সড়ক-নৌ-বিমান ও রেল এক মন্ত্রণালয়ে থাকা উচিত: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
Published: 26th, June 2025 GMT
দেশের সড়ক, নৌ, বিমান ও রেল বিভাগ এক মন্ত্রণালয়ের অধীন বা এক ছাদের নিচে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন । তিনি বলেন, আমাদের সমন্বিত পরিকল্পনা ও একটি মন্ত্রণালয় দরকার।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউশনের (পিআরআই) বাজেট পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ মইনউদ্দিন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান জাইদি সাত্তার। উপস্থিত ছিলেন পিআরআইয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ আশিকুর রহমান, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ার রাহমান প্রমুখ।
শেখ মইনউদ্দিন বলেন, এখানে পরিকল্পনা, ডিজাইন, ক্রয় প্রক্রিয়া সব আলাদা বিভাগের মাধ্যমে হয়। দীর্ঘ সময় লাগে ক্রয় প্রক্রিয়ায়। প্রকল্প অনুমোদন থেকে নির্মাণ শুরু করতে ৪-৫ বছর সময় লাগে। এতে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যায়। পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এ ছাড়া সেতু বিভাগ, সড়ক বিভাগ ও রেল বিভাগ আলাদা আলাদা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করছে। সবাই নিজেরটা নিয়ে ভাবছে। কিন্তু এখানে সমন্বিত সমাধান প্রয়োজন। সমন্বিতভাবে মহাপরিকল্পনা করার কথা চিন্তা করা হচ্ছে।
চারটি মন্ত্রণালয় এক করার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা কী, এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ মইনউদ্দিন বলেন, ‘এটা হওয়া উচিত, হয়তো সময় লাগবে। কিন্তু এমন পরিকল্পনা থাকতে হবে। আমি ঢাকার সড়ক নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, এখানে দুটি সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, হাইওয়ে পুলিশ, বিদ্যুৎ বিভাগ, পরিবহন মালিক সমিতিসহ নানা সংস্থা জড়িত। তাই এখানকার সড়ক ব্যবস্থাপনা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক জটিল। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের এ খাত আরও বিশাল। আমি সেখানকার পরিবহন ও লজিস্টিক নিয়ে কাজ করেছি।’
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী বলেন, ‘আমি খুলনা গিয়ে দেখেছি, সেতু আছে, কিন্তু সড়ক নেই। সেখানে সমন্বয়ের অভাব আছে। তাই দেশের যোগাযোগব্যবস্থার কৌশলপত্রগুলো সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লোকদের নেতৃত্বে হওয়া উচিত।’
সভায় ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ার রাহমান বলেন, জুলাই ডিসেম্বরে অনেক কারখানা বন্ধ হয়েছে। কর্মসংস্থান কমেছে। ভালো ব্যবসায়ীরাও সংগ্রাম করছেন; কারণ, সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা নানাভাবে ব্যবসার ব্যয় কমানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু সরকার রাজস্ব ব্যয় বাড়াচ্ছে। কর কর্মকর্তাদের কমিশনের কথা বলা হচ্ছে, এটা বৈষম্যমূলক।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ খ মইনউদ দ ন ব যবস সমন ব
এছাড়াও পড়ুন:
সড়ক-নৌ-বিমান ও রেল এক মন্ত্রণালয়ে থাকা উচিত: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
দেশের সড়ক, নৌ, বিমান ও রেল বিভাগ এক মন্ত্রণালয়ের অধীন বা এক ছাদের নিচে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন । তিনি বলেন, আমাদের সমন্বিত পরিকল্পনা ও একটি মন্ত্রণালয় দরকার।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউশনের (পিআরআই) বাজেট পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ মইনউদ্দিন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান জাইদি সাত্তার। উপস্থিত ছিলেন পিআরআইয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ আশিকুর রহমান, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ার রাহমান প্রমুখ।
শেখ মইনউদ্দিন বলেন, এখানে পরিকল্পনা, ডিজাইন, ক্রয় প্রক্রিয়া সব আলাদা বিভাগের মাধ্যমে হয়। দীর্ঘ সময় লাগে ক্রয় প্রক্রিয়ায়। প্রকল্প অনুমোদন থেকে নির্মাণ শুরু করতে ৪-৫ বছর সময় লাগে। এতে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে যায়। পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এ ছাড়া সেতু বিভাগ, সড়ক বিভাগ ও রেল বিভাগ আলাদা আলাদা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করছে। সবাই নিজেরটা নিয়ে ভাবছে। কিন্তু এখানে সমন্বিত সমাধান প্রয়োজন। সমন্বিতভাবে মহাপরিকল্পনা করার কথা চিন্তা করা হচ্ছে।
চারটি মন্ত্রণালয় এক করার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা কী, এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ মইনউদ্দিন বলেন, ‘এটা হওয়া উচিত, হয়তো সময় লাগবে। কিন্তু এমন পরিকল্পনা থাকতে হবে। আমি ঢাকার সড়ক নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, এখানে দুটি সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, হাইওয়ে পুলিশ, বিদ্যুৎ বিভাগ, পরিবহন মালিক সমিতিসহ নানা সংস্থা জড়িত। তাই এখানকার সড়ক ব্যবস্থাপনা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক জটিল। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের এ খাত আরও বিশাল। আমি সেখানকার পরিবহন ও লজিস্টিক নিয়ে কাজ করেছি।’
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী বলেন, ‘আমি খুলনা গিয়ে দেখেছি, সেতু আছে, কিন্তু সড়ক নেই। সেখানে সমন্বয়ের অভাব আছে। তাই দেশের যোগাযোগব্যবস্থার কৌশলপত্রগুলো সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লোকদের নেতৃত্বে হওয়া উচিত।’
সভায় ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ার রাহমান বলেন, জুলাই ডিসেম্বরে অনেক কারখানা বন্ধ হয়েছে। কর্মসংস্থান কমেছে। ভালো ব্যবসায়ীরাও সংগ্রাম করছেন; কারণ, সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা নানাভাবে ব্যবসার ব্যয় কমানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু সরকার রাজস্ব ব্যয় বাড়াচ্ছে। কর কর্মকর্তাদের কমিশনের কথা বলা হচ্ছে, এটা বৈষম্যমূলক।