কলম্বো টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৪৭ রানের জবাবে ৪৫৮ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। ২১১ রানের বিশাল লিড নিয়েছে। রানের চাপায় পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৬.৫ ওভারে ৩১ রান করে এক উইকেট হারিয়েছে। ক্রিজে থাকা ওপেনার সাদমান ইসলাম ১২ রান করেছেন। তার সঙ্গী মুমিনুল হক। বিজয় ১৯ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ১৯ রান করে ফিরেছেন।
কুশল মেন্ডিস ফিরতেই অলআউট: টেলেন্ডারদের নিয়ে সেঞ্চুরি পথে হাঁটছিলেন লঙ্কান উইকেটরক্ষক ব্যাটার কুশল মেন্ডিস। তিনি ৮৪ করে রানআউট হন। আটটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন। এরপরই অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা।
সিলভা-কামিন্দুকে ফেরানোর স্বস্তি: তৃতীয় দিন সকালেই তিন উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। নিশাঙ্কা ছাড়াও ছিলেন নাইটওয়াচ ম্যাচ প্রবাথ জয়সুরিয়া ও অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। এর মধ্যে সিলভা ৭ রান করেন। কামিন্দু মেন্ডিস ক্রিজে সেট হয়ে ৩৩ রান করে আউট হয়েছেন।
সকালেই ফিরলেন নিশাঙ্কা: পাথুম নিশাঙ্কার ব্যাটে দ্বিতীয় দিন দাপট দেখায় শ্রীলঙ্কা। তিনি ১৪৬ রানে অপরাজিত ছিল। তৃতীয় দিন সকালে লঙ্কান ওপেনার ১৫৮ রান করে তাইজুলের বলে আউট হন।
দ্বিতীয় দিন নিশাঙ্কা-চান্ডিমালের: দ্বিতীয় দিন সকালে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮৮ রানের ওপেনিং জুটি পায় লঙ্কানরা। লাহিরু উদারা ৪০ রান করে ফেরেন। এরপর পাথুম নিশাঙ্কা ও দিনেশ চান্ডিমাল ১৯২ রানের জুটি গড়ে ম্যাচই একপ্রকার বাংলাদেশের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন। চান্ডিমাল ৯৩ রান করে আউট হন। ১০টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা তোলেন তিনি।
আড়াইশ’ ছোঁয়া পুঁজি: কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালেই সাজঘরে ফেরেন এবাদত হোসেন। উপায় নেই দেখে ব্যাট চালিয়ে খেলেন তাইজুল ইসলাম। ২২০ রানে প্রথম দিন শেষ হওয়া ইনিংস ২৪৭ রানে নিয়ে যান তিনি। তাইজুল খেলেছেন ৩৩ রানের ইনিংস।
ব্যাটারদের আত্মহনন: কলম্বোয় ৭৬ রানে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারায়। এনামুল বিজয় শূন্য করেন। মুমিনুল ফিরে যান ২১ রান করে। মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস দলকে সেরা ভরসাটা দিচ্ছিলেন। পুরনো বলে, সহজ হয়ে ওঠা উইকেটে তারা ৬৭ রানের জুটি দিয়ে আত্মঘাতী শট খেলে আউট হন। লিটন ৩৪ ও মুশফিক ৩৫ রান করেন। তার আগে সাদমান ইসলাম ফিরে যান ৪৬ রান করে। মেহেদী মিরাজ ৩১ রান করেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কামিন্সকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখিয়ে শাস্তি পেলেন সিলস
ব্রিজটাউনে টেস্টের প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে আউট করে তাঁকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখিয়ে শাস্তি পেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার জেইডেন সিলস। তাঁকে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ অর্থ জরিমানার পাশাপাশি একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনছেলেদের আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে পাল্টে গেল পাওয়ারপ্লের নিয়ম২ ঘণ্টা আগেঅস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ৫৫তম ওভারে সিলসের বলে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ১৮ বলে ২৮ রান করা কামিন্স। এরপর কামিন্সকে হাতের ইঙ্গিতে অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসিংরুমের পথ দেখান সিলস। আইসিসি আচরণবিধি অনুযায়ী, ২.৫ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছেন ২৩ বছর বয়সী এ পেসার। এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচে অপমানজনক ভাষা, আচরণ ও ইঙ্গিত করা, যেটা ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর তাঁকে আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখাতে উত্তেজিত করে তুলতে পারে।’
প্রথম ইনিংসে ১৮০ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া এবং এ ইনিংসে ৬০ রানে ৫ উইকেট নেন সিলস। প্রথম দিনের খেলা শেষে সিলস জানিয়েছিলেন, কামিন্সকে উত্তেজিত করতে অমন ইঙ্গিত করেননি তিনি, ‘কোনো কিছুই বোঝাইনি। অনেকটাই হতাশা থেকে (করেছি)। প্যাট আমার বলে বেশ কিছু ভালো শট খেলেছে এবং আমি শুধু তাকে দেখিয়েছি ড্রেসিং রুমটা কোথায়, কোনো কিছু বোঝাতে ওটা করিনি।’
আরও পড়ুনআম্পায়ারিং নিয়ে ক্ষুব্ধ স্যামি, এক আম্পায়ারকে নিয়ে ‘সন্দেহ’৬ ঘণ্টা আগেগত ২৪ মাসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আচরণবিধি ভাঙার দায়ে অভিযুক্ত হলেন সিলস। এখন তাঁর নামের পাশে দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
অস্ট্রেলিয়া ১৮০ রানে অলআউট হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের প্রথম ইনিংসে ১৯০ রানে অলআউট হয়। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ৯২ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে অস্ট্রেলিয়া। ৮২ রানের লিড নিয়েছে কামিন্সের দল।