বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) এক কর্মকর্তাকে সরকারি কাজে বাধাদান ও গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন আনিস নামের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে ২৫ জুন রাতে প্রথম আলো অনলাইনে ‘পিডিবির কর্মকর্তার কক্ষে ঢুকে পিস্তল বের করে হত্যার হুমকি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। পিডিবির বক্তব্যের ভিত্তিতে করা এ প্রতিবেদনের আংশিক তথ্য নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এস কমার্শিয়াল এন্টারপ্রাইজের মালিক মো.

সাইফুর রহমান।

প্রতিবেদনে পিডিবির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি তুলে ধরা হয়। এতে পিডিবির কর্মকর্তাকে হুমকিদানকারী আনিস নামের ব্যক্তি এস কমার্শিয়াল এন্টারপ্রাইজের পক্ষ হয়ে এসেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক পত্রে সাইফুর রহমান বলেছেন, আনিস নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে এস কমার্শিয়াল এন্টারপ্রাইজের কোনো ব্যবসায়িক চুক্তি নেই। আনিস ব্যক্তিগতভাবে পিডিবিতে যান।

এতে আরও বলা হয়, আনিসের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে পিডিবির কাজ করে এস কমার্শিয়াল। পাওনা টাকা চেয়ে আনিস তাগাদা দিচ্ছিলেন। কিন্তু পিডিবি থেকে কাজের বিল পরিশোধ না করায় পাওনা টাকা ফেরত দিতে পারছিল না এস কমার্শিয়াল। দুই বছর ধরে বিলটি আটকে আছে। বিল পেলে টাকা ফেরত দেবে বলে আনিসকে জানানো হয়। তবে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে তারা আনিসকে পিডিবিতে পাঠায়নি। এ নিয়ে তিনি ২৫ জুন মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছেন।

প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রকাশিত প্রতিবেদনে পিডিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য ছাপা হয়েছে। এখানে প্রথম আলো বা প্রতিবেদকের কোনো বক্তব্য নেই।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত ব র কর

এছাড়াও পড়ুন:

জাবিতে ছাত্রদলের বিতর্কিত কমিটি, প্রতিবাদ করায় ১৩ জনকে শোকজ

সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের বর্ধিত আহ্বায়ক ও হল কমিটি গঠন করা হয়েছে। ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী, মাদক ও ছিনতাইয়ের দায়ে বহিষ্কৃতসহ নানা বিতর্কিতদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হলে এর প্রতিবাদ করেন যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়া নেতাকর্মীরা।

প্রতিবাদে অংশ নেওয়া ১৩ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ। এর মধ্যে যুগ্ম-আহ্বায়ক ছয়জন এবং সদস্য রয়েছেন সাতজন।

রবিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়।

আরো পড়ুন:

জাকসু তফসিল ঘোষণা, আগামী ১১ সেপ্টেম্বর নির্বাচন

জাবি শাখা ছাত্রদলের কমিটিতে ছাত্রলীগসহ অন্যরা

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া ছয় যুগ্ম-আহ্বায়ক হলেন, মিজানুর রহমান, মো. হোসাইন আল রাসেদ বাদল, মমিনুর রহমান লাজু, আলাউদ্দিন দেওয়ান, রাজুয়ার হোসাইন, মো. জোবায়ের হোসাইন।

সদস্যরা হলেন- মাহবুবুর রহমান মুরাদ, জাকিরুল ইসলাম, সাদিকুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, মির্জা আবু বকর সিদ্দিক সোহাগ, মাসুদ রানা পাইলট মিস্ট, আবেশ আল মুবিন নাফি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাবি শাখার দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে আপনাদের বিরুদ্ধে কেনো স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নির্দেশনা প্রদান করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরের দিকে জাবির ১৭টি আবাসিক হল ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ৮৮ সদস্য বিশিষ্ট শাখা ছাত্রদলের হল কমিটি ঘোষণা করা হয়।

গত ৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষ (৩৯ ব্যাচ) থেকে আহ্বায়ক এবং ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষ (৪০ ব্যাচ) থেকে সদস্য সচিব নিয়ে ঘোষিত ১৭৭ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটিকে বর্ধিত করা হয়েছে। নতুন বর্ধিত আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে ৭৫ জন এবং সদস্য হিসেবে ২৯৬ জন জায়গা পেয়েছেন।

এই হল কমিটি ও বর্ধিত কমিটিতে ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে রাতে বিক্ষোভ মিছিল করেন যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়া নেতাকর্মীরা।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ