মাত্র পনেরো বছর বয়সে তিনি পরিবারের আর্থিক সহায়তার জন্য মক্কার অদূরে ছাগল চরানোর কাজ শুরু করেন।

একদিন ছাগল চরানোর সময় রাসুলুল্লাহ (সা.) ও আবু বকর (রা.) তার কাছে আসেন। তৃষ্ণার্ত অবস্থায় তাঁরা ছাগলের দুধ চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ছাগলের মালিক নই, কেবল হেফাজতের দায়িত্ব পেয়েছি।’

নবীজী (সা.) তখন একটি নর-ছাগল আনতে বলেন। তিনি তার স্তনে হাত রাখতেই তা দুধে পূর্ণ হয়ে যায়। নবীজী নিজে এবং আবু বকর (রা.

) পান করেন, এমনকি তাকেও সেই দুধ পান করতে দেন। পুনরায় হাত রাখলে ছাগলটি আগের অবস্থায় ফিরে যায়।

এই অলৌকিক ঘটনায় মুগ্ধ হয়ে তিনি নবীজীর হাত ধরে বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল, ইসলামের ছায়াতলে আমাকে আশ্রয় দিন।’ নবীজী (সা.) তার মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন, ‘বালক, তোমাকে মোবারকবাদ।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৩,৬৬৭)

আমরা ছয়জন ছাড়া তখন পৃথিবীতে আর কোনো মুসলিম ছিল না।আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.), মুসতাদরাকে হাকিম, হাদিস: ৫৩৬৮

তিনিই আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)। নবুওয়াতের প্রথম দিকে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন, তিনি ষষ্ঠ বা সপ্তম মুসলিম। তিনি বলেন, ‘আমরা ছয়জন ছাড়া তখন পৃথিবীতে আর কোনো মুসলিম ছিল না।’ (মুসতাদরাকে হাকিম, হাদিস: ৫৩৬৮)

মক্কায় নবীজীর (সা.) পর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে তিনি কাফেরদের ভয় না করে কাবার চত্বরে উচ্চৈঃস্বরে কোরআন তিলাওয়াত করেন।

আরও পড়ুনআবু মুসা (রা.) ছিলেন জ্ঞানী সাহাবি০১ ডিসেম্বর ২০২৪নবীজীর সান্নিধ্যে জ্ঞানার্জন

নবীজী (সা.) তাকে কুরআনের কয়েকটি সুরা শেখান। তাঁর পবিত্র কণ্ঠে উচ্চারিত কোরআনের আয়াত এত মধুর ছিল, যা ইবনে মাসউদের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলে। তিনি কাবার চত্বরে দাঁড়িয়ে উচ্চৈঃস্বরে তিলাওয়াত করেন, যা সে সময়ে ছিল অত্যন্ত সাহসী কাজ। আবু মুসা আশআরী (রা.) বলেন, ‘আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম, ইবনে মাসউদ ও তাঁর মা রাসুলের পরিবারেরই সদস্য, কারণ তাঁরা নবীজীর কাছে এত ঘন ঘন যেতেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬,২২০)

তাঁর জ্ঞানপিপাসা ছিল অতুলনীয়। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কসম! কোরআনের কোনো সুরা বা আয়াত নেই যার নাজিলের স্থান ও কারণ আমি জানি না। যদি কেউ আমার চেয়ে বেশি কোরআন জানতেন এবং তার কাছে যাওয়া সম্ভব হতো, আমি উটে চড়ে হলেও তার কাছে যেতাম।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬,২২৭)

মক্কায় নবীজীর (সা.) পর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে তিনি কাফেরদের ভয় না করে কাবার চত্বরে উচ্চৈঃস্বরে কোরআন তিলাওয়াত করেন।

তিনি নবীজীর (সা.) ওযুর পানি, মিসওয়াক, জুতা, চাদর ও অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসের হেফাজত করতেন, যার জন্য তাঁকে ‘সাহিবুল মিতহারা ওয়ান না’লাইন’ (নবীজীর পবিত্রতা ও জুতার বাহক) বলা হতো।

কোরআনের শ্রেষ্ঠ আলিম

ইবনে মাসউদ (রা.) কুরআনে বিশেষ পাণ্ডিত্যের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। নবীজী (সা.) বলেন, ‘তোমরা চারজনের কাছ থেকে কোরআন শিখো: আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ, মুয়ায ইবন জাবাল, উবাই ইবন কাব ও সালিম’ (সহিহ মুসলিম, ৬,২২৮)। এখানে প্রথমেই তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁর তিলাওয়াত ছিল এত সুমধুর যে, নবীজী (সা.) একদিন বলেন, ‘আবদুল্লাহ, আমার কোরআন পড়ে শোনাও।’ তিনি সুরা নিসা তিলাওয়াত করলে নবীজীর (সা.) চোখে অশ্রু দেখা যায়। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫,০৫৫)

উমর (রা.) বলেন, ‘যে কেউ কোরআনকে নাজিলের মতো পড়তে চায়, সে যেন ইবনে মাসউদের কেরাত অনুসরণ করে।’ (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস: ৫,৩৯০)

আরও পড়ুনআবদুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের জানাজা ২২ জানুয়ারি ২০২৫নবীজীর সাদৃশ্য ও নৈকট্য

আচার-আচরণে তিনি নবীজীর (সা.) সঙ্গে অসাধারণ সাদৃশ্য রাখতেন। হুজাইফা (রা.) বলেন, ‘আচার-চলনে নবীজীর সবচেয়ে কাছের ছিলেন আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ।’ (জামে তিরমিজী, হাদিস: ৩,৮০৭)

আলী (রা.) বলেন, ‘নবীজী (সা.) বলেছেন, ‘আমি যদি কাউকে পরামর্শ ছাড়াই দলনেতা নিযুক্ত করতাম, তবে ইবনে মাসউদকে করতাম।’’ (জামে তিরমিজী, হাদিস: ৩,৮০৮)

আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম, ইবনে মাসউদ ও তাঁর মা রাসুলের পরিবারেরই সদস্য, কারণ তাঁরা নবীজীর কাছে এত ঘন ঘন যেতেন।আবু মুসা আশআরী (রা.), সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬,২২০

তাবেয়ী আলকামা বলেন, ‘ইবনে মাসউদ ব্যক্তিত্ব, গাম্ভীর্য ও চাল-চলনে নবীজীর সাদৃশ্য অবলম্বন করতেন।’ (মুসতাদরাকে হাকিম, হাদিস: ৫,৩৯৭)

কুফার শিক্ষক ও প্রশাসক

উমর (রা.) তাঁকে কুফার শিক্ষক ও মন্ত্রী নিযুক্ত করেন এবং কুফাবাসীদের লিখে পাঠান, ‘আম্মারকে আমীর এবং ইবনে মাসউদকে শিক্ষক ও মন্ত্রী করে পাঠালাম। তাঁরা রাসুলের সম্মানিত ও বদরী সাহাবি। আমি ইবনে মাসউদকে আমার নিজের ওপর প্রাধান্য দিয়েছি।’ কিছু বর্ণনায় বলা হয়, তিনি কুফার প্রধান বিচারপতি ও বায়তুল মালের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। উসমান (রা.)-এর সময়েও তিনি এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

জ্ঞানের অমর স্মৃতি

আলী (রা.) বলেন, ‘ইবনে মাসউদ কোরআন তিলাওয়াতে শ্রেষ্ঠ, হালাল-হারামে প্রাজ্ঞ, দ্বীনের গভীর জ্ঞানের অধিকারী এবং নবীজীর সুন্নাহর অন্যতম জ্ঞানী।’ (মুসতাদরাকে হাকিম, হাদিস: ৫,৩৮০)

নবীজী (সা.) বলেন, ‘ইবনে মাসউদ যা আমার উম্মতের জন্য পছন্দ করে, আমিও তা পছন্দ করি।’ (মুসতাদরাকে হাকিম, হাদিস: ৫,৪৮১)

৩২ হিজরীতে ৬৬ বছর বয়সে মদিনায় ইন্তেকাল করেন এই মহান সাহাবি। উসমান (রা.) তাঁর জানাজার ইমামতি করেন এবং জান্নাতুল বাকীতে তাঁকে দাফন করা হয়।

আরও পড়ুনচিন্তা যেভাবে ইবাদত হয়ে ওঠে২২ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ ল ল হ ইবন ক রআন র র জন য ত কর ন প রথম ম সউদ

এছাড়াও পড়ুন:

কিশোর রাখাল থেকে শ্রেষ্ঠ আলেম

মাত্র পনেরো বছর বয়সে তিনি পরিবারের আর্থিক সহায়তার জন্য মক্কার অদূরে ছাগল চরানোর কাজ শুরু করেন।

একদিন ছাগল চরানোর সময় রাসুলুল্লাহ (সা.) ও আবু বকর (রা.) তার কাছে আসেন। তৃষ্ণার্ত অবস্থায় তাঁরা ছাগলের দুধ চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ছাগলের মালিক নই, কেবল হেফাজতের দায়িত্ব পেয়েছি।’

নবীজী (সা.) তখন একটি নর-ছাগল আনতে বলেন। তিনি তার স্তনে হাত রাখতেই তা দুধে পূর্ণ হয়ে যায়। নবীজী নিজে এবং আবু বকর (রা.) পান করেন, এমনকি তাকেও সেই দুধ পান করতে দেন। পুনরায় হাত রাখলে ছাগলটি আগের অবস্থায় ফিরে যায়।

এই অলৌকিক ঘটনায় মুগ্ধ হয়ে তিনি নবীজীর হাত ধরে বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল, ইসলামের ছায়াতলে আমাকে আশ্রয় দিন।’ নবীজী (সা.) তার মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন, ‘বালক, তোমাকে মোবারকবাদ।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৩,৬৬৭)

আমরা ছয়জন ছাড়া তখন পৃথিবীতে আর কোনো মুসলিম ছিল না।আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.), মুসতাদরাকে হাকিম, হাদিস: ৫৩৬৮

তিনিই আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)। নবুওয়াতের প্রথম দিকে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন, তিনি ষষ্ঠ বা সপ্তম মুসলিম। তিনি বলেন, ‘আমরা ছয়জন ছাড়া তখন পৃথিবীতে আর কোনো মুসলিম ছিল না।’ (মুসতাদরাকে হাকিম, হাদিস: ৫৩৬৮)

মক্কায় নবীজীর (সা.) পর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে তিনি কাফেরদের ভয় না করে কাবার চত্বরে উচ্চৈঃস্বরে কোরআন তিলাওয়াত করেন।

আরও পড়ুনআবু মুসা (রা.) ছিলেন জ্ঞানী সাহাবি০১ ডিসেম্বর ২০২৪নবীজীর সান্নিধ্যে জ্ঞানার্জন

নবীজী (সা.) তাকে কুরআনের কয়েকটি সুরা শেখান। তাঁর পবিত্র কণ্ঠে উচ্চারিত কোরআনের আয়াত এত মধুর ছিল, যা ইবনে মাসউদের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলে। তিনি কাবার চত্বরে দাঁড়িয়ে উচ্চৈঃস্বরে তিলাওয়াত করেন, যা সে সময়ে ছিল অত্যন্ত সাহসী কাজ। আবু মুসা আশআরী (রা.) বলেন, ‘আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম, ইবনে মাসউদ ও তাঁর মা রাসুলের পরিবারেরই সদস্য, কারণ তাঁরা নবীজীর কাছে এত ঘন ঘন যেতেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬,২২০)

তাঁর জ্ঞানপিপাসা ছিল অতুলনীয়। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কসম! কোরআনের কোনো সুরা বা আয়াত নেই যার নাজিলের স্থান ও কারণ আমি জানি না। যদি কেউ আমার চেয়ে বেশি কোরআন জানতেন এবং তার কাছে যাওয়া সম্ভব হতো, আমি উটে চড়ে হলেও তার কাছে যেতাম।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬,২২৭)

মক্কায় নবীজীর (সা.) পর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে তিনি কাফেরদের ভয় না করে কাবার চত্বরে উচ্চৈঃস্বরে কোরআন তিলাওয়াত করেন।

তিনি নবীজীর (সা.) ওযুর পানি, মিসওয়াক, জুতা, চাদর ও অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসের হেফাজত করতেন, যার জন্য তাঁকে ‘সাহিবুল মিতহারা ওয়ান না’লাইন’ (নবীজীর পবিত্রতা ও জুতার বাহক) বলা হতো।

কোরআনের শ্রেষ্ঠ আলিম

ইবনে মাসউদ (রা.) কুরআনে বিশেষ পাণ্ডিত্যের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। নবীজী (সা.) বলেন, ‘তোমরা চারজনের কাছ থেকে কোরআন শিখো: আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ, মুয়ায ইবন জাবাল, উবাই ইবন কাব ও সালিম’ (সহিহ মুসলিম, ৬,২২৮)। এখানে প্রথমেই তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁর তিলাওয়াত ছিল এত সুমধুর যে, নবীজী (সা.) একদিন বলেন, ‘আবদুল্লাহ, আমার কোরআন পড়ে শোনাও।’ তিনি সুরা নিসা তিলাওয়াত করলে নবীজীর (সা.) চোখে অশ্রু দেখা যায়। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫,০৫৫)

উমর (রা.) বলেন, ‘যে কেউ কোরআনকে নাজিলের মতো পড়তে চায়, সে যেন ইবনে মাসউদের কেরাত অনুসরণ করে।’ (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস: ৫,৩৯০)

আরও পড়ুনআবদুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের জানাজা ২২ জানুয়ারি ২০২৫নবীজীর সাদৃশ্য ও নৈকট্য

আচার-আচরণে তিনি নবীজীর (সা.) সঙ্গে অসাধারণ সাদৃশ্য রাখতেন। হুজাইফা (রা.) বলেন, ‘আচার-চলনে নবীজীর সবচেয়ে কাছের ছিলেন আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ।’ (জামে তিরমিজী, হাদিস: ৩,৮০৭)

আলী (রা.) বলেন, ‘নবীজী (সা.) বলেছেন, ‘আমি যদি কাউকে পরামর্শ ছাড়াই দলনেতা নিযুক্ত করতাম, তবে ইবনে মাসউদকে করতাম।’’ (জামে তিরমিজী, হাদিস: ৩,৮০৮)

আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম, ইবনে মাসউদ ও তাঁর মা রাসুলের পরিবারেরই সদস্য, কারণ তাঁরা নবীজীর কাছে এত ঘন ঘন যেতেন।আবু মুসা আশআরী (রা.), সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬,২২০

তাবেয়ী আলকামা বলেন, ‘ইবনে মাসউদ ব্যক্তিত্ব, গাম্ভীর্য ও চাল-চলনে নবীজীর সাদৃশ্য অবলম্বন করতেন।’ (মুসতাদরাকে হাকিম, হাদিস: ৫,৩৯৭)

কুফার শিক্ষক ও প্রশাসক

উমর (রা.) তাঁকে কুফার শিক্ষক ও মন্ত্রী নিযুক্ত করেন এবং কুফাবাসীদের লিখে পাঠান, ‘আম্মারকে আমীর এবং ইবনে মাসউদকে শিক্ষক ও মন্ত্রী করে পাঠালাম। তাঁরা রাসুলের সম্মানিত ও বদরী সাহাবি। আমি ইবনে মাসউদকে আমার নিজের ওপর প্রাধান্য দিয়েছি।’ কিছু বর্ণনায় বলা হয়, তিনি কুফার প্রধান বিচারপতি ও বায়তুল মালের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। উসমান (রা.)-এর সময়েও তিনি এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

জ্ঞানের অমর স্মৃতি

আলী (রা.) বলেন, ‘ইবনে মাসউদ কোরআন তিলাওয়াতে শ্রেষ্ঠ, হালাল-হারামে প্রাজ্ঞ, দ্বীনের গভীর জ্ঞানের অধিকারী এবং নবীজীর সুন্নাহর অন্যতম জ্ঞানী।’ (মুসতাদরাকে হাকিম, হাদিস: ৫,৩৮০)

নবীজী (সা.) বলেন, ‘ইবনে মাসউদ যা আমার উম্মতের জন্য পছন্দ করে, আমিও তা পছন্দ করি।’ (মুসতাদরাকে হাকিম, হাদিস: ৫,৪৮১)

৩২ হিজরীতে ৬৬ বছর বয়সে মদিনায় ইন্তেকাল করেন এই মহান সাহাবি। উসমান (রা.) তাঁর জানাজার ইমামতি করেন এবং জান্নাতুল বাকীতে তাঁকে দাফন করা হয়।

আরও পড়ুনচিন্তা যেভাবে ইবাদত হয়ে ওঠে২২ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ