টেস্ট ক্রিকেটে ১৭তম বারের মতো ৫ উইকেট পেলেন আজ। দেশের বাইরে পেলেন পঞ্চমবার, যাতে ধরে ফেলেছেন সাকিব আল হাসানের কীর্তি। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই সাফল্য এল দ্বিতীয়বারের মতো, দুইবারই শ্রীলঙ্কার মাটিতে।

কলম্বো টেস্টে আজ এমন একটি দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দল থেকে কাঙ্ক্ষিত ক্রিকেটারটি তাইজুল ইসলামেরই হওয়ার কথা। সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবের প্রেসবক্সে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে তিনি এলেনও। কিন্তু ৫ উইকেট পাওয়ার আনন্দে তাঁর মুখটি ঝলমল করেনি। বরং আরও একটি ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে তৃতীয় দিন শেষেই হার দেখতে থাকা বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হিসেবে ম্লান উপস্থিতিই হলো তাইজুলের।

সংবাদ সম্মেলনে তাইজুলকে ‘অভিনন্দন’ জানিয়ে একাধিক প্রশ্ন শুরু হলেও পরে সেগুলো ঘুরে গেছে কলম্বো টেস্টের ব্যর্থতার দিকে। ৫ উইকেট পাওয়ার পরও দলের বাজে পরিস্থিতির কারণে সেটি উদ্‌যাপন করতে না পারাটা নিশ্চয়ই হতাশার। তাইজুলের প্রতিক্রিয়ায়ও নিজের কীর্তির চেয়ে দলের অবস্থাটাই বেশি প্রতিফলিত হলো। যার সারমর্ম—দল ভালো না খেললে ব্যক্তিগত সাফল্য উদ্‌যাপনের উপলক্ষ থাকে না। তাঁর কাছে দলই আগে।

কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ৫ উইক ট ত ইজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘মাথায় সমস্যা’র চিকিৎসা নিতে এসে চিকিৎসকের ওপর চড়াও, ধরে দেওয়া হলো থানায়

‘মাথায় সমস্যা’ দেখা দেওয়ায় নারায়ণগঞ্জ থেকে এক তরুণকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলেন তাঁর মা–বাবা। শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আরিফ হোসেন নামের ওই তরুণকে নিউরোসার্জারির চিকিৎসক দেখাতে আনা হয়। সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে আরিফ চিৎকার করে চিকিৎসকের ওপর চড়াও হন। এরপর ওই তরুণকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আরিফ ওই চিকিৎসকের ওপর চড়াও হলে তার প্রতিবাদে নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডের অন্য চিকিৎসকেরা রোগীদের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ওই ওয়ার্ডে আসেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় হাসপাতালের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পরিচালকের নির্দেশে হাসপাতালে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা আরিফকে আটক করে শাহবাগ থানার পুলিশের সোপর্দ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, আরিফ হোসেনকে ডিএমপি অধ্যাদেশ আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার তাঁকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হবে।

আরিফ (১৮) সপরিবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিমপুর খিল মার্কেট এলাকায় থাকেন। তিনি সেখানে একটি প্রিন্টিং কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলেন তাঁর বাবা তাজউদ্দীন ও মা শিল্পী বেগম। ঘটনার পর তাঁরা হাসপাতালের পরিচালককে বলেন, নারায়ণগঞ্জের একজন চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁরা ছেলেকে এই হাসপাতালের নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসক দেখাতে এবং সিটি স্ক্যান করাতে এসেছিলেন।

আরিফের অভিভাবকেরা জানান, এক সপ্তাহ আগে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় তাঁদের ছেলে মারধরের শিকার হয়েছিলেন। তার পর থেকে মাথায় সমস্যা দেখা দেয়। তিনি ঠিকমতো কথা বলেন না, হঠাৎ রেগে যান। সেই ঘটনার পর থেকে চিকিৎসক দেখাচ্ছেন। এই কথা শোনার পর ও কাগজপত্র দেখে চিকিৎসকেরা শান্ত হন এবং কাজে ফিরে যান। ফলে ওয়ার্ডের চিকিৎসাসেবা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মো. আসাদুজ্জামান তখন বলেন, আরিফের মা-বাবা হাসপাতালে এসেই চিকিৎসককে এ কথা কেন জানালেন না। তাহলে তো এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটত না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ