বাদ পড়া সেই শেষ দৃশ্য নিয়ে ৫০ বছর পর আজ মুক্তি পাচ্ছে ‘শোলে’
Published: 27th, June 2025 GMT
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। অখ্যাত এক ছোট্ট গ্রাম রামগড় বদলে দিয়েছিল বলিউডের ইতিহাস। ‘ঠাকুরের ডাকে জয় আর বীরু নামের দুই তরুণের ডাকাত ধরার সেই গল্প হয়ে বলিউডের নতুন ইতিহাস তৈরি করে। সেই সিনেমা ‘শোলে’র মুক্তির ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে চলতি বছর। ভারতের ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত হিন্দি সিনেমাটি মুক্তির ৫০ বছর পর আবার বড় পর্দায় আসছে।
১৯৭৫ সালে নির্মিত রমেশ সিপ্পির এই কালজয়ী সিনেমা এবার পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। এতে রয়েছে সিনেমার আসল শেষাংশ ও কিছু বাদ দেওয়া দৃশ্য। এই নতুন সংস্করণটি ইতালির বোলোনিয়ায় আজ বৃহস্পতিবার ইল সিনেমা রিট্রোভাতায় প্রথমবার দেখানো হবে। এটি বড় এক খোলা জায়গায় স্ক্রিনে দেখানো হবে, যা হতে যাচ্ছে দর্শকদের এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা।
সালিম-জাভেদ এ ছবির কাহিনি লিখেছেন। অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী, জয়া ভাদুরী, সঞ্জীব কুমার ও ‘গব্বর সিং’ চরিত্রে আমজাদ খান। এর কাহিনি পশ্চিমা ও জাপানি সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হলেও এটি পুরোপুরি ভারতীয় আবহে তৈরি।
‘শোলে’র দৃশ্য। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পাথর লুট বন্ধ করে সাদাপাথর রক্ষার দাবিতে ছাত্র-জনতার মানববন্ধন
সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর রক্ষা করতে না পারলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে বলে মানববন্ধনে ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ ও পর্যটনপ্রেমী ছাত্র-জনতা। তাঁরা বলেছেন, গণলুটের মাধ্যমে সাদাপাথর ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। জাফলংয়েরও একই অবস্থা। এটা যে করেই হোক ঠেকাতে হবে। ফ্যাসিস্ট পালালেও এখন নব্য ফ্যাসিস্টের উদয় হয়েছে। এই নব্য ফ্যাসিস্টরা সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো ধ্বংস করেছে।
আজ সোমবার বিকেল চারটায় সিলেট নগরের চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘সেভ সাদাপাথর’ ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে প্রায় দুই শ ছাত্র-জনতা উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যা ছয়টায় কর্মসূচি শেষ হয়। পরে পাথর লুট বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান-সংবলিত স্মারকলিপি দিতে একদল ছাত্র-জনতা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সেভ সিলেটের জেলা গভর্নর তানভীর আহমেদ চৌধুরী, ট্রাভেল সিলেটের সিইও মাহমুদুর রহমান, এনসিপি সিলেট জেলার যুগ্ম সমন্বয়ক ফয়সাল আহমেদ ও আবদুল ওয়াদুদ, জুলাই ২৪ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা সংগঠনের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম, শিক্ষক মো. ওবায়দুর রহমান, শিক্ষার্থী সৈয়দ ইব্রাহিম, সাংবাদিক জে এম হোসাইন, বিপ্লব আহমদ, সিলেট বাইকার্স ক্লাবের সমন্বয়ক ফাহিম বাদশা, সিলেট কল্যাণ সংস্থার সভাপতি এহসানুল হক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট–পরবর্তী সময়ে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো থেকে দেদার পাথর লুটপাট চলে। এতে সিলেটের প্রশাসন ও অনেক রাজনৈতিক নেতা জড়িত। এসব লুণ্ঠনকারীকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি এখনো অবশিষ্ট যা আছে, তা রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে শিগগির সাদাপাথর অভিমুখে লংমার্চের পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে। প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
প্রশাসনের নীরবতার কারণে সাদাপাথর, জাফলং ও ভোলাগঞ্জ এলাকা ধ্বংসের পাশাপাশি পাথরশূন্য হয়েছে দাবি করে বক্তারা বলেন, পাথর লুট বন্ধ করতে হবে। ভোলাগঞ্জ, সাদাপাথর, জাফলং, বিছানাকান্দি সিলেটবাসীর অর্থনৈতিক আয়ের অন্যতম উৎস ছিল। এ উৎস বিনষ্ট করা হয়েছে। সৌন্দর্যের এই অপার লীলাভূমি প্রকাশ্যে ধ্বংস করে ফেলা হলো। সিলেটের প্রকৃতি, পরিবেশ ও সৌন্দর্য রক্ষায় প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।