গোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্বনির্ভর কর্মসূচি’ চালু
Published: 26th, June 2025 GMT
শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) চালু করা হয়েছে ‘স্বনির্ভর কর্মসূচি’। এ কর্মসূচিতে প্রথম পর্যায়ে ১০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন।
প্রথম পর্যায়ে আগামী ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসব্যাপী এই কর্মসূচির আওতায় ৩৪টি বিভাগের ১০০ জন শিক্ষার্থী একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ পাচ্ছেন। এতে তাদের পড়ালেখার পাশাপশি কর্মদক্ষতা, কর্মপরায়ণসহ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরি জীবনে অগ্রগতি হবে বলে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৩০৫ নম্বর কক্ষে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের আয়োজনে ‘স্বনির্ভর কর্মসূচি’র উদ্বোধনী করেন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে কলেজছাত্রীর ১ মাসেরও খোঁজ মেলেনি
জাল প্রবেশপত্র: সিলেটে ছাত্রীর ১ বছর কারাদণ্ড
এ সময় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীব এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক মো. বদরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
স্বনির্ভর কর্মসূচি’র আওতায় নিরাপত্তা বন্ধু, মেডিকেল বন্ধু, পাঠাগার বন্ধু, পরিবহন বন্ধু, প্রকৌশল বন্ধু, ডে কেয়ার বন্ধু ও হল বন্ধুসহ মোট আটটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আটজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা আটটি দলের অধীনে দায়িত্ব পালন করবেন।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মরিয়ম পারভীন বলেন, “এমন কর্মসূচি গ্রহণ করায় আমরা পড়ালেখার পাশাপশি দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে পারব। এতে আমাদের অভিজ্ঞতা বেড়ে চাকরি জীবনে সুবিধা হবে। সেইসঙ্গে আর্থিক লাভবান হব।”
অপর শিক্ষার্থী নাহিদা ইসলাম নদী বলেন, “এটি আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো একটি উদ্যোগ। এ কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মদক্ষতা, কর্মপরায়ণ বৃদ্ধি পাবে।
অনুষ্ঠানে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান বলেন, “বিদেশে শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ থাকে। অথচ আমাদের ছাত্ররা বিভিন্ন ব্যবসা, দোকানপাট চালায়। সেই জায়গায় পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করবে স্বনির্ভর কর্মসূচি। এই ছোট ছোট কর্মদক্ষতাগুলো তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে কাজে লাগবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ও এগিয়ে যাবে “
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান বলেন, “শিক্ষার্থীরা অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে আসে, যে স্বপ্নকে লালন করেই মানুষ এগিয়ে যায়। এজন্য নিজের একাগ্রতা, চেষ্টা ও সাধনার মধ্য দিয়ে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হয়। আশা করছি, স্বনির্ভর কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনেক কিছু শিখতে পারবে। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশও শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে বিকশিত হতে সহায়তা করে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, “স্বনির্ভর কর্মসূচিতে নিয়োজিত থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সব উপাদান সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাবে। এতে পড়াশোনার পাশাপাশি তারা আর্থিভবে এবং অভিজ্ঞতার দিক থেকে সমৃদ্ধ হবে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান সমস্যাগুলো শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে চিহ্নিত হলে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হবে।”
তিনি বলেন, “বর্তমান প্রশাসন শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নিতে দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়ক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
ঢাকা/বাদল/রিশাদ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নিউইয়র্ক নগর কাউন্সিলের প্রাথমিক নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশি শাহানা হানিফ
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগর কাউন্সিলের প্রাথমিক নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শাহানা হানিফ বিজয়ী হয়েছেন। তিনি রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী মায়া কর্নবার্গকে পরাজিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার নির্বাচন শেষে নিউইয়র্ক নগরের বোর্ড অব ইলেকশন শাহানাকে বিজয়ী ঘোষণা করে। সাধারণত নিউইয়র্ক নগরে ডেমোক্রেট প্রার্থীরাই জয়লাভ করেন। আগামী ৪ নভেম্বর চূড়ান্ত নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনেও শাহানা হানিফ জয়লাভ করবেন বলে প্রত্যাশা তাঁর সমর্থকদের।
প্রাথমিক নির্বাচনে জয়ের পর শাহানা হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কঠিন একটি নির্বাচনে আমার ভোটাররা আমাকে নির্বাচিত করেছেন। এই শহরকে সুন্দর করার জন্য তাঁরা মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করেছেন জোহানকে (ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী নির্বাচিত জোহরান মামদানি)। আমাদের লক্ষ্য এক। আমরা সুন্দর একটি নিউইয়র্ক সিটির স্বপ্ন দেখি। আমি আমার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সামর্থ্য অনুযায়ী এবং চাইল্ড কেয়ার নিয়ে আগের মতোই কাজ করে যাব। আমি চেষ্টা করব, আর কোনো মানুষ যেন এই শহর ছাড়তে বাধ্য না হয়।’
নিউইয়র্ক নগর ৫১টি ডিস্ট্রিক্ট নিয়ে গঠিত। তার একটিতে জয়লাভ করেছেন শাহানা হানিফ। প্রাথমিক নির্বাচনে বিজয়ের পর তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়, শাহানার জয় ব্রুকলিনের রাজনৈতিক চেতনায় একটি নতুন ঢেউ। এই নির্বাচনে ব্যাপক অর্থসংস্থানের বিপরীতে জয়লাভ করেছে তরুণ স্বেচ্ছাসেবক ও ছোট ছোট দাতাদের ঐক্যের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা জনগণ।’
আরও পড়ুননিউইয়র্কে ইতিহাস গড়া জোহরান কেন ‘বাংলাদেশি আন্টিদের’ ধন্যবাদ দিলেন১২ ঘণ্টা আগেশাহানা হানিফের বাবা মোহাম্মদ হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে নিউইয়র্কে আসেন। প্রথমে কুইন্সের জ্যাকসন হাইটসে থাকতেন, পরে কেনসিংটনে চলে যান।
শাহানার জন্ম ব্রুকলিনে। তিনি কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান ও নারী অধিকার বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। সেখানেই তাঁর রাজনৈতিক চেতনার বীজ রোপিত হয়। ২০২১ সালে ২৯ বছর বয়সে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুসলিম নারী হিসেবে নিউইয়র্ক নগরের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুননিউইয়র্কে ইতিহাস গড়লেন জোহরান মামদানি১৬ ঘণ্টা আগে