স্কুলছাত্রীকে দুই বছর ধরে ধর্ষণ, মা-ছেলে গ্রেপ্তার
Published: 27th, June 2025 GMT
কুমিল্লা নগরীতে বিয়ের আশ্বাসে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে ওই ছাত্রীকে প্রায় দুই বছর ধর্ষণ করা হয়। পরে ভিডিও প্রকাশের হুমকি দিয়ে পরিবার থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় প্রায় ৩ লাখ টাকা।
ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়। এ মামলায় অভিযুক্ত যুবক সোয়াদুর রহমান সিয়াম ও তার মা তানিয়া আক্তার মনিকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সিয়ামের বাসা কুমিল্লা নগরীর চকবাজার এলাকায়। তার বাবার নাম মোস্তাফিজুর রহমান। একই এলাকায় প্রায় দুই বছর ভাড়া বাসায় ছিল ওই ছাত্রী ও তার পরিবার। বাসায় ওঠার পর থেকে সিয়াম ওই ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন করে। একপর্যায়ে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে দুই বছরে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ ছাড়া ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে পরিবার থেকে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। পরে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি ওই ছাত্রীর মা সিয়ামের মা মনিকে জানালে তাদের শহর ছাড়ার হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার জানায়, বিষয়টি মীমাংমার কথা বলে বুধবার দুপুরে ছাত্রীকে সিয়ামের নানির বাড়িতে নিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বাচ্চা নষ্ট করার ওষুধ খেতে বাধ্য করে। এ সময় পেটে লাথিও মারে। পরে ওই ছাত্রীর মা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সিয়াম, তার মা মনি ও বোন মিমের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে ভুক্তভোগীর মা। পরে মা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, আসামির নিজ বাড়ি থেকে সিয়াম ও তার মাকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ওই ছ ত র দ ই বছর পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরো ১ মাস বাড়ল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আরো এক মাস বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
কমিশনের মেয়াদ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে।
১৫ অগাস্ট ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় নির্ধারিত ছিল। তার আগেই আরো এক মাস সময় বাড়ানো হলো।
কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের আইয়ুব মিয়া, পুলিশ সংস্কার কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন বিচারপতি এমদাদুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।
কমিশন গত শুক্রবার জানিয়েছে, সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণ এবং জুলাই সনদ মানার বাধ্যবাধকতা নিশ্চিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে তৃতীয় দফায় বসবে ঐকমত্য কমিশন।
ঢাকা/এএএম/ইভা