কুমিল্লায় এক বছরে ১১ কোটি টাকার মাদক জব্দ
Published: 26th, June 2025 GMT
কুমিল্লা সীমান্ত এলাকা থেকে এক বছরে প্রায় ১১ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে বুধবার (২৬ জুন) কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার বিবিরবাজার হাই স্কুল মাঠে আয়োজিত মাদকবিরোধী জনসচেতনতামূলক সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ সভার আয়োজন করে বিজিবির কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)।
সভায় জানানো হয়, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত কুমিল্লা সীমান্ত এলাকায় বিজিবির বিভিন্ন অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে ৩ হাজার ২৩০ কেজি গাঁজা, ১৬ হাজার ৫৪২ বোতল ফেনসিডিল, ১৬ হাজার ৮৩০ বোতল বিদেশি মদ, ৩ হাজার ৬২০ বোতল বিয়ার, ৩ হাজার ৮২৬ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ৯৮ হাজার ৫৬৬টি ইয়াবা এবং ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩২০টি আমদানি নিষিদ্ধ অবৈধ ট্যাবলেট। এসব মাদকের মোট বাজারমূল্য ১০ কোটি ৮২ লাখ টাকার বেশি।
মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি বিজিবি সীমান্ত এলাকায় জনসচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক পাচার ও সেবনের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে স্থানীয় জনগণ ও শিক্ষার্থীদের সতর্ক করা হচ্ছে।
সভায় ১০ বিজিবির অধিনায়ক, বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অংশ নেন।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতেও সীমান্ত এলাকায় মাদক প্রতিরোধে নজরদারি জোরদার করা হবে। মাদক নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/রুবেল/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম ন ত এল ক
এছাড়াও পড়ুন:
নাগরিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব: ডিএসসিসি প্রশাসক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান বলেছেন, “নাগরিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব।”
শনিবার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএসসিসির ৬২ ও ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভাঙ্গাপ্রেস, নয়ানগর, ছনটেক, গোবিন্দপুর, রায়েরবাগ, শেখদী ও উত্তর কুতুবখালী এলাকায় বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।
সকাল ৬টায় শুরু হওয়া এ বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের চার শতাধিক কর্মী এবং স্থানীয় জনগণ অংশগ্রহণ করেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে ড্রেন, নর্দমা ও ফুটপাতের ময়লা পরিষ্কার ও মশার ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অংশগ্রহণে জনসচেতনতামূলক র্যালি এবং লিফলেট বিতরণ করা হয়।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ সম গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বসতবাড়ির আশেপাশে যেন এডিস মশা না জন্মাতে পারে, এজন্য তরুণ সমাজকে নেতৃত্ব দিতে হবে।”
পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ সব বিভাগীয় প্রধান এবং স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি