হেডিংলি টেস্টে সেঞ্চুরি করার পরও বেশ চাপে আছেন যশস্বী জয়সোয়াল। কারণ, সেই টেস্টে ভারতের ফিল্ডাররা যে ৭টি ক্যাচ ছেড়েছেন, এর ৪টিই ছেড়েছেন জয়সোয়াল। তাঁর একাধিক সহজ ক্যাচ ছাড়ার খেসারত ভারতকে দিতে হয়েছে ম্যাচ হেরে।
প্রশ্ন হলো, জয়সোয়ালের দুই হাত কেন ‘মাখন মাখানো’ হয়ে গেল? কেন তাঁর হাত থেকে এত ক্যাচ পড়ছে? ফিল্ডিংয়ে জয়সোয়ালের এমন ব্যর্থতার সম্ভাব্য কারণ তুলে ধরেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফ। খেলোয়াড়ি জীবনে কাইফকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিল্ডার বিবেচনা করা হতো।
হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ সেঞ্চুরি করেছিলেন ওলি পোপ। তবে যসপ্রীত বুমরার একটি বলে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন পোপ। সেখানে ছিলেন জয়সোয়াল। কিন্তু বল তাঁর হাত থেকে বেরিয়ে কবজিতে লেগে মাটিতে পড়ে। পোপ তখন ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন। পরে আউট হন ১০৬ রান করে।
আমরা (ইংল্যান্ডে) ডিউক বল দিয়ে অনুশীলন করি। কখনো আঘাত পেলে আমরা একটা স্ট্র্যাপ পরে নিই। কিন্তু তাতে আঙুল আটকে যায়, সহজে নড়াচড়া করা যায় না।মোহাম্মদ কাইফএরপর একই ইনিংসে হ্যারি ব্রুকের দেওয়া সহজ ক্যাচ ফেলেন জয়সোয়াল। আবারও বুমরার বল, আবারও স্লিপে। ব্রুক তখন কোনো রানই করতে পারেননি। ‘জীবন’ পাওয়ার পর করেছেন ৯৯ রান।
আরও পড়ুনপন্ত কতটা গিলক্রিস্ট, কতটা পন্ত৫৩ মিনিট আগেইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে মোহাম্মদ সিরাজের শর্ট বলে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন বেন ডাকেট। জয়সোয়াল দৌড়ে এসে দুই হাতে বল মুঠোবন্দী করার চেষ্টা করলেও পারেননি। সেই ডাকেট পরে খেলেন ম্যাচ জেতানো ১৪৯ রানের ইনিংস।
সাধারণত তরুণ ফিল্ডাররা চটপটে হন, মাঠে সব সময় তাঁদের সক্রিয় দেখা যায়। কিন্তু জয়সোয়ালের ফিল্ডিংয়ের মান তুলনামূলক বাজে। এর কারণ খুঁজেছেন কাইফ।
প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরির পর জয়সোয়াল.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন জয়স য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
‘এটা তো চাপের খেলা’—বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারত কোচ
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ, উত্তেজনা নতুন নয়। তবে এবারের লড়াইটা ভারতের জন্য বাড়তি চাপেরও। প্রতিপক্ষের মাঠ, গ্যালারিভর্তি দর্শক আর হামজা-শমিতে উজ্জীবিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে হয়তো কঠিন পরীক্ষাতেই পড়তে হবে সফরকারীদের। আজ ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কোচের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তেমনটাই।
আগামীকাল জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তার আগে আজ একটি হোটেলে ভারতীয় দলের কোচ খালিদ জামিল বলেন, ‘এটা তো চাপের খেলা’।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব থেকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলেরই বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবু বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে ভারত ম্যাচ নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ। যার বড় প্রমাণ অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে সব বিক্রি হয়ে যাওয়া।
এর পাশাপাশি প্রতিপক্ষের মাঠে খেলাটা যে সব সময়ই কঠিন, সেই বাস্তবতা জানেন জামিলও। তাঁর দলের ওপর চাপ আছে কি না প্রশ্নে ভারত কোচ বলেন, ‘হ্যাঁ, চাপ আছে। আমাদের তা মানতে হবে। সবাই জানে এটি একটি চাপের ম্যাচ। তবে সে জন্য আমাদের একটি ইতিবাচক ফলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
গত ২৫ মার্চ শিলংয়ে দুই দলের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। সেই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে করেছেন ৪ গোল, যার মধ্যে দুটি করেছেন বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে।
ভারত কোচ অবশ্য একক কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে ভাবতে নারাজ, ‘আমরা শুধু একজন খেলোয়াড়কে বিবেচনায় নিচ্ছি না। বাংলাদেশ দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। এটা খুব সিরিয়াস গেম।’
১৯৭৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। এর মধ্যে ভারত জিতেছে ১৬টিতে, বাংলাদেশ ২টিতে। ড্র বাকি ১৪টি (২০০৩ সাফে বাংলাদেশের গোল্ডেন গোলে জয়ের ম্যাচসহ)।