জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিলুপ্তি রোধ এবং চেয়ারম্যানের অপসারণকে ঘিরে চলমান আন্দোলনের মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভবনে জড়ো হতে থাকেন কর্মকর্তারা। এক পর্যায়ে এনবিআরের তিনটি গেটে ভেতর ও বাইরে- দুই দিক থেকেই তালা লাগানো হয়েছে। ফলে আন্দোলনকারীরা ভেতরে ঢুকতে পারছেন না। যারা ভেতরে অবস্থান করছেন তারাও বাইরে বের হতে পারছেন না। এতে পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে এনবিআর।

আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে গিয়ে দেখা গেছে, পরিস্থিতি সামলাতে সকাল থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এনবিআর কর্তৃৃপক্ষ গেটের ভেতর থেকে তালা লাগিয়েছে। ফলে আন্দোলনকারীদের যারা ভেতরে রয়েছেন তারা বের হতে পারছেন না।

অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের বড় অংশ রয়েছে গেটের বাইরে। ঢুকতে না পেরে তারাও বাইরের দিক থেকে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। 

বিকেলে এনবিআরের বাইরে গেটের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। এ সময় তারা বলেন, অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ঐক্য পরিষদের কাউকে ডাকা হয়নি। তাই এই আলোচনায় তাদের অংশগ্রহণের বিষয়টিই বরং অবান্তর। ফলে তাদের কেউই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন না।

ভেতর থেকে তালা লাগানোর প্রতিবাদ জানিয়ে ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেন, কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী আজ এনবিআরে ঢুকতে পারছেন না। এ বিষয়টি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দমন-নিপীড়নের কথা মনে করিয়ে দেয়। বিগত আওয়ামী সরকার যেমন দমন-নিপীড়ন করে জুলাই আন্দোলন ঠেকানোর চেষ্টা করেছে, একইভাবে এই আন্দোলন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। 

এদিকে আজও আন্দোলনরত কর্মকর্তারা কলমবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাসান মুহাম্মদ তারেক রিকাবদার বলেন, তাদের ভবনের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই বাইরে অবস্থান করছেন সবাই।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনব আর অবর দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রশিবির ছাত্রলীগের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে: রাকিব

ছাত্রশিবির এখন ছাত্রলীগের পুনর্বাসনের প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।

তিনি বলেছেন, “ঢাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিল। জবিতেও শিবির নেতারা ছাত্রলীগে যুক্ত ছিল। এর প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে।”

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ছাত্রদলের মাসব্যাপী সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

শরীয়তপুরে ছাত্রলীগের তাজিমের ‘চমকপ্রদ ঘূর্ণি’

নিরাপদ ক্যাম্পাস ও উপাচার্য-প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি ঢাবি ছাত্রদলের

রাকিবুল ইসলাম বলেন, “বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ছাত্রলীগ করার প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। ভবিষ্যতে এমন হলে আমরা তা কোনোভাবেই মেনে নেব না। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ছাত্রলীগের পুনর্বাসনের ক্ষেত্র হিসেবে নিজেদের ব্যবহার করছে। এভাবে নতুন নতুন ছাত্র সংগঠন বানিয়ে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন করা হচ্ছে।”

আহ্বায়ক কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন, “যারা নিষ্ক্রিয় আছেন, তাদের তালিকা ৫-৬ দিনের মধ্যে করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ত্যাগী নেতাদের অবশ্যই মূল্যায়ন করা হবে। যাচাই-বাছাই শেষে প্রত্যেক বিভাগে রানিং শিক্ষার্থীদের দিয়ে কমিটি দেওয়া হবে।”

ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতির বিষয়ে তিনি বলেন, “সে সম্ভবত ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এখনো কিভাবে তার ছাত্রত্ব থাকে? জামায়াত-শিবিরের নেতারা যদি আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাহলে নিজেদের সংগঠনের নেতাদের শিক্ষাবর্ষ ও ছাত্রত্ব পরিষ্কার করুন।”

অনুষ্ঠানে জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল বহু গুম ও খুনের শিকার হয়েছে। অনেক নেতাকর্মী এখনো নিখোঁজ, যাদের লাশও খুঁজে পাওয়া যায়নি।”

সঞ্চালনায় থাকা সদস্য সচিব শামসুল আরেফীন যারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পাননি, তাদের মূল্যায়ন করার দাবি জানান।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী জিয়া উদ্দিন বাসেত, জবি ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান রুমি, কাজী জাফর, সুমন সরদার, মাহমুদ হাসান, পরাগ হোসেন প্রমুখ।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ