Prothomalo:
2025-11-17@08:31:01 GMT

রূপহীন এক রূপকথা

Published: 26th, June 2025 GMT

মিডিয়া

যেমন আয়নায় তাকালে অক্ষরগুলো

উল্টা দেখা যায়—

এ-ও এমন সমকালের আয়না

যার দিকে তাকালে সবকিছু ধাঁধা মনে হয়।

মনে হয়, তুমি হেঁটে যাচ্ছ সমুদ্রের ঢেউয়ের

ওপর দিয়ে আর আমি মাছ হয়ে

শুয়ে আছি তোমার পরিত্যক্ত বিছানায়।

ভীষণ শ্বাসকষ্টে ছটফট করছি।

কারণ, আমাদের জানালায় ছিল না কোনো

সত্যিকারের হাওয়া। বাগানে চিরসবুজ পাতা

ছিল আসলে প্লাস্টিকের গাছে। গান গাওয়া

পাখিটাও ব্যাটারিচালিত।

আমাদের মধ্যে সবচেয়ে নিরীহ লোকগুলোর

ঠাঁই মিলেছিল জেলখানার গরাদে

আর হিংস্র লোভী যারা, তারা ঘুরে বেড়াচ্ছিল

সিংহাসন কাঁধে করে অবাধে।

মুরগি ঘরে গেছে, মোরগ বসে আছে

মুরগি ঘরে গেছে, মোরগ বসে আছে—

রাত্রি থমথম, ঘুরে বেড়ায় এ সময় কেবল

পাগল ও সাহসী। সমুদ্রের রুপালি মাছ

ঈগলের প্রতিবেশী। ঝড়ের পিঠে সওয়ার হয়ে

সমুদ্র যায় আকাশের ঠিকানায়। এদিকে মোরগ

বসে আছে ঠায়। যদি বিক্রি হয়

আরও দু–একটা ঘাস–লতাপাতা। এই গ্রীষ্মের

দাপটে সে কিনতে পারবে দুইটা ছাতা।

মুরগি ঘরে গেছে, মোরগ বসে আছে—

চোখে তার টক টক কচি আমের মতো ঝুলে আছে

খুচরাখাচরা স্বপ্ন। মাঝে মাঝে আধোঘুমে

নর্দমার তলা থেকে ঝলকানি দেয় ধনরত্ন।

গ্রামের মনু গ্রামেই ভালো, শহরের লোক শহরে

চাঁদাবাজ ধরতে এলে লুকিয়ে যেয়ো কবরে।

মুরগি বসে আছে ভাত বেড়ে, মোরগ হয়ে গেছে

অন্য কারও খাবার। জাদুর শহরে গুম হওয়ার

কালোজাদুই তাকে করে দিল সাবাড়।

যে গাছ ব্যথার স্বাদ ভুলে গেছে

মানুষ তো সাপের মতো—বারবার খোলস বদলায়।

গাছের মতো—বারবার নিজেকে সাজায় নতুন পাতায়।

প্রকৃতির সবার মধ্যেই হয়তো এই ব্যাপারটা আছে।

এক জীবনে বহুবার জন্ম নেওয়া আর মরে যাওয়া—

মরে যাওয়া কঠিন হলেও সে আছে বলেই

আবারও জন্মানোর তৃষ্ণা নিয়ে মানুষ জেগে ওঠে

চরের উর্বর মাটিতে কোনো জংলি বীজের অঙ্কুরের মতো।

প্রতিবার তোমাদের প্রেমে মৃত্যুদণ্ড পেয়ে আমিও সেই

অসহায় আসামির মতো খুঁজেছি বেঁচে যাওয়ার

অকুণ্ঠ কৌশল। আর না পেয়ে মরে গেছি ফুলহীন মর্গে।

তারপর আবারও চরের উর্বর মাটিতে জংলি বীজের

অঙ্কুরের মতো জেগে ওঠা। নিজেকে ভালোবাসা, ভালোবাসা

সূর্যের সোনালি আলো, রংধনু রঙের ধুলো, পাতার

ডগায় বৃষ্টির কণা। ভালোবাসা সবাইকে, সবকিছুকে।

কারণ, এসবের মধ্যে আমি আছি, আমি ছড়িয়ে থাকি

পৃথিবীর কোণে কোণে। শুধু থাকি না তোমার আঁধার গুহার

মতো হৃৎপিণ্ডে। সেখানে থাকে কিছু পরিযায়ী পাখি।

একটা বড় কচুপাতায় নিজের দীর্ঘশ্বাস ঢাকি।

পিছু ফিরে দেখি, আমার বেদনারা আনন্দনৃত্য জুড়ে দিয়েছে

সারা রাস্তাজুড়ে। আমি তাদের দুঃখিত হতে বললে

তারা আরও জোরে চিৎকার করে গান গাইতে থাকে আর

নাচতে থাকে। তারপর আমি আমার প্রাচীন বেদনার গায়ে

হাত বোলাতে গিয়ে দেখি, সে একটা মরিচা পড়া বুলেট হয়ে

গেঁথে আছে লেবুর খোসার মতো কচি সবুজ পাতায় পল্লবিত

গাছটার বাকলে। যে গাছ ব্যথার স্বাদ ভুলে গেছে।

লোকটা বাংলাদেশেরই একটা লোক ছিল

পকেটভর্তি ট্যালেন্ট নিয়ে সে হাঁটছিল

পথে পথে। কিন্তু তার পকেটে কোনো

ট্যাকা ছিল না। তাই ট্যাকা হারানোর

ভয়ও তার ছিল না। যাবতীয় সম্পদ সে

লুকিয়ে রেখেছিল মগজের নির্জন ভল্টে

আর পথে পথে হাঁটত নিশ্চিন্তে

যেন সে নিঃস্ব, এমন ভান করে।

সারা জীবন সে পান করেছিল শিশিরের জুস

আর খেয়েছিল বাতাসের ফ্রি ঝাপটা।

না খেতে পেয়ে তার পাকস্থলী পিঁপড়ার পাকস্থলীর

মতো সরু হয়ে গিয়েছিল আর অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণে

তার মগজ মোটাসোটা একটা ভেড়ার মতো

বড় হয়ে উঠেছিল। এমন ভারসাম্যহীন একটা

শরীর নিয়ে সে অগস্ত্যযাত্রা করেছিল।

লোকটা বাংলাদেশেরই একটা লোক ছিল।

আমি এখনো জন্মাইনি

যা কিছু ঘটে যায় রৌদ্রসীমানায়

তা যেন অন্য কারও জীবন,

অন্য কেউ দিনলিপি লিখছে কষ্টের পৃষ্ঠায়।

পদ্মপাতায় আকাশ গলে জল

পড়ছে, পড়ছে—ভাবলেশহীন।

পিছিয়ে কিংবা এগিয়ে যাই প্রতিদিন, ভ্রুক্ষেপহীন.

..

তোমার আমার পার্থক্য ঠিক কতটুকু? তুমি কি সব সময় সঠিক?

আমার একাকিত্ব তোমার ভুবনসেরা উপহার।

প্রকারান্তরে তুমিও পেঁচিয়ে যাও সিসিফাসের ফাঁদে।

নাগরিক জ্বালার জানালায় দৃশ্য কাঁদে,

পার হয় ফাঁকিবাজ মহাকাল

আমাকে স্থির সেতু করে তার পায়ের তলে।

এখানে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা: নিজেকে হত্যা!

কিন্তু তা নয় আত্মহত্যার মতো রঙিন মিথ্যা।

অন্যের চোখের দুরবিনে আমি নেই

আমার চোখে নেই অন্য

শুধু পণ্য মাতলামি করে আর আমি

সে পণ্য গড়ার নগণ্য হাতিয়ার।

যা কিছু ঘটে যায় নির্বাক নির্মমতায়

তা হলো রূপহীন এক রূপকথা,

অন্য কারও ডানার শেকল আমাকে ছুঁয়ে দেয়।

এখানে শিশুরা খেলে ভয়াবহ অস্ত্র নিয়ে,

আগুন শিশুদের প্রিয় রং।

সবুজ দ্বীপপুঞ্জ পুড়ে গেছে মরুভূমির লেহনে,

শুধু কিছুটা ফিকে সবুজ আছে পেছনে

স্মৃতির দেয়ালে শেওলা হয়ে।

যা কিছু ঘটে যায় ঘটনাপরম্পরায়

তা ভীষণ অচেনা লাগে,

অন্য কারও জীবনের বোঝা চাপানো আমার মাথায়।

পৃথিবী এখনো একটা চারাগাছের ভবিষ্যৎ ফল;

আর আমি হই সেই ফলের পরিণতি সন্ধানী

দুরারোগ্য, প্রেমিক পোকা।

আমি এখনো জন্মাইনি।

আমি এখনো জন্মাইনি।

নিস্তব্ধতার সমুদ্র পাড়ি দিতে দিতে

জন্মান্ধ গাঙচিল কর্কশ প্রতিধ্বনি কণ্ঠে

ডাকছে তোমাকে আর আমাকে—

অন্য কোনো ফাগুনের আহ্বানে

ওপেন এয়ার কনসার্টে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বের সেরা কর্মস্থল হিলটন হোটেল, সেরা তালিকায় আছে মেটলাইফ

আধুনিক মানুষের দিনের বড় একটা সময় যায় কর্মস্থলে। ফলে সেই কর্মস্থলের পরিবেশ কেমন, কর্তৃপক্ষ কর্মীদের কথা কতটা ভাবছে—এ সবকিছু এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে।

সম্মান, নিরাপত্তা, উন্নতির সুযোগ ও কাজের অর্থবহতা আছে—মানুষ সাধারণত এমন কর্মস্থলই চায়। এসব মানদণ্ডের ভিত্তিতে ফরচুন ম্যাগাজিন বিশ্বের সেরা কর্মস্থলের তালিকা প্রকাশ করে থাকে। তারা মূলত বিশ্বের সেরা ২৫ কর্মস্থলের তালিকা করে। সেই তালিকায় সবার ওপরে আছে হিলটন হোটেল। মূলত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে নিয়ে এই জরিপ ও তালিকা করা হয়েছে।

এবারের তালিকায় ২৫টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টি যুক্তরাষ্ট্রের। অন্যগুলো বিভিন্ন দেশের, মূলত ইউরোপের। কোম্পানিগুলোর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে—২৫টি কোম্পানির মধ্যে ৮টি এই খাতের। এ ছাড়া নির্মাণ, জৈব ওষুধ, উৎপাদন, কুরিয়ার, আর্থিক ও পেশাদার সেবা দেওয়া কোম্পানিগুলোও তালিকায় আছে।

সেই বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি কোম্পানি হলো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জীবনবিমা কোম্পানি মেটলাইফ। ২০২৫ সালে দশম স্থান অর্জন করে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ বৈশ্বিক স্বীকৃতি ধরে রাখল কোম্পানিটি। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪০টি দেশে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম রয়েছে।

৯০ লাখের বেশি উত্তরের ওপর ভিত্তি করে ফরচুনের সেরা ২৫টি কর্মক্ষেত্রের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। জরিপ প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী আড়াই কোটি কর্মীর কাজের অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরা হয়েছে।

এ বিষয়ে মেটলাইফের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মিশেল খালাফ বলেন, ‘টানা দ্বিতীয় বছরের মতো বিশ্বের সেরা কর্মস্থলের তালিকায় স্থান পাওয়া কর্মীদের নিষ্ঠা ও উদ্যোগের প্রমাণ।’

কারা আছে তালিকায়

দেখে নেওয়া যাক এবারের তালিকায় কোন কোন দেশের কোম্পানি আছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে কুরিয়ার ও যাতায়াত খাতের কোম্পানি ডিএইচএল। তৃতীয় স্থানে আছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি সিসকো। এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রে। চতুর্থ স্থানে আছে পেশাদার সেবা দেওয়া আইরিশ কোম্পানি অ্যাক্সেনচিউর, পঞ্চম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বিশ্বখ্যাত হোটেল ম্যারিয়ট ইন্টারন্যাশনাল। ষষ্ঠ স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের জৈব ওষুধ কোম্পানি অ্যাব ভিয়ে, সপ্তম স্থানে আছে ফ্রান্সের পেশাদার সেবা দেওয়া কোম্পানি টিপি। অষ্টম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদনভিত্তিক কোম্পানি স্ট্রাইকার, নবম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি সেলস ফোর্স।

দশম স্থানে আছে মার্কিন বিমা কোম্পানি মেটলাইফ, ১১তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি সার্ভিস নাউ। ১২তম স্থানে আছে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রেতা কোম্পানি স্পেকসেভার্স। ১৩তম স্থানে আছে জার্মানির স্বাস্থ্যসেবা কোম্পানি সিমেন্স হেলদিনেস; ১৪তম স্থানে আছে আইরিশ তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি এক্সপেরিয়েন। ১৫তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রে তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি এনভিডিয়া, ১৬তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি কেডেন্স। ১৭তম স্থানে আছে জার্মানির বিমা ও আর্থিক কোম্পানি আলিয়াঞ্জ এবং ১৮তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাতের কোম্পানি ডাও।

১৯ থেকে ২১তম স্থানে আছে তিনটি মার্কিন কোম্পানি। ১৯তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের জৈব ওষুধ কোম্পানি ভিয়াট্রিস, ২০তম স্থানে তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাডোবি, ২১তম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি ক্রাউডস্ট্রাইক।

২২ ও ২৩তম স্থানেও আছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি কোম্পানি—উৎপাদন খাতের এসসি জনসন ও খুচরা বিক্রয় খাতের ট্রেক বাইসাইকেল। ২৪তম স্থানে আছে লিচেনস্টাইনের নির্মাণ কোম্পানি হিলতি ও ২৫তম স্থানে আছে যুক্তরাজ্যের বিমা ও আর্থিক খাতের কোম্পানি অ্যাডমিরাল গ্রুপ।

কীভাবে এই মূল্যায়ন

৩০ বছর ধরে এই জরিপ পরিচালনা করছে ফরচুন ম্যাগাজিন। সারা বিশ্বের কর্মীদের কাছ থেকে তারা জানতে চায়, কর্মস্থলে তাঁদের অভিজ্ঞতা কেমন। এই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তারা কিছু মানদণ্ড তৈরি করে। সেই মানদণ্ডের ভিত্তিতে বোঝা যায়, কোনো কর্মস্থল প্রকৃত অর্থেই ‘দারুণ’ কি না। সেই সঙ্গে কর্মীরা সে প্রতিষ্ঠানে থাকতে চান কি না, প্রতিষ্ঠান কত দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে ও তার সামগ্রিক ব্যবসায়িক সাফল্য কতটা মিলবে—এসব বিষয়েও ধারণা পাওয়া যায় জরিপে।

ফরচুন ম্যাগাজিন নিজস্ব ট্রাস্ট ইনডেক্স বা আস্থাসূচক তৈরি করেছে। ব্যবস্থাপনার প্রতি কর্মীদের আস্থা কতটা, সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন ও কোম্পানির প্রতি কর্মীদের আনুগত্য কতটা—এসব আস্থাসূচকের মাধ্যমে এসব বিষয় পরিমাপ করা হয়।

এ জরিপে কর্মীরা গোপনীয়তার সঙ্গে তাঁদের মতামত জানাতে পারেন। ৬০টি বিষয়ের ওপর ৫ পয়েন্টের ভিত্তিতে উত্তর দিতে হয়, সঙ্গে থাকে ২টি উন্মুক্ত প্রশ্ন।

কর্মীদের কাছ থেকে যেসব বিষয় জানতে চাওয়া হয়, সেগুলো হলো নেতৃত্বের কাছে কি সহজে যাওয়া যায়, নেতৃত্ব সততা ও স্বচ্চতার সঙ্গে কথা বলেন ও কাজ করেন কি না, নেতৃত্বের কথা ও কাজে মিল আছে কি না। সেই সঙ্গে কর্মীরা ব্যক্তিগতভাবে সম্মানিত বোধ করেন কি না এবং তাঁদের প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কতটা। নেতৃত্ব কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানান কি না এবং কর্মীদের সুস্থতা বজায় রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না। এ ছাড়া কর্মীদের অবদান রাখার সুযোগ আছে কি না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়।

জরিপে কর্মীদের কাছে আরও যেসব বিষয় জানতে চাওয়া হয় সেগুলো হলো:

বেতন, মুনাফা, পদোন্নতি, স্বীকৃতি ও সুযোগের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কতটা ন্যায়সংগত;

কর্মীরা নিজেদের কাজ, কর্মদল ও প্রতিষ্ঠানের জন্য গর্ব বোধ করেন;

কাজ অর্থবহ এবং তা পরিবর্তন আনতে সহায়তা করে;

সহকর্মীদের সঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগে;

কর্মীরা নিজেদের মতো করে কাজ করতে পারেন।

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অভিজ্ঞতার ভিন্নতা কতটা, তা–ও জরিপে পরিমাপ করা হয়। কর্মীদের অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতা ও গুণগত মানও মূল্যায়ন করা হয়। এভাবে প্রতিটি ধাপে কঠোর মানদণ্ড মেনে এই তালিকা করা হয় বলে জানিয়েছে ফরচুন ম্যাগাজিন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ