ছিল ৬ লাখ। বন্ধ্যাকরণ অস্ত্রোপচারে অব্যবস্থাপনার কারণে প্রায় ২ হাজার মানুষ মারা যান। পাঁচ দশক পরও সেই ক্ষত উত্তাওয়ার গ্রাম তার বুকে আজও বয়ে চলছে।

‘একটি কবরস্থান, শুধুই নিস্তব্ধতা’
ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র পাঁচ বছর পর ১৯৫২ সালে ভারত বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে একটি জাতীয় পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি গ্রহণ করে। ওই প্রকল্পটি ছিল একটি উৎসাহমূলক প্রচেষ্টা। পরিবারগুলোকে দুটির বেশি সন্তান না নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হতো।

তবে ১৯৬০ এর দশকে যখন প্রতি নারীর গড় সন্তান সংখ্যা প্রায় ৬ জনে দাঁড়ায়, তখন ইন্দিরা গান্ধীর সরকার আরো আগ্রাসী পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। ভারতের দ্রুত বেড়ে চলা জনসংখ্যাকে অর্থনীতির জন্য বোঝা হিসেবে দেখা হয়।

পশ্চিমা বিশ্বের ভাবনাও একই ছিল। বিশ্বব্যাংক ভারতকে পুরুষ বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচির জন্য ৬৬ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়। আর যুক্তরাষ্ট্র তাদের খাদ্য সহায়তা বজায় রাখার শর্ত বানায় ভারত সরকার তার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কতটা সফল হচ্ছে, সেটির ওপর।

জরুরি অবস্থার সময় সব গণতান্ত্রিক কাঠামো নিষ্ক্রিয় করা হয়। তখন সরকারি কর্মীদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে ও সাধারণ মানুষকে শাস্তির ভয়ে বাধ্য করে এই বন্ধ্যাকরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়।

সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট কোটা দেওয়া হয়েছিল, কতজনকে তারা বন্ধ্যাকরণ করাবে। যারা লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হতো, তাদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হতো কিংবা চাকরিচ্যুতির হুমকি দেওয়া হতো। যেসব গ্রাম এই কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানাত, তাদের সেচের পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হতো। 

পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রতিরোধকারী জনগণের বিরুদ্ধে, যেমন উত্তাওয়ার গ্রামে, যেখানে অধিকাংশই মুসলিম। তখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্মহার তুলনামূলক বেশি ছিল, ফলে তারা এই দমনমূলক বন্ধ্যাকরণ অভিযানের বিশেষ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।

দীনুর বাড়ির পাশের গলিতে থাকেন মোহাম্মদ নূর। ওই সময় তার বয়স ছিল ১৩ বছর। ওই সময়ের স্মৃতিচারণ করে নূর জানান, একদিন ঘরের বাইরে পাতা চৌকিতে বাবার বাহুতে মাথা দিয়ে শুয়ে ছিলেন। এমন সময় ঘোড়ায় চড়ে কিছু পুলিশ তাদের বাড়িতে হানা দেয়। তখন তার বাবা পাশের জঙ্গলের দিকে দৌড়ে পালান, আর নূর ঘরের ভেতরে যান।

নূর বলেন, “তারা দরজা ভেঙে ফেলল, যা কিছু সামনে পেল তা গুঁড়িয়ে দিল। আমাদের কষ্ট আরো বাড়াতে তারা ময়দায় বালি মিশিয়ে দিল। গ্রামে এমন একটি ঘরও ছিল না, যেখানে পরবর্তী চার দিন কোনো রান্না করা সম্ভব হয়েছিল।”

নূরকে সেই অভিযানে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, থানায় মারধর করা হয় এবং পরে ছেড়ে দেওয়া হয়—কারণ তার বয়স ছিল ১৫ বছরের নিচে; যা বন্ধ্যাকরণের জন্য কম বয়স।

ভয়ের সেই রাত গ্রামের মানুষ এখনো স্মরণ করে। তারা ভোলেননি ওই সময় গ্রাম-প্রধান আবদুর রহমানের নেওয়া উদ্যোগকে।

নূরের শৈশবসাথী তাজামূল মোহাম্মদ এই বিষয়ে বলেন, “আমাদের গ্রামের বাইরে কেউ হয়তো তার (আবদুর রহমান) নাম জানে না কিন্তু আমরা জানি।” 

তাজামূল বলেন, “উত্তাওয়ারে অভিযানের আগে বেশ কিছু কর্মকর্তা রহমানের কাছে এসে কিছু পুরুষকে ‘দিয়ে দিতে’ বলেন। কিন্তু তিনি দৃঢ়ভাবে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন, ‘আমি কোনো পরিবারকে বিপদের মুখে ফেলতে পারি না।’ রহমান এমনকি আশেপাশের গ্রাম থেকে আশ্রয় নিতে আসা পুরুষদেরও তুলে দিতে রাজি হননি।”

“রহমান কর্মকর্তাদের বলেন, আমি আমার এলাকা থেকে একটি কুকুরও দেব না, আর তোমরা মানুষের দাবি করছো? কখনো না!”

তামাকের হুঁকায় টান দিতে দিতে নূর বলেন, “কিন্তু রহমানের এই দৃঢ়তা গ্রামকে রক্ষা করতে পারেনি। পুলিশি অভিযানের পর উত্তাওয়ার হয়ে পড়ে এক শোকগ্রস্ত গ্রাম। যারা পালিয়ে গিয়েছিল, কিংবা যাদের পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা বহু দিনেও গ্রামে ফেরেনি।”

“উত্তাওয়ার হয়ে যায় কবরস্থান, শুধুই নিস্তব্ধতা।”
পরবর্তী বছরগুলোতে এর প্রভাব আরো ভয়াবহ রূপ নেয়। আশেপাশের গ্রামগুলো উত্তাওারের পুরুষদের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। এমনকি যাদের বন্ধ্যাকরণ হয়নি, তাদের সঙ্গেও। এমনকি কিছু বিয়ে বাতিলও হয়ে যায়।

স্থানীয় সমাজকর্মী কাসেম বলেন, “কিছু মানুষ কখনোই মানসিকভাবে সেই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি, তারা বছরের পর বছর উদ্বিগ্ন বা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় কাটিয়েছে। সামাজিক ট্যাবু আর চাপ তাদের শেষ করে দিয়েছে।”

আজকের ভারতেও সেই প্রতিধ্বনি
ভারতে এখন আর কোনো জোরপূর্বক জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি নেই। দেশে গড় প্রজনন হার এখন নারীপ্রতি দুজনের একটু বেশি। তবু বিশেষজ্ঞদের মতে, জরুরি অবস্থার সময় যে ভয়ের পরিবেশ ও দমনমূলক মনোভাব গড়ে উঠেছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে তা আবার নতুন রূপে ফিরে এসেছে।

১৯৭৫ সালের ১২ জুন এলাহাবাদ হাইকোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে ইন্দিরা গান্ধীকে ১৯৭১ সালের লোকসভা নির্বাচনে জালিয়াতি ও সরকারি যন্ত্রের অপব্যবহার করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেন। ফলে তাকে ছয় বছরের জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও পদে থাকার অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। এই রায়ে তার প্রধানমন্ত্রীত্ব হুমকির মুখে পড়ে। ফলে নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ভারতে জরুরি অবস্থা জারি করেন।

৭৫ বছর বয়সি খ্যাতনামা ভারতীয় সমাজবিজ্ঞানী শিব বিশ্বনাথনের মতে, জরুরি অবস্থা জারি হয় এক ধরনের কর্তৃত্ববাদকে প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যম। 

বিশ্বনাথন বলেন, “এই জরুরি অবস্থাই ছিল কর্তৃত্ববাদের সাধারণীকরণ। আসলে এই জরুরি অবস্থাই আজকের ভারতের বিভিন্ন ‘জরুরি অবস্থার’ ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। এটা ছিল উত্তর-আধুনিক ভারতের ভিত্তি।”

ইন্দিরা গান্ধীর অনুগামীরা তাকে হিন্দু দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করতেন। এমনকি তারা বলতেন, দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’র উচ্চারণের সঙ্গেও মিল রয়েছে । ঠিক তেমন করে মোদির অনুগামীরা তাকে হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর সঙ্গে তুলনা করেন।

বিশ্বনাথনের মতে, ব্যক্তিপূজার সংস্কৃতি ইন্দিরা গান্ধীর সময় যেভাবে বেড়েছিল, তাতে দেশের বিচারবোধ হারিয়ে যায়।

তিনি বলেন, “যদিও জরুরি অবস্থা ১৯৭৭ সালে প্রত্যাহার করা হয়, তবু দেশটি ধীরে ধীরে ছদ্মবেশী গণতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদের দিকে এগিয়ে গেছে। ইন্দিরা গান্ধী থেকে নরেন্দ্র মোদি- প্রত্যেকেই গণতন্ত্রের মুখোশ পরে কর্তৃত্ববাদী সমাজ গড়ে তুলেছেন।”

২০১৪ সালে মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের গণতন্ত্র এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে অবনতি হয়েছে। রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী ও সাংবাদিকদের কারাবন্দি করা, বাকস্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ, এসবই উদ্বেগের কারণ।

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষাকারী সংগঠন ফ্রি স্পিচ কালেকটিভ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা গীতা সেশু বলেন, “জরুরি অবস্থার সময় ও বর্তমান ভারতের মধ্যে একটি বড় মিল হলো, মূলধারার সংবাদমাধ্যমের মাথা নত করা।”

তিনি বলেন, “তখন এবং এখন— দুই সময়েই সাধারণ মানুষকে তথ্য থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তখন নাগরিক অধিকার আইন দিয়ে স্থগিত হয়েছিল, আর এখন আইনকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভয় আর আত্মনিয়ন্ত্রণ তখন যেমন ছিল, আজও তা বিদ্যমান; যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়নি।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অসীম আলী বলেন, “জরুরি অবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো, ‘একটি শক্তিশালী ও দৃঢ় নেতৃত্বের মুখে কীভাবে প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা সহজেই গলে যায়।”

ওই সময়ে জরুরি অবস্থার ফল ছিল ১৯৭৭ সালে ইন্দিরা গান্ধী ও কংগ্রেসের ভরাডুবি ঘটিয়ে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় জনগণ। 

অসীম আলী বলেন, “৭০ দশকের মতো মোদির শাসনামলের পর ভারতীয় গণতন্ত্র কী আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, তা এখনো দেখার বিষয়।”

সাত পুরুষ!
১৯৭৬ সালের নভেম্বরে পুলিশ যখন দীনুকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল তখন তিনি শুধু তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সেলিমার কথাই ভাবছিলেন। তিনি তখন বাড়িতেই ছিলেন।

ওই দিনের ঘটনা স্মরণ করে দীনু বলেন, “অনেক অবিবাহিত বা নিঃসন্তান পুরুষ সেদিন পুলিশের কাছে কাকুতি-মিনতি করছিল মুক্তি দেওয়ার জন্য। আমার ১৪ জন বন্ধুর কাউকেই ছাড়া হয়নি সেদিন।” 

তিনি বলেন, “নসবন্দি এমন এক অভিশাপ, যা উত্তাওয়ারকে তখন থেকে প্রতিটি রাত তাড়া করে বেড়াচ্ছে।” 

পুলিশ হেফাজতে আট দিন থাকার পর দীনুকে নেওয়া হয় উত্তাওয়ারের কাছের শহর পালওয়ালের এক বন্ধ্যাকরণ ক্যাম্পে। যেখানে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। নসবন্দি শেষে এক মাস পর তিনি বাড়ি ফেরেন। তখন সেলিমা তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান জন্ম দেন। এখন দীনুর তিন নাতি এবং বেশ কয়েকজন পুতনি রয়েছে।

হাসতে হাসতে দীনু বলেন, “এই গ্রামটাকে আমরাই রক্ষা করেছি। না হলে ইন্দিরা তো এই গ্রামে আগুন লাগিয়ে দিতেন!”

দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ২০২৪ সালে দীনুর স্ত্রী মারা যান। আর দীনু শেষ জীবনে নাতি-পুতিদের সঙ্গে ভালোই আছেন। 

প্লাস্টিকের পানির কাপে চুমুক দিতে দিতে তিনি বলেন, “সাত পুরুষ! তুমি এমন কয়জন মানুষ দেখেছ, যারা এই সৌভাগ্য উপভোগ করে?” 

[লেখক পরিচিতি: যশরাজ শর্মা একজন তরুণ ও নির্ভীক সাংবাদিক, যিনি কাশ্মীরের বাস্তবতা ও প্রান্তিক মানুষের কণ্ঠ তুলে ধরতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি দ্য কাশ্মীর ওয়াল্লা-এর অন্তর্বর্তী সম্পাদক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০২২ সালে থমসন ফাউন্ডেশনের ইয়াং জার্নালিস্ট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। যশরাজ শর্মার বিশেষ লেখাটি আলজাজিরা প্রকাশ করেছে ২৫ জুন। লেখাটি অনুবাদ করেছেন তানজিনা ইভা।] 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণতন ত র স ব ধ নত এই গ র ম র জন ত ক ম হ ম মদ অবস থ র ব যবস থ হয় ছ ল ইন দ র র জন য সরক র র সময় ই সময় রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

সবুজবাগে ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে পথচারী আহত

রাজধানীর সবুজবাগের বাইগদিয়া নুনের টেক এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে মনির হোসেন (৪৬) নামে এক নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, আহত মনির হোসেন খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ গোড়ান এলাকায় থাকেন। পেশায় তিনি একজন নিরাপত্তাকর্মী।

মনিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন একই এলাকার বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম। তিনি জানান, বিকেলে কয়েকজন মিলে গোসল করার জন্য বাইগদিয়া এলাকায় যান মনির। সেখান থেকে হেঁটে ফেরার পথে মোটরসাইকেলে করে আসা অজ্ঞাতনামা কয়েকজন গুলি ছোড়ে। এতে তাঁর কোমরে গুলি লাগে।

সাইদুল আরও জানান, ঘটনাস্থলের পাশেই তখন গন্ডগোল চলছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় মনিরকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীর নামের একজন ড্রেজার ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। প্রাণ বাঁচাতে তিনি পানিতে লাফ দেন। তখন গুলি এসে নিরাপত্তারক্ষী মনিরের গায়ে লাগে। ওসি বলেন, এ ঘটনায় ছয়জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ