হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াকফ) বাংলাদেশ এর অনলাইন বিক্রয় কার‌্যক্রমকে আরো সহজ ও গতিশীল করতে প্রযুক্তি সহযোগী বিজম্যাশন এবং ডেলিভারি পার্টনার পাঠাও কুরিয়ার-এর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হামদর্দ বাংলাদেশের সিনিয়র পরিচালক (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক কামরুন নাহার পলিন।

বিজম্যাশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চিফ মার্কেটিং অফিসার মোরশেদুল হাসান প্রলয় এবং সিনিয়র কর্মকর্তা বিপাশা ইয়াসমিন। পাঠাও কুরিয়ারের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কর্পোরেট ও রিটেইল ম্যানেজার সানিউল ইসলাম সানি এবং কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ হিমেল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন হামদর্দ পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের সহকারী পরিচালক এইএম বোরহান উদ্দিন, অন্যান্য বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং ওয়েব কিংডম এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার জাকারিয়া করিম সৈকত।

অধ্যাপক কামরুন নাহার পলিন বলেন, “হামদর্দ বাংলাদেশের রূপকার ড.

হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে এই যুগোপযোগী পদক্ষেপটি হামদর্দের সেবাকে আরো মানুষের নাগালে পৌঁছে দেবে। এখন দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে ঘরে বসেই হামদর্দের পণ্যসামগ্রী গ্রহণ করা যাবে।”

এই সমঝোতার মাধ্যমে হামদর্দ বাংলাদেশের অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা ও পণ্য বিতরণ কার্যক্রমে এক নতুন যুগের সূচনা হলো।-বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা/সুমন/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ মদর দ

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ