হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াকফ) বাংলাদেশ এর অনলাইন বিক্রয় কার‌্যক্রমকে আরো সহজ ও গতিশীল করতে প্রযুক্তি সহযোগী বিজম্যাশন এবং ডেলিভারি পার্টনার পাঠাও কুরিয়ার-এর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হামদর্দ বাংলাদেশের সিনিয়র পরিচালক (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক কামরুন নাহার পলিন।

বিজম্যাশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চিফ মার্কেটিং অফিসার মোরশেদুল হাসান প্রলয় এবং সিনিয়র কর্মকর্তা বিপাশা ইয়াসমিন। পাঠাও কুরিয়ারের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কর্পোরেট ও রিটেইল ম্যানেজার সানিউল ইসলাম সানি এবং কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ হিমেল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন হামদর্দ পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের সহকারী পরিচালক এইএম বোরহান উদ্দিন, অন্যান্য বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং ওয়েব কিংডম এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার জাকারিয়া করিম সৈকত।

অধ্যাপক কামরুন নাহার পলিন বলেন, “হামদর্দ বাংলাদেশের রূপকার ড.

হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে এই যুগোপযোগী পদক্ষেপটি হামদর্দের সেবাকে আরো মানুষের নাগালে পৌঁছে দেবে। এখন দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে ঘরে বসেই হামদর্দের পণ্যসামগ্রী গ্রহণ করা যাবে।”

এই সমঝোতার মাধ্যমে হামদর্দ বাংলাদেশের অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা ও পণ্য বিতরণ কার্যক্রমে এক নতুন যুগের সূচনা হলো।-বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা/সুমন/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ মদর দ

এছাড়াও পড়ুন:

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুদকের অভিযান

বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত ভারত ও বাংলাদেশের কর্মচারীদের মধ্যে বেতন বৈষম্য এবং মালামাল লুটপাটের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুর থেকে টানা প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযান চালানো হয়।

দুদকের বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে এ সব অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অভিযানে ভারত ও বাংলাদেশের কর্মচারীদের মধ্যে বেতন বৈষম্য, কর মওকুফে অসামঞ্জস্য এবং কয়লা কেনাবেচায় অনিয়মেরও তথ্য উঠে আসে।

দুদকের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান বলেন, “আমরা কর্মচারীদের মধ্যে বেতন বৈষম্য, কর অব্যাহতির বৈষম্য, কয়লা ক্রয়ে দুর্নীতির প্রমাণসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। এসব বিষয়ে প্রাপ্ত নথিপত্র ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরো পড়ুন:

দুদকের চা খাওয়ার বিল এক লাখ টাকা: অভিযোগ অনুসন্ধা‌নে দুদক

রামেক হাসপাতাল
নিজের কাজ ফেলে ট্রলি ঠেলে বেড়ান কর্মচারীরা, ব্যবস্থা নেবে দুদক

তিনি আরো জানান, ভারতের কর্মকর্তাদের বিগত তিন বছরের কর মওকুফ করা হলেও একই প্রকল্পে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের কর মওকুফ করা হয়নি, যা স্পষ্ট বৈষম্য।

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী কৈ-গরদাশকাঠি মৌজায় প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় ১ হাজার ৮৩৪ একর জমির ওপর ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। যৌথভাবে বাংলাদেশ ও ভারত সরকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট এবং ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যায়। তবে উৎপাদন শুরুর পর থেকে নানা কারণ দেখিয়ে বারবার কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়, যা এর ব্যবস্থাপনা ও কার্যকারিতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। 
 

ঢাকা/শহিদুল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ