এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে মামলা, মা-ছেলে কারাগারে
Published: 27th, June 2025 GMT
কুমিল্লা নগরে বিয়ে করার কথা বলে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও বাধ্য করে গর্ভপাত ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগে ওই ছাত্রীর মায়ের করা মামলায় এক তরুণ ও তাঁর মাকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
গ্রেপ্তার দুজন হলেন সোয়াদুর রহমান ওরফে সিয়াম (২১) ও তাঁর মা তানিয়া আক্তার (৪০)। এর আগে ধর্ষণ এবং সোয়াদুরের মা ও বোনের সহায়তায় ওই ছাত্রীকে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে বুধবার থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা।
মামলার এজাহারে স্কুলছাত্রীর পরিবার বলছে, অভিযুক্ত সোয়াদুরদের বাড়িতে প্রায় দুই বছর ভাড়া ছিল ওই ছাত্রীর পরিবার। একপর্যায়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন সোয়াদুর। যার ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে দুই বছরে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এ ছাড়া ভিডিওর কথা বলে পরিবার থেকে প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। পরে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি সোয়াদুরের মাকে জানানো হয়। তখন পরিবারটিকে কুমিল্লা নগর ছাড়ার হুমকি দেন তিনি।
এজাহারে বলা হয়েছে, সর্বশেষ ২৪ জুন বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে ওই তরুণীকে সোয়াদুরের নানার বাড়িতে নিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বাচ্চা নষ্ট করার ওষুধ খেতে বাধ্য করা হয়। এ সময় তার পেটেও লাথি মারা হয়। পরে ওই ছাত্রীর মা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ওই ছ ত র র পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহ বোর্ডে পুনর্মূল্যায়নে মোট পাস ২১০, জিপিএ-৫ বৃদ্ধি ১৬৬
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফলাফল পুনর্মূল্যায়নে ফেল থেকে পাস করেছে ২১০ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১৬৬ জন।
রবিবার (১০ আগস্ট) ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক সৈয়দ আক্তারুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়, ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে মোট ৪৬ হাজার ৬৬৪টি আবেদন জমা পড়েছিল। এসব আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাইয়ে ৩ হাজার ৮টি উত্তরপত্রে বিভিন্ন বিষয়ে নম্বর বৃদ্ধি পায়। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৯০টি আবেদনে শিক্ষার্থীদের গ্রেড পয়েন্ট পরিবর্তিত হয়। বাকি আবেদনগুলোতে নম্বর বাড়লেও গ্রেড পয়েন্ট অপরিবর্তিত।
অধ্যাপক সৈয়দ আক্তারুজ্জামান জানান, ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের কারণে বোর্ডের সামগ্রিক পাশের হার দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে।
প্রাথমিকভাবে যখন ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল তখন মোট পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬১ হাজার ৪৫৬ জন। পুনর্মূল্যায়নের পর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজার ৬৬৬ জনে। পাশের হার শতকরা ৫৮.২২ শতাংশ থেকে বেড়ে এখন হয়েছে ৫৮.৪২ শতাংশ।
অন্যদিকে, জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগে ছিল ৬৬৭৮ জন। পুনর্মূল্যায়নের পর এই সংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮৪৪ জনে।
২০২৫ সালের এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল ১০ জুলাই। ১১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ১৭ জুলাই।
ফলাফলে এমন ত্রুটির বিষয়ে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, সাধারণত যেসব শিক্ষকরা পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করেন, তাদের কিছু ভুলের কারণে এমনটা হয়ে থাকে। প্রথম, দ্বিতীয় পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষক নম্বরপত্র হিসাব নিকাশ করে চূড়ান্ত করে বোর্ডে পাঠায়।
ঢাকা/মাহমুদুল/মেহেদী