মহাসড়কের দুই ধারে সারি সারি গাছ। ছয় শতাধিক গাছ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেব চিহ্নিত করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। ৩৫টি গাছ পচে ঘুণে ধরেছে।
ঝড়-বৃষ্টিতে মাঝেমধ্যে মরা ডাল ভেঙে পড়ে। এ অবস্থায় পথচারী, যাত্রী ও যানবাহন চালকেরা ঝুঁকি নিয়ে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন।
এ দৃশ্যের দেখা মেলে সিলেট-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর-শাহবাদ অংশে। এ সড়কের পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে থাকা মরা গাছগুলোর বেশ কয়েকটিতে এরই মধ্যে ঘুণপোকা আক্রমণ করেছে। যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে যানবাহন ও পথচারীর ওপর। অথচ বছরের পর বছর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও গাছগুলো কাটছে না সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।
সিলেট-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। পরিবেশ রক্ষা ও পথচারীদের ছায়া দেওয়ার লক্ষ্যে সড়কের দুই পাশে পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে সওজের পক্ষ থেকে ৩০ বছর আগে গাছের
চারা রোপণ করা হয়। আকাশি, ইউকেলিপটাস, কড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির লাগানো চারাগুলো পরিণত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৩৫টি গাছ ঝড়-তুফানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মরে গেছে।
এরমধ্যে বেশ কয়েকটি গাছের ওপরের আবরণ খসে পড়েছে। বাসা বেঁধেছে উঁইপোকা। কোনোটিতে স্বর্ণলতাসহ পরজীবী আঁকড়ে ধরেছে।
হামরকোনা গ্রামের রেফা বেগম-ওমর আলী দম্পতির ভিটেবাড়ি নাই। মহাসড়ক সড়কসংলগ্ন জমিতে কোনোরকমে থাকার মতো ঘর তুলেছেন। তাদের ঘরের ওপরে ডালপালাহীন একটি মরা
গাছ দাঁড়িয়ে আছে। যে কোনো সময় সেটি ভেঙে পড়তে পারে।
রেফা বেগম বলেন– ‘বৃষ্টি-বাদল, তুফান আইলে ডরে (ভয়) থাকি কোন সময় যে হুকনা (শুকনা) গাছ ভেঙে পড়ে সব তছনছ হয়ে যায়! ওই সময় আল্লারে ডাকা ছাড়া কোন পথ সামনে থাকে না।’
শেরপুর বাজারের ব্যবসায়ী গৌছ আহমেদ বলেন, কয়েক বছর ধরে শেরপুর-মৌলভীবাজার সড়কের পাশের বেশ কয়েকটি গাছ মরে শুকিয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষের এ দিকে কোনো নজর নেই। গাছগুলো আগে নিলামে বিক্রি করা হলে সরকারের রাজস্ব আয় হতো। এখন শুকিয়ে যাওয়া গাছগুলো জ্বালানি ছাড়া কোনো কাজে লাগবে না।
সরেজমিন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ দিয়ে পল্লি বিদ্যুৎ বিভাগের ৩৩ হাজার কেভির লাইন চলে গেছে। কথা হলে পথচারী কয়েকজন জানান, ঝড়-বৃষ্টির দিনে প্রায়ই বাতাসে শুকনো গাছের শাখা-প্রশাখা ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। যে কোনো সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
পরিবহন শ্রমিক মোশাহিদ আলী জানান, ‘বাক্কা দিন (অনেক দিন) ধরি গাছগুলো মরি (মরে) গেছে। এখন উলি (উঁই) ও ঘুণপোকায় বাসা করছে। কোন সময় যে তুরাতুড়ি (অল্পস্বল্প) বাতাসে হুকনা গাছ ভাইঙ্গা পড়তে পারে চলাচল করা গাড়ির ওপর। যাত্রী ও গাড়ি সবকিছুর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’
মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সড়কে মরা গাছ, চলাচলে ঝুঁকি
মহাসড়কের দুই ধারে সারি সারি গাছ। ছয় শতাধিক গাছ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেব চিহ্নিত করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। ৩৫টি গাছ পচে ঘুণে ধরেছে।
ঝড়-বৃষ্টিতে মাঝেমধ্যে মরা ডাল ভেঙে পড়ে। এ অবস্থায় পথচারী, যাত্রী ও যানবাহন চালকেরা ঝুঁকি নিয়ে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন।
এ দৃশ্যের দেখা মেলে সিলেট-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর-শাহবাদ অংশে। এ সড়কের পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে থাকা মরা গাছগুলোর বেশ কয়েকটিতে এরই মধ্যে ঘুণপোকা আক্রমণ করেছে। যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে যানবাহন ও পথচারীর ওপর। অথচ বছরের পর বছর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও গাছগুলো কাটছে না সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)।
সিলেট-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। পরিবেশ রক্ষা ও পথচারীদের ছায়া দেওয়ার লক্ষ্যে সড়কের দুই পাশে পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে সওজের পক্ষ থেকে ৩০ বছর আগে গাছের
চারা রোপণ করা হয়। আকাশি, ইউকেলিপটাস, কড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির লাগানো চারাগুলো পরিণত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৩৫টি গাছ ঝড়-তুফানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মরে গেছে।
এরমধ্যে বেশ কয়েকটি গাছের ওপরের আবরণ খসে পড়েছে। বাসা বেঁধেছে উঁইপোকা। কোনোটিতে স্বর্ণলতাসহ পরজীবী আঁকড়ে ধরেছে।
হামরকোনা গ্রামের রেফা বেগম-ওমর আলী দম্পতির ভিটেবাড়ি নাই। মহাসড়ক সড়কসংলগ্ন জমিতে কোনোরকমে থাকার মতো ঘর তুলেছেন। তাদের ঘরের ওপরে ডালপালাহীন একটি মরা
গাছ দাঁড়িয়ে আছে। যে কোনো সময় সেটি ভেঙে পড়তে পারে।
রেফা বেগম বলেন– ‘বৃষ্টি-বাদল, তুফান আইলে ডরে (ভয়) থাকি কোন সময় যে হুকনা (শুকনা) গাছ ভেঙে পড়ে সব তছনছ হয়ে যায়! ওই সময় আল্লারে ডাকা ছাড়া কোন পথ সামনে থাকে না।’
শেরপুর বাজারের ব্যবসায়ী গৌছ আহমেদ বলেন, কয়েক বছর ধরে শেরপুর-মৌলভীবাজার সড়কের পাশের বেশ কয়েকটি গাছ মরে শুকিয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষের এ দিকে কোনো নজর নেই। গাছগুলো আগে নিলামে বিক্রি করা হলে সরকারের রাজস্ব আয় হতো। এখন শুকিয়ে যাওয়া গাছগুলো জ্বালানি ছাড়া কোনো কাজে লাগবে না।
সরেজমিন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ দিয়ে পল্লি বিদ্যুৎ বিভাগের ৩৩ হাজার কেভির লাইন চলে গেছে। কথা হলে পথচারী কয়েকজন জানান, ঝড়-বৃষ্টির দিনে প্রায়ই বাতাসে শুকনো গাছের শাখা-প্রশাখা ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। যে কোনো সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
পরিবহন শ্রমিক মোশাহিদ আলী জানান, ‘বাক্কা দিন (অনেক দিন) ধরি গাছগুলো মরি (মরে) গেছে। এখন উলি (উঁই) ও ঘুণপোকায় বাসা করছে। কোন সময় যে তুরাতুড়ি (অল্পস্বল্প) বাতাসে হুকনা গাছ ভাইঙ্গা পড়তে পারে চলাচল করা গাড়ির ওপর। যাত্রী ও গাড়ি সবকিছুর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’
মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার হামিদ বলেন সিলেট-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের শেরপুর বাজার-মৌলভীবাজার অংশে বিপুল সংখ্যক গাছ মরে গেছে। কিছু গাছ এমনভাবে সড়কের ওপর রয়েছে, যাতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে। জেলাজুড়ে এরকম ৬শর বেশি গাছ চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো কাটার অনুমোদন চেয়ে বনবিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলেই দরপত্র আহ্বান করে গাছ কাটতে নিলামের ব্যবস্থা করা হবে।