ব্রিজটাউনে দ্বিতীয় দিনে পড়লো ১০ উইকেট
Published: 27th, June 2025 GMT
ব্রিজটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে ১৪ উইকেটের পতন ঘটেছিল। দ্বিতীয় দিনেও থামেনি উইকেট বৃষ্টি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনেও ১০ উইকেটের পতন ঘটেছে।
৪ উইকেট হারিয়ে ৯২ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় দিনে অলআউট হয় ১৯০ রানে। এরপর অস্ট্রেলিয়া তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯২ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে এখনো তারা পিছিয়ে আছে ৮২ রানে। ট্র্যাভিস হেড ১৩ ও বিউ ওয়েবস্টার ১৯ রানে অপরাজিত আছেন। তারা দুজন আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় আবার ব্যাট করতে নামবেন।
আরো পড়ুন:
অনিন্দ্য আয়োজনে টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জনের ২৫ বছর উদযাপন
নাটাই শ্রীলঙ্কার হাতে
এছাড়া স্যাম কনস্টাস ৫, উসমান খাজা ১৫, ক্যামেরন গ্রিন ১৫ ও জশ ইংলিস ১২ রান করে আউট হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার চারটি উইকেট ভাগাভাগি করে নেন জেইডেন সিলস, শামার যোসেফ, আলজারি যোসেফ ও জাস্টিন গ্রেভেস।
তার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে কেউ ফিফটির দেখা পায়নি। শেই হোপ ৫ চারে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন। অধিনায়ক রোস্টন চেজ ১টি চার ও ১ ছক্কায় করেন ৪৪ রান। এছাড়া ব্রান্ডন কিং ২৬, আলজারি ২৩ ও কেসি কার্টি ২০ রান করেন।
বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ৩টি উইকেট নেন। জশ হ্যাজলউড, প্যাট কামিন্স ও ওয়েবস্টার নেন ২টি করে উইকেট।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।