৪৩ দিন পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে ফিরেছেন সংস্থাটির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে নগর ভবনে যান তিনি।

নগর ভবনে গিয়ে মো. শাহজাহান মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আর পেছনের দিকে তাকাতে চাই না। আমরা সামনে এগিয়ে যাব। সামনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনেকগুলো কাজ করব। এর মধ্যে বাজেট প্রণয়নের কাজটি দ্রুত শেষ করা হবে।”

আরো পড়ুন:

নগর ভবনে ইশরাক সমর্থক দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

ডিএনসিসি প্রশাসক
নগর পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের সম্পৃক্ত করতে হবে

এ সময় তিনি বলেন, “আজ থেকে সব বিভাগের কার্যক্রম শুরু হবে।”

এ সময় তিনি ডিএসসিসির সব প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাদের কাজে ফেরার আহ্বান জানান। এ সময় সংস্থাটির প্রকৌশল বিভাগের অনেক কর্মকর্তাকেও নগর ভবনে যেতে দেখা গেছে।

এদিন নগর ভবনে ডিএসসিসি প্রশাসক গেলে বিএনপি নেতা ইশরাককে সমর্থন জানানো জাতীয়তাবাদী শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি আরিফ চৌধুরী ও বেলায়েত হোসেন বাবু অভ্যর্থনা জানান। এ সময় তারা নগর কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।

আরিফ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “বিএনপি নেতা ইশরাক ঢাকাবাসীসহ সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রশাসক ও প্রকৌশল দপ্তরকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে।

এর আগে, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে গত ১৪ মে থেকে ‘ঢাকাবাসী' ব্যানারে নগর ভবনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তার সমর্থকরা। ওই দিন থেকেই সংস্থাটির প্রশাসক আর নগর ভবনে যেতে পারেননি।

গত রবিবার ইশরাক সমর্থকরা তাদের চলমান আন্দোলন কিছুটা সীমিত করে দৈনন্দিন সেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে তারা সেদিন প্রশাসক ও প্রকৌশল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এসস স নগর ভবন ড এসস স ইশর ক এ সময়

এছাড়াও পড়ুন:

‎আবু সাঈদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৮ পুলিশ স্বপদে, উত্তাল বেরোবি

‎আবু সাঈদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আটজন পুলিশ কর্মকর্তা স্বপদে বহাল থাকায় বিক্ষোভ করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা।

মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হচ্ছে এবং মূল অভিযুক্তদের আড়াল করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিনভর প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করেন তারা।

পরে ‎বিকেল সাড়ে ৫টায় অনুষ্ঠিত সংবাদ বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে এসে গণশুনানির আয়োজন করতে হবে, যাতে হামলার প্রত্যক্ষদর্শী, সহপাঠী ও সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত হয়। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

আরো পড়ুন:

আবু সাঈদ হত্যার তদন্ত ও মামলার চার্জশিট প্রত্যাখ্যান বেরোবি শিক্ষার্থীদের

ত্রাণ নিতে গিয়ে খুনের শিকার: ‘বিশ্বের জন্য মহাকলঙ্কের চেয়ে কম নয়’

‎তারা অভিযোগ করে বলেন, মামলার মূল অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা বহাল থাকলেও কম দায়ে অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই রমজান আলী রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।

‎মামলার এজহারভুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের তৎকালীন কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, রংপুর মহানগর পুলিশের তৎকালীন উপ-কমিশনার আল মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান, আল ইমরান হোসেন, তাজহাট থানার তৎকালীন ওসি রবিউল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতিভূষণ রায়, এএসআই আমির আলী এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়।

‎‎তালিকাভুক্ত আসামির ১০ পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে শুধু দুই পুলিশ কনস্টেবল সুজন চন্দ্র এবং এএসআই আমির আলীকে আটক করা হয়েছে। বাকি আট পুলিশ কর্মকর্তা এখনো স্বপদে বহাল রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬জুন) আবু সাঈদ হত্যার সঙ্গে ৩০ জনের সম্পৃক্ততা  দেখিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত সংস্থা।‎

ঢাকা/‎সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ