চট্টগ্রামে ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের সহযোগী খোরশেদ গ্রেপ্তার
Published: 27th, June 2025 GMT
চট্টগ্রামে ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের অন্যতম সহযোগী খোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জেলার রাউজানের পাহাড়তলী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি র্যাব-৭–এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এ আর এম মোজাফফর হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব কর্মকর্তা এ আর এম মোজাফফর হোসেন আজ শুক্রবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, সন্ত্রাসী খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে গত ২৯ মার্চ বাকলিয়া এক্সেস রোডে প্রাইভেট কারে গুলি করে জোড়া খুনের মামলা, ২৩ মে পতেঙ্গায় সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবরকে গুলি করে খুনের মামলা, চান্দগাঁওয়ের আফতাব খুনের মামলাসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খোরশেদকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। তাঁকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩০ মে প্রথম আলোতে “‘সন্ত্রাসী’ ছোট সাজ্জাদ কারাগারে, তবু থামেনি তাঁর বাহিনী” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে সাজ্জাদের সহযোগী খোরশেদের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে খোরশেদের ছবি রয়েছে। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি নেই।
১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিং মল থেকে সাজ্জাদকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে দেয়। তাঁর বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা হয়েছে। ছোট সাজ্জাদ বিদেশে পলাতক ৮ খুনের মামলায় আসামি সাজ্জাদ আলীর ডানহাত হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুন‘সন্ত্রাসী’ ছোট সাজ্জাদ কারাগারে, তবু থামেনি তাঁর বাহিনী৩০ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বৈষম্য দূরীকরণে ৯ দাবি রাবি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের
প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বহাল এবং বৈষম্য দূরীকরণে ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সের শিক্ষক লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এগ্রোনমি ও এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আব্দুল আলিম, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড.মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান, অফিসার সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ, মাসুদ রানাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
আরো পড়ুন:
রাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
রাকসু ফান্ডে জমা ১ কোটি ৮২ লাখ টাকা, হল সংসদের ফান্ড অস্পষ্ট
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটে এবং দীর্ঘ ১৫ বছরের গুম-খুন ও নির্যাতনের অবসান হয়। গণঅভ্যুত্থানে জনগণের প্রত্যাশা ছিল ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার অবসান এবং গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পেরিয়ে গেলেও সেই প্রত্যাশা পূরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবতাও প্রায় একই রকম। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, আবাসন, যাতায়াত, পেশাগত সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন এবং দুর্নীতিবাজ ও নিপীড়কদের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণে কার্যকর অগ্রগতি দেখা যায়নি। এসব জরুরি বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকার ঘোষিত সুবিধা বহাল রয়েছে। অথচ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তা কার্যকর হয়নি।
বক্তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বাইরে কোনো বিচ্ছিন্ন অংশ নয়। তাই এখানেও শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য একই ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
অফিসার সমিতি সভাপতি মুক্তার হোসেন বলেন, “পোষ্য কোটা ও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা এক নয়। আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা চাই, কোটা নয়। আমাদের সন্তানরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই এখানে ভর্তি হোক এটা চাই।”
রাবি/ফাহিম/সাইফ