শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) চালু করা হয়েছে ‘স্বনির্ভর কর্মসূচি’। এ কর্মসূচিতে প্রথম পর্যায়ে ১০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন।

প্রথম পর্যায়ে আগামী ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসব্যাপী এই কর্মসূচির আওতায় ৩৪টি বিভাগের ১০০ জন শিক্ষার্থী একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ পাচ্ছেন। এতে তাদের পড়ালেখার পাশাপশি কর্মদক্ষতা, কর্মপরায়ণসহ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরি জীবনে অগ্রগতি হবে বলে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৩০৫ নম্বর কক্ষে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের আয়োজনে ‘স্বনির্ভর কর্মসূচি’র উদ্বোধনী করেন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.

হোসেন উদ্দিন শেখর।

আরো পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে কলেজছাত্রীর ১ মাসেরও খোঁজ মেলেনি 

জাল প্রবেশপত্র: সিলেটে ছাত্রীর ১ বছর কারাদণ্ড

এ সময় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীব এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক মো. বদরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

স্বনির্ভর কর্মসূচি’র আওতায় নিরাপত্তা বন্ধু, মেডিকেল বন্ধু, পাঠাগার বন্ধু, পরিবহন বন্ধু, প্রকৌশল বন্ধু, ডে কেয়ার বন্ধু ও হল বন্ধুসহ মোট আটটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আটজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা আটটি দলের অধীনে দায়িত্ব পালন করবেন।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মরিয়ম পারভীন বলেন, “এমন কর্মসূচি গ্রহণ করায় আমরা পড়ালেখার পাশাপশি দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে পারব। এতে আমাদের অভিজ্ঞতা বেড়ে চাকরি জীবনে সুবিধা হবে। সেইসঙ্গে আর্থিক লাভবান হব।”

অপর শিক্ষার্থী নাহিদা ইসলাম নদী বলেন, “এটি আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো একটি উদ্যোগ। এ কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মদক্ষতা, কর্মপরায়ণ বৃদ্ধি পাবে।

অনুষ্ঠানে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান বলেন, “বিদেশে শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ থাকে। অথচ আমাদের ছাত্ররা বিভিন্ন ব্যবসা, দোকানপাট চালায়। সেই জায়গায় পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করবে স্বনির্ভর কর্মসূচি। এই ছোট ছোট কর্মদক্ষতাগুলো তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে কাজে লাগবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ও এগিয়ে যাবে “

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান বলেন, “শিক্ষার্থীরা অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে আসে, যে স্বপ্নকে লালন করেই মানুষ এগিয়ে যায়। এজন্য নিজের একাগ্রতা, চেষ্টা ও সাধনার মধ্য দিয়ে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হয়। আশা করছি, স্বনির্ভর কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু শিখতে পারবে। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশও শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে বিকশিত হতে সহায়তা করে।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, “স্বনির্ভর কর্মসূচিতে নিয়োজিত থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সব উপাদান সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাবে। এতে পড়াশোনার পাশাপাশি তারা আর্থিভবে এবং অভিজ্ঞতার দিক থেকে সমৃদ্ধ হবে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান সমস্যাগুলো শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে চিহ্নিত হলে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হবে।”

তিনি বলেন, “বর্তমান প্রশাসন শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নিতে দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়ক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”

ঢাকা/বাদল/রিশাদ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

হতে চেয়েছিলেন সাংবাদিক, ‘দেবদাস’ বদলে দিল জীবন

তিনি হতে চেয়েছিলেন সাংবাদিক। সেই পথেই পা রেখেছিলেন। কিন্তু ২০০২ সালে এক সিনেমা বদলে দিয়েছিল তাঁর জীবনের পথচলা। সঞ্জয়লীলা বানসালির প্রেমকাহিনি ‘দেবদাস’-এ শাহরুখ খান, মাধুরী দীক্ষিত ও ঐশ্বরিয়া রাইয়ের চোখধাঁধানো উপস্থিতি, অভিনয় আর পরিচালকের সৃজনশীলতা এক অনবদ্য ছাপ ফেলেছিল জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের মনে। সে সময় তিনি এক স্বপ্ন দেখেছিলেন, একদিন হয়তো বলিউডের স্বপ্নময় দুনিয়ায় নিজেও নাম লেখাবেন। আজ ১১ আগস্ট, ৩৯ বছর বয়সে পৌঁছে জ্যাকুলিনের সেই স্বপ্ন অর্ধেক বাস্তবতা, অর্ধেক এখনো অধরা।

বলিউডে পথচলা শুরু ২০০৯ সালে, ‘আলাদিন’ ছবিতে ছিল অন্য রকম উপস্থিতি। পরে ‘হাউসফুল’ ফ্র্যাঞ্চাইজি, ‘মার্ডার ২ ’, ‘কিক’, ‘জুড়ুয়া ২ ’সহ ৪০টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন। ডেভিড ধাওয়ান, রোহিত শেঠি, মোহিত সুরি, সাজিদ খানের মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন। তবে সঞ্জয় লীলা বানসালির সঙ্গে কাজ করার স্বপ্ন এখনো অধরা রয়ে গেছে। নিজেই জানিয়েছেন সেই অতৃপ্তির কথা।

এক সাক্ষাৎকারে জ্যাকুলিন জানিয়েছেন, ‘আমি দুচোখ ভরে সঞ্জয় লীলা বানসালির কাজ দেখেছিলাম, আর মনে মনে বলেছিলাম, এটাও কি সম্ভব! তাঁর ছবির দুনিয়া ছিল স্বপ্নের মতো সুন্দর। সত্যি বলতে, আমি সব সময় তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছি। “দেবদাস” আমার সবচেয়ে বড় প্রেরণা ছিল।’

আরও পড়ুন২০০ কোটি রুপি প্রতারণা মামলায় বিপাকে জ্যাকুলিন০৪ জুলাই ২০২৫জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ