চট্টগ্রামের চন্দনাইশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান জগন্নাথদেবের রথযাত্রার রথে বিদ্যুতের তার এসে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনটি শিশুসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে চন্দনাইশ উপজেলার সুচিয়া সাথী ক্লাবের সামনে রাস্তার ওপর এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রথযাত্রা বরকল শ্রীশ্রী রাধামাধব জুলন মন্দির থেকে শুরু হয়ে চন্দনাইশ দিকে আসার পথে শহীদ মুরিদুল আলম সড়কের সুচিয়া ক্লাবের সামনে পল্লী বিদ্যুতের প্রধান সঞ্চালন লাইনের স্পর্শে আসে। এতে পুরো রথটি বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে। ফলে রথের সঙ্গে থাকা পুণ্যার্থীদের মধ্যে পাঁচজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এ সময় রথযাত্রা কিছুক্ষণ থেমে যায়।

এ ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাতবাড়িয়া এলাকার সৌরভ শীল, পাঠানদণ্ডীর দীপা দে, অপূর্ব মজুমদার, সুচিয়ার উজ্জ্বল দেব ও সুজন দত্ত আহত হন।

চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আহত ব্যক্তিদের চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাস্তার গর্ত ভরাটের নাম করে অবৈধ বালু ব্যবসা

কলমাকান্দা উপজেলার পাহাড়ি নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু রাস্তার পাশে ফেলে গর্ত ভরাটের নাম করে এখন তা প্রকাশ্যে বিক্রি করছে একটি চক্র। খারনৈ ইউনিয়নের গজারমারি এলাকার ভেলুয়াতলিতে এই ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয়রা জানান, কিছু দিন আগে এলাকাবাসীর সামনে রাস্তার গর্ত ভরাটের অজুহাতে পাহাড়ি নদী ডেনকি থেকে উত্তোলিত বালু ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল সেই বালু লুকিয়ে রাখা এবং পরে তা বিক্রি করা। অভিযোগ রয়েছে, এই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাদেক মিয়া নামে এক ব্যক্তি, যার সঙ্গে আরও অন্তত চারজন জড়িত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সরাসরি ভেকু দিয়ে বালু তুলে ট্রলিতে করে বিক্রি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এসব দৃশ্য ক্যামেরাবন্দিও হয়েছে। এমন কর্মকাণ্ডে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় একজন বলেন, প্রথমে বলেছিল রাস্তার গর্ত ভরাট করবে। এখন দেখা যাচ্ছে সেই বালুই বিক্রি করছে ট্রলিতে করে। প্রশাসন যেন দেখেও না দেখার ভান করছে।
বালু বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাদেক মিয়া। তিনি বলেন, ‘রাস্তার পাশে আমাদের নিজ নামে জমি রয়েছে। অনেক আগেই আমরা সেই গর্তে ডেনকি নদীর বালু ফেলেছিলাম। এখন এলাকার উন্নয়নের কাজে সেই বালু নেওয়া হচ্ছে।’
তবে সাদেক মিয়ার দাবি মানতে নারাজ স্থানীয়রা। তাদের ভাষ্য, এটি অবৈধ বালু ব্যবসার একটি কৌশল। তারা দ্রুত তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, ‘খবর পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ