মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করেন বাবা, বলছে পুলিশ
Published: 28th, June 2025 GMT
সিলেট নগরীর মেজরটিলায় নিজের দেড় মাসের সন্তান ইনায়া রহমানকে হত্যা করেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আতিকুর রহমান। তিনি শিশুকে বাসার শৌচাগারে নিয়ে বঁটি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আতিকুরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার বিকেলে মেজরটিলায় আতিকুর রহমানের ভাড়া বাসা থেকে শিশু ইনায়ার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে গলায় জখম অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয় আতিকুরকে।
পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকালে আতিকুর রহমান পুলিশকে বলেন, সেদিন মাথাব্যথার কারণে হঠাৎ কী হয়েছিল বুঝতে পারেননি।
তিনি আরও জানান, আতিকুরের জবানবন্দি, তার স্ত্রীর বক্তব্যসহ অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, আতিকুরই নিজ সন্তানকে হত্যা করেছেন। তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের টংঘর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শাহপরাণ (রহ.
নিহত শিশুর মা ঝুমা বেগম বলেন, সেদিন দুপুরে তিনজনই ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুম থেকে উঠে ঝুমা দেখেন, তাঁর স্বামী বঁটি দিয়ে নিজের গলা কাটছেন। আর পাশে মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে।
ঝুমার বোন নাজমা বেগম বলেন, ‘আমার বোন ফোনে চিৎকার দিয়ে বলে, মেয়েকে জবাই করে আতিকুর নিজের গলা কাটছে। এর পর আমরা সবাই দৌড়ে সেখানে যাই।’
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের প্রধান ডা. নুরুল হুদা নাঈম বলেন, আতিকুর রহমানের গলার আঘাত বেশ বড়। তার শ্বাসনালি অনেকটা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তিনি আমাদের পর্যবেক্ষণে আছেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ আমলে ওসি থাকা ৯ পুলিশ পরিদর্শককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার
পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) পদমর্যাদার ৯ জন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। বিগত সরকারের সময় তাঁরা বিভিন্ন থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাসিমুল গনি এসব প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন।
অবসরে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন বগুড়ার এপিবিএন ৪–এর পুলিশ পরিদর্শক শিকদার মো. শামীম হোসেন, সিআইডি কন্ট্রোল রুমের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল লতিফ, নারায়ণগঞ্জ জেলার রিজার্ভ অফিসের পুলিশ পরিদর্শক এস এম কামরুজ্জামান, সিআইডি নরসিংদীর পুলিশ পরিদর্শক আ. কুদ্দুছ ফকির, ট্যুরিস্ট পুলিশের মুন্সিগঞ্জ ও পদ্মা সেতু জোনের পরিদর্শক মামুন অর রশিদ, সিআইডির মৌলভীবাজারের পুলিশ পরিদর্শক নুরুল ইসলাম, নৌ পুলিশে কর্মরত যমুনা সেতু-পূর্ব নৌ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. কামাল হোসেন, কুলাউড়া রেলওয়ে থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. সেলিমুজ্জামান এবং টাঙ্গাইলের মধুপুর সার্কেল অফিসের পুলিশ পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক।
৯ জনকেই সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী অবসরে পাঠানো হয়। আইনের ওই ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর যেকোনো সময় সরকার জনস্বার্থে প্রয়োজন মনে করলে কোনো কারণ না দর্শিয়ে তাঁকে চাকরি থেকে অবসর দিতে পারবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইনের বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। বিধি অনুযায়ী তাঁরা অবসরজনিত সুবিধা পাবেন। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার কাজী মনিরুজ্জামান সাময়িক বরখাস্ত
অসদাচরণ ও পলায়নের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক উপকমিশনার কাজী মনিরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শিগগিরই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে যাচ্ছে।
সূত্র জানিয়েছে, ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার কাজী মনিরুজ্জামান বর্তমানে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত রয়েছেন। তিনি বিনা অনুমতিতে গত বছরের ২৫ নভেম্বর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। যার ফলে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী অসদাচরণ ও পলায়নের শাস্তিযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় তাঁকে ওই তারিখ থেকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। তবে সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি খোরপোশ ভাতা পাবেন।