রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণে চাঁদা দাবি সন্ত্রাসীদের
Published: 27th, June 2025 GMT
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন প্রশাসনিক-একাডেমিক ভবনের কাজে চাঁদা দাবি করে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার হুমকি দিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে এ দুটি ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোতোয়ালি থানায় জিডি করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ক্যাম্পাসে বর্তমানে ১৬ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন তলা প্রশাসনিক ভবন ও ১৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন তলা একাডেমিক ভবনের নির্মাণ চলছে। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ভবন দুটির নির্মাণ চলছে। উভয় ভবনের নির্মাণকাজ পেয়েছে চট্টগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমই-আরবিজেবি। গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সাতজনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ক্যাম্পাসে ঢুকে ঠিকাদারের কর্মচারীদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। পরে সন্ত্রাসীরা নির্মাণ শ্রমিকদের থাকার জন্য তৈরি করা টিনশেডের ঘরে ঢুকে তাদের ১০ থেকে ১২টি মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেয়। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার আগে চাঁদা না দিলে নির্মাণকাজ বন্ধের হুমকি দেয়। চাঁদা না দিয়ে কাজ চলমান রাখলে পরবর্তী সময়ে ক্ষতি হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর ঠিকাদারের লোকজন ও শ্রমিকরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানায়।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া প্রায় ছয় মিনিটের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ২৬ জুন রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে সাত সন্ত্রাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়ক ধরে হেঁটে ক্যাম্পাসে ঢুকছে। তাদের মধ্যে চারজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। ক্যাম্পাসে ঢোকার মুখে চেয়ারে বসা নিরাপত্তা প্রহরী অস্ত্রধারীদের দেখে উঠে দাঁড়ান। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। অস্ত্রধারীরা শ্রমিকদের ঘরে ঢুকে কয়েক মিনিট অবস্থান করার পর একই পথে চলে যায়।
এ ব্যাপারে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানায় জিডি করেছে। পাশাপাশি অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীকেও জানানো হয়েছে বিষয়টি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সন্ত্রাসীরা আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কাজে দুইবার চাঁদা দাবি করেছিল। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ভবনের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মীর হোসেন জানান, চাঁদা না দেওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের কাউকেই চিনতে পারিনি। এরা কোনো দলের কিনা জানি না।
কোতোয়ালি থানার ওসি সাহেদ উদ্দীন জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ভবন র ন র ম ণ ক জ বন ধ র ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
সোনারগাঁয়ে মহাষ্টমীতে মণ্ডপ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার
শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে মহাষ্টমীর দিন সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা ও জেলা পুলিশ সুপার জসিম উদদীন।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তারা সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ও পঞ্চমীঘাটের পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখেন। এসময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “জেলার ২২৪টি মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। আমরা বিভিন্ন মণ্ডপে গিয়ে দেখছি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ রয়েছে। এটি আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিরই প্রতিফলন।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। অতীতের মতো এখনো আমরা সেই ঐতিহ্য রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতেও এই ধারা বজায় থাকবে। বিশ্ববাসীর কাছে আমরা জানাতে চাই, আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির মূল শক্তি হলো সম্প্রীতি।”
জেলা পুলিশ সুপার জসিম উদদীন বলেন, “জেলার সাতটি থানায় উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপিত হচ্ছে। পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি অন্য বাহিনীগুলোও নিরাপত্তায় অংশ নিয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। কোনো ধরনের আশঙ্কার খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি যোগ করেন, “বিসর্জন পর্যন্ত নিরাপত্তার এ ব্যবস্থা চলমান থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, এর ফলে আনন্দমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন সফলভাবে সম্পন্ন হবে।”
এসময় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার জসিম উদদীন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর আয়াজ আব্দুল্লাহ,জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী মিসেস হেমা জেরিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নায়মা ইসলাম,সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার 'খ' আসিফ ইমাম, জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বারদী শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম কমিটির ব্যবস্থাপক নয়ন চন্দ্র গোলদার, সভাপতি অশোক কুমার রায়, সেক্রেটারি শংকর কুমার দে, পঞ্চমীঘাট সার্বজনীন পূজা উদযাপন মণ্ডপ ও পানাম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবু অমল পোদ্দার (সিআইপি) এবং মণ্ডপ কমিটির সভাপতি প্রদীপ পোদ্দার,বারদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল হালিম, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল করিম,বারদী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব দেলেয়ার হোসেন দুলু উপস্থিত ছিলেন।