কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন উদ্ভাবনে চলা প্রতিযোগিতায় শীর্ষে থাকতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। এ জন্য এআই প্রযুক্তিনির্ভর ‘সুপার ইনটেলিজেন্স’ নামের নতুন গবেষণাগার চালুর পরিকল্পনা করেছেন তিনি। শুধু তা–ই নয়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সেরা এআই–গবেষক ও নির্মাতাদের পাশাপাশি এআই খাতের উদ্যোক্তাদের মোটা অঙ্কের বেতনে গবেষণাগারটিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন মার্ক জাকারবার্গ।

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অনেককে ১০ কোটি ডলার পর্যন্ত বেতন দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। শুধু তা–ই নয়, সেরা এআই–গবেষক ও নির্মাতাদের কাছে নিজেই ই–মেইল বা হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠিয়ে মোটা অঙ্কের বেতনে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন মার্ক জাকারবার্গ। এরই মধ্যে যেসব এআই–গবেষক ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেরা উদ্ভাবনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ করছেন জাকারবার্গ।

মেটার মানবসম্পদ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘রিক্রুটিং পার্টি’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতিদিন নিয়োগসংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করছেন জাকারবার্গ। কোনো প্রার্থীকে নির্বাচনের পর তিনিই প্রথম বার্তা পাঠাচ্ছেন। সেই ব্যক্তির কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেলে নিজ বাসভবনের পাশাপাশি মেটা কার্যালয়ে সাক্ষাতের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন।

জাকারবার্গের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের বেতনে চাকরির সুযোগ পেয়েও সবাই যে রাজি হচ্ছেন, তা নয়। মেটার অভ্যন্তরীণ কাঠামো ও কৌশলগত অগ্রাধিকার নিয়ে অনিশ্চয়তা ও বিভ্রান্তির বিষয়টি অনেক এআই–বিশেষজ্ঞকে ভাবিয়ে তুলেছে। মেটায় সাম্প্রতিক সময়ে কর্মীদের একাধিকবার দায়িত্ব পুনর্গঠনসহ প্রধান এআই–বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুনের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কৌশলগত মতপার্থক্যের কারণেও দ্বিধায় রয়েছেন তাঁরা।

সম্প্রতি এআই খাতে বড় ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে মেটা। বছরের শুরুতে প্রতিষ্ঠানটির নতুন এআই মডেলের উন্মোচন বেশ বিলম্বিত হয়। পরে জানা যায়, মডেলটির কার্যকারিতা বাস্তবের তুলনায় অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করা হয়েছিল। এতে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি গুগল ও ওপেনএআইয়ের মতো প্রতিযোগীদের তুলনায় বেশ পিছিয়ে পড়ে মেটা। এরপরই মেটার সুপার ইনটেলিজেন্স গবেষণাগারের জন্য সেরা এআই–কর্মী নিয়োগ দিতে সরাসরি যুক্ত হয়েছেন মার্ক জাকারবার্গ।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম র ক জ ক রব র গ

এছাড়াও পড়ুন:

গ্রীক পুরাণের যুদ্ধের দেবী এথেনা সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ তথ্য

গ্রীক পুরাণের যুদ্ধের দেবী এথেনা। তিনি জ্ঞান, কৌশলগত যুদ্ধ, সভ্যতা, আইন ও ন্যায়বিচার, শক্তি, শিল্প ও কারুশিল্পের দেবী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এথেনা শুধুমাত্র যুদ্ধের দেবী ছিলেন না, তিনি যুদ্ধের বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত দিকটি উপস্থাপন করতেন। তিনি সাধারণত বীরদের অনুপ্রাণিত করতেন এবং ন্যায়সঙ্গত লড়াইয়ে সহায়তা করতেন।তিনি বয়ন, সেলাই এবং অন্যান্য কারুশিল্পের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।

এথেনা গ্রিসের বিভিন্ন শহর, বিশেষ করে এথেন্স শহরের রক্ষাকর্ত্রী ও পৃষ্ঠপোষক দেবী হিসেবে পূজিত হতেন। তিনি পার্সিয়াস, হেরাক্লিস, ওডিসিউস এবং জেসনের মতো বিখ্যাত গ্রিক বীরদেরকে তাদের অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেছিলেন।তিনি একজন কুমারী দেবী ছিলেন এবং তাঁর কোনো সন্তান ছিল না। 

আরো পড়ুন:

পশ্চিমা সভ্যতার ‘দোলনা’ বলা হয় যে শহরকে

শীতে চুল ‘ডিপ কন্ডিশনিং’ করার উপায়

জন্ম ও পৌরাণিক কাহিনী

এথেনার জন্মকাহিনী বেশ চমকপ্রদ। প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, তিনি দেবরাজ জিউস এবং জ্ঞান ও কৌশলের টাইটানিস মেটিসের কন্যা। জিউস ভবিষ্যদ্বাণী জানতে পারেন যে, মেটিসের সন্তান তাকে সিংহাসনচ্যুত করবে, তাই তিনি মেটিসকে গিলে ফেলেন। এর কিছুদিন পর জিউসের প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হয় এবং তিনি হেফেস্টাসকে (অগ্নি ও কর্মকার শিল্পের দেবতা) তার মাথা কুড়াল দিয়ে কেটে দিতে বলেন। মাথা কাটার পর, এথেনা সম্পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক এবং বর্ম পরিহিত অবস্থায় জিউসের মাথা থেকে বেরিয়ে আসেন। 

এথেন্স শহরের নামকরণ এথেনার নামানুসারে করা হয়েছিল। শহরটির পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে এথেনা এবং সমুদ্রের দেবতা পসেইডনের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা হয়েছিল। পসেইডন তার ত্রিশূল দিয়ে মাটিতে আঘাত করে একটি নোনা জলের ঝর্ণা তৈরি করেন। অন্যদিকে, এথেনা একটি জলপাই গাছ তৈরি করেন, যা খাদ্য, তেল, কাঠ এবং ছায়া প্রদান করত। শহরের লোকেরা এথেনার উপহারকে বেশি উপযোগী মনে করে এবং এথেনাকে তাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বেছে নেয়। এথেন্সের অ্যাক্রোপলিসে অবস্থিত বিখ্যাত পার্থেনন মন্দিরটি তার সম্মানে নির্মিত হয়েছিল। 

এথেনার প্রধান প্রতীকগুলির মধ্যে রয়েছে পেঁচা। যা জ্ঞানের প্রতীক। জলপাই গাছ হলো শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক।ঢাল তার যোদ্ধার পরিচয় বহন করে। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গ্রীক পুরাণের যুদ্ধের দেবী এথেনা সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ তথ্য