বাংলাদেশের আমচাষিদের সহযোগিতা নিয়ে আমবাগান গড়ে তুলতে চায় আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়া। বাংলাদেশিরা দেশটিতে গিয়ে আমবাগান গড়ে তুলতে চাইলে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধাও নিশ্চিত করা হবে। আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সফরে এসে বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেলোহাব সাইদানি এ কথা বলেন।

আলজেরিয়ার সঙ্গে কৃষিভিত্তিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ শীর্ষক যৌথ আলোচনাসভায় আবদেলোহাব সাইদানি এ কথা বলেন। সভার আয়োজন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও বাংলাদেশ আলজেরিয়া বিজনেস ফোরাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত আবদেলোহাব সাইদানি।

আবদেলোহাব সাইদানি বলেন, আলজেরিয়ায় অনেক জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এসব জমিতে আমরা আমবাগান গড়ে তুলতে আগ্রহী। এ জন্য বাংলাদেশিদের সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশিরা সেখানে গিয়ে আমবাগান গড়ে তুলতে চাইলে বিনা মূল্যে জমি দেওয়া হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অন্যান্য সুযোগ–সুবিধাও নিশ্চিত করা হবে। আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশ ও আলজেরিয়ার সম্পর্ক উন্নয়নে সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্ভাবনার দরজা খুলে যাবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ-আলজেরিয়া বিজনেস ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ নূরুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার চৌধুরী, চেম্বারের সহসভাপতি আখতারুল ইসলাম, পরিচালক রাইহানুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুঞ্জের আলম প্রমুখ।

আখতারুল ইসলাম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম উৎপাদন ও উৎপাদনপদ্ধতি দেখে অভিভূত হয়েছেন আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম উৎপাদনকারীদের আলজেরিয়ায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাঁরা যেন সেখানকার মাটি ও আবহাওয়া অর্থাৎ আম উৎপাদনের উপযোগিতা যাচাই করে দেখতে পারেন।

আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও উন্নয়নে কাজ করছেন আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেলোহাব সাইদানি। বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতি হলে দেশটিতে আম ও আমজাত পণ্য রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে। মুনজের আলম বলেন, ‘আম ও আম প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানির সুযোগ চাই আমরা।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ইনব বগঞ জ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

কাঠগড়ায় কাঁদলেন এনবিআরের সেই মতিউর, আদালত বললেন, ‘দুদকের জালে এখন হাজার মতিউর’

গত বছরের কোরবানি ঈদের আগে ছেলের ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর গ্রেপ্তার এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউর রহমানকে আজ আদালতে দেখা গেল ভিন্ন রূপে।

আসামির কাঠগড়ায় একটি বেঞ্চে তিনি বসে ছিলেন। মুখে তাঁর লম্বা দাড়ি। মাস্ক দিয়ে মুখ ঢাকা। মতিউর যে বেঞ্চে বসে ছিলেন, সেই বেঞ্চের এক প্রান্তে বসেছিলেন তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ। সময় তখন বেলা ১২টা ১০ মিনিট।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন তখন এজলাসে। তিনি দৈনন্দিন মামলার শুনানি গ্রহণ করছিলেন। আদালত কক্ষে দেখা যায়, মতিউর ও লায়লা মৃদু স্বরে নিজেরা কথা বলতে থাকেন। এর ২৩ মিনিট পর মতিউর রহমানদের দুর্নীতির মামলার শুনানি শুরু হয়।

শুরুতে মতিউরের আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান আদালতকে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমার মক্কেল মতিউর এবং তাঁর স্ত্রী কয়েক মাস ধরে কারাগারে আছেন। তাঁরা ষড়যন্ত্রের শিকার। জামিন দিলে পলাতক হবেন না।’

আইনজীবীর বক্তব্যের পর মতিউর রহমান নিজেই আদালতে কথা বলার অনুমতি চান। এক পর্যায়ে মতিউর রহমানের আইনজীবীও মতিউরকে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে মৌখিক আবেদন করেন।

আদালত অনুমতি দেওয়ার পর মতিউর আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে শুরু করেন। মতিউর আদালতকে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আমি কারাগারে থাকা অবস্থায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছি। সেই চিঠিতে আমি জানিয়েছি, কীভাবে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’

মতিউর রহমানের এই বক্তব্যের পর আদালত বলেন, ‘যখন এটি আদালতে জমা দেওয়া হবে, তখন আমি পড়ব।’

এ সময় মতিউর রহমান তাঁর হাতে থাকা একটি চিঠি আদালতে জমা দেন।

আদালতের কাছে চিঠিটি জমা দেওয়ার পর মতিউর আদালতকে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, কাস্টমস কর্মকর্তা থাকাকালে একজন সামরিক কর্মকর্তার রোষানলে আমি পড়ি। সেই কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড নিয়ে নিয়ে সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়েছে।’

হাজতখানা থেকে বের করে আদালতে নেওয়া হচ্ছে এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত চত্বরে

সম্পর্কিত নিবন্ধ