কলম্বো টেস্টের প্রথম দিন বল হাতে কর্তৃত্ব করেছে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশকে শাসন করেছে ব্যাট হাতে। পাথুম নিশাঙ্কার অপরাজিত সেঞ্চুরি ও দিনেশ চান্ডিমালের সেঞ্চুরি ছোঁয়া ইনিংসে ৪৩ রানের লিড নেয় স্বাগতিকরা। তৃতীয় দিন প্রথম সেশনে লঙ্কানদের চার উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশ। 

শ্রীলঙ্কা ১০৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪০১ রান করেছে। লিড নিয়েছে ১৫৪ রানের। ক্রিজে থাকা কুশল মেন্ডিস ৪২ রান করেছেন। তার সঙ্গী সোনাল দিনুশা।

সিলভা-কামিন্দুকে ফেরানোর স্বস্তি: তৃতীয় দিন সকালেই তিন উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। নিশাঙ্কা ছাড়াও ছিলেন নাইটওয়াচ ম্যাচ প্রবাথ জয়সুরিয়া ও অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। এর মধ্যে সিলভা ৭ রান করেন। কামিন্দু মেন্ডিস ক্রিজে সেট হয়ে ৩৩ রান করে আউট হয়েছেন।  

সকালেই ফিরলেন নিশাঙ্কা: পাথুম নিশাঙ্কার ব্যাটে দ্বিতীয় দিন দাপট দেখায় শ্রীলঙ্কা। তিনি ১৪৬ রানে অপরাজিত ছিল। তৃতীয় দিন সকালে লঙ্কান ওপেনার ১৫৮ রান করে তাইজুলের বলে আউট হন। 

দ্বিতীয় দিন নিশাঙ্কা-চান্ডিমালের: দ্বিতীয় দিন সকালে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮৮ রানের ওপেনিং জুটি পায় লঙ্কানরা। লাহিরু উদারা ৪০ রান করে ফেরেন। এরপর পাথুম নিশাঙ্কা ও দিনেশ চান্ডিমাল ১৯২ রানের জুটি গড়ে ম্যাচই একপ্রকার বাংলাদেশের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন। চান্ডিমাল ৯৩ রান করে আউট হন। ১০টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা তোলেন তিনি। 

আড়াইশ’ ছোঁয়া পুঁজি: কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালেই সাজঘরে ফেরেন এবাদত হোসেন। উপায় নেই দেখে ব্যাট চালিয়ে খেলেন তাইজুল ইসলাম। ২২০ রানে প্রথম দিন শেষ হওয়া ইনিংস ২৪৭ রানে নিয়ে যান তিনি। তাইজুল খেলেছেন ৩৩ রানের ইনিংস। 

ব্যাটারদের আত্মহনন: কলম্বোয় ৭৬ রানে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারায়। এনামুল বিজয় শূন্য করেন। মুমিনুল ফিরে যান ২১ রান করে। মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস দলকে সেরা ভরসাটা দিচ্ছিলেন। পুরনো বলে, সহজ হয়ে ওঠা উইকেটে তারা ৬৭ রানের জুটি দিয়ে আত্মঘাতী শট খেলে আউট হন। লিটন ৩৪ ও মুশফিক ৩৫ রান করেন। তার আগে সাদমান ইসলাম ফিরে যান ৪৬ রান করে। মেহেদী মিরাজ ৩১ রান করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ডিমে শিশুর অ্যালার্জি কেন হয়, কীভাবে বুঝবেন, সমাধান কী

কেন হয়

শিশুদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা পুরোপুরি গড়ে না ওঠায় অনেক সময় ডিমের প্রোটিনকে শরীর ‘অচেনা’ বা ক্ষতিকর হিসেবে ভুলভাবে শনাক্ত করে। ফলে ঠিক যেভাবে রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধব্যবস্থা কাজ করে, একই ধরনের প্রতিক্রিয়া এখানে সৃষ্টি হয়। এই প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবেও হতে পারে, আবার অনেক ক্ষেত্রে কয়েক ঘণ্টা পরেও দেখা দিতে পারে।

লক্ষণ 

ত্বকে লাল লাল চাকা, একজিমা।

পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব বা মুখের চারপাশে চুলকানো।

সর্দি, শ্বাস নেওয়ার সময় শোঁ শোঁ শব্দ, শ্বাসকষ্ট হওয়া।

দ্রুত হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ কমে যাওয়া। 

অ্যানাফাইলেকসিস শক। 

আরও পড়ুনডিম দিনে কয়টি ও কীভাবে খাবেন০৫ জুলাই ২০২৫রোগনির্ণয় 

শিশুকে প্রথম ডিম খাওয়ানোর সময় অ্যালার্জি উপসর্গ বোঝা যায়। 

চিকিৎসক যদি মনে করেন ডিম বা ডিমযুক্ত খাবার খেলে অ্যালার্জি হয়, তবে তা স্কিন টেস্ট করে নিশ্চিত হতে পারেন।

চিকিৎসা

ডিম ও ডিমযুক্ত খাবার না খাওয়া। 

অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া দমনে অ্যান্টি হিস্টামিন, মারাত্মক অ্যানাফাইলেকসিসে শক ইনজেকশন এপিনেফ্রিন ব্যবহার।

● ডিমে অ্যালার্জি থাকলে কিছু খাদ্য উপাদান পরিহার করা যেমন—এলবুমিন, গ্লোবুলিন ইত্যাদি।

অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

আরও পড়ুনডিমের কমলা, না হলুদ কুসুম—কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ