সিলেট নগরীর মেজরটিলায় নিজের দেড় মাসের সন্তান ইনায়া রহমানকে হত্যা করেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আতিকুর রহমান। তিনি শিশুকে বাসার শৌচাগারে নিয়ে বঁটি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আতিকুরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে বুধবার বিকেলে মেজরটিলায় আতিকুর রহমানের ভাড়া বাসা থেকে শিশু ইনায়ার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে গলায় জখম অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয় আতিকুরকে। 

পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকালে আতিকুর রহমান পুলিশকে বলেন, সেদিন মাথাব্যথার কারণে হঠাৎ কী হয়েছিল বুঝতে পারেননি।

তিনি আরও জানান, আতিকুরের জবানবন্দি, তার স্ত্রীর বক্তব্যসহ অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, আতিকুরই নিজ সন্তানকে হত্যা করেছেন। তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের টংঘর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শাহপরাণ (রহ.

) থানায় হত্যা মামলা হবে।

নিহত শিশুর মা ঝুমা বেগম বলেন, সেদিন দুপুরে তিনজনই ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুম থেকে উঠে ঝুমা দেখেন, তাঁর স্বামী বঁটি দিয়ে নিজের গলা কাটছেন। আর পাশে মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে।

ঝুমার বোন নাজমা বেগম বলেন, ‘আমার বোন ফোনে চিৎকার দিয়ে বলে, মেয়েকে জবাই করে আতিকুর নিজের গলা কাটছে। এর পর আমরা সবাই দৌড়ে সেখানে যাই।’

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের প্রধান ডা. নুরুল হুদা নাঈম বলেন, আতিকুর রহমানের গলার আঘাত বেশ বড়। তার শ্বাসনালি অনেকটা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তিনি আমাদের পর্যবেক্ষণে আছেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করেন বাবা, বলছে পুলিশ

সিলেট নগরীর মেজরটিলায় নিজের দেড় মাসের সন্তান ইনায়া রহমানকে হত্যা করেন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আতিকুর রহমান। তিনি শিশুকে বাসার শৌচাগারে নিয়ে বঁটি দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আতিকুরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে বুধবার বিকেলে মেজরটিলায় আতিকুর রহমানের ভাড়া বাসা থেকে শিশু ইনায়ার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে গলায় জখম অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয় আতিকুরকে। 

পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকালে আতিকুর রহমান পুলিশকে বলেন, সেদিন মাথাব্যথার কারণে হঠাৎ কী হয়েছিল বুঝতে পারেননি।

তিনি আরও জানান, আতিকুরের জবানবন্দি, তার স্ত্রীর বক্তব্যসহ অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, আতিকুরই নিজ সন্তানকে হত্যা করেছেন। তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের টংঘর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শাহপরাণ (রহ.) থানায় হত্যা মামলা হবে।

নিহত শিশুর মা ঝুমা বেগম বলেন, সেদিন দুপুরে তিনজনই ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুম থেকে উঠে ঝুমা দেখেন, তাঁর স্বামী বঁটি দিয়ে নিজের গলা কাটছেন। আর পাশে মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে।

ঝুমার বোন নাজমা বেগম বলেন, ‘আমার বোন ফোনে চিৎকার দিয়ে বলে, মেয়েকে জবাই করে আতিকুর নিজের গলা কাটছে। এর পর আমরা সবাই দৌড়ে সেখানে যাই।’

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের প্রধান ডা. নুরুল হুদা নাঈম বলেন, আতিকুর রহমানের গলার আঘাত বেশ বড়। তার শ্বাসনালি অনেকটা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তিনি আমাদের পর্যবেক্ষণে আছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ