পবিপ্রবির এক অধ্যাপককে ‘সহযোগী অধ্যাপক’ হিসেবে পদাবনতি
Published: 28th, June 2025 GMT
নারী শিক্ষার্থীকে মানসিক নিপীড়ন ও যৌন হেনস্তার অভিযোগে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম আবদুল আহাদ বিশ্বাসকে তিন বছরের জন্য সহযোগী অধ্যাপক পদে অবনমিত করা হয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
চাকরি সংক্রান্ত একটি তদন্ত কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা করে ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ৫৫তম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
আদেশ অনুযায়ী, অবনমনকালীন তিন বছর ড.
তবে তিন বছর পর নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে তিনি পূর্বের পদ ও স্কেলে পশুবিজ্ঞান বিভাগে যোগ দিতে পারবেন। অবনমনকালীন এই সময়সীমা তার সক্রিয় চাকরিকাল হিসেবে গণ্য হবে না।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগ ওঠার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ড. আহাদ বিশ্বাসকে তাৎক্ষণিকভাবে সব শিক্ষা ও পরীক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয় এবং সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। তার অভিযোগে বলা হয়, ওই শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে তাকে মানসিকভাবে নিপীড়ন করতেন, ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ ও অপমানজনক মন্তব্য করতেন এবং একাধিকবার যৌন হেনস্তার চেষ্টা করেন। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এছাড়াও ড. আহাদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নম্বর আটকে দেওয়া, পরীক্ষায় অনৈতিকভাবে নম্বর কেটে দেওয়া এবং টানা ৪-৫ ঘণ্টা ধরে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। গত বছরের ১৮ নভেম্বর ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ নিয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ড. আহাদ বিশ্বাসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আহ দ ব শ ব স
এছাড়াও পড়ুন:
ছক্কার সব রেকর্ড কি ভাঙবে এবার, পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও
টি-টোয়েন্টি ছক্কার খেলা। এতটাই যে আফগানিস্তানের প্রধান টি-টোয়েন্টি লিগের নাম শ্পাগিজা ক্রিকেট লিগ বা ছক্কা ক্রিকেট লিগ। ছক্কার সেই ক্রিকেটে দিন দিন ছক্কার পরিমাণ শুধু বাড়ছেই। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেই গত বছর মোট ছক্কার রেকর্ড হয়েছে। তাতে অবশ্য দল ও ম্যাচের সংখ্যারও অবদান আছে। ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ৫,৯৯৮টি ছক্কা দেখেছিল।
২০২৫ সালের দুই-তৃতীয়াংশ কাটতে না কাটতেই হুমকির মুখে পড়ে গেছে সেই রেকর্ড। এ বছর এ পর্যন্ত ৩,৬৫৭টি ছক্কা দেখে ফেলেছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। বছরের শেষ পাঁচ মাসে আর ২,৩৪৩টি ছক্কা হলেই প্রথমবার ৬ হাজার ছক্কার মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি।
এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ছক্কাগত বছর ৬৫৪টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছিল। এবার ১১ আগস্ট পর্যন্ত ম্যাচ হয়েছে ৩২৪টি। এবার ম্যাচপ্রতি যে পরিমাণ ছক্কা হচ্ছে, রেকর্ড ভাঙতে ৬৫৪টি ম্যাচের দরকার হবে না। এবার প্রতি ম্যাচে গড়ে ছক্কা হয়েছে ১১.২৯টি। ম্যাচপ্রতি ছক্কায় ২০২৫–এর চেয়ে ওপরে থাকে শুধু ২০১৮ সাল। সে বছর ম্যাচপ্রতি ছক্কা ছিল ১১.৯৪, মোট ছক্কা ছিল ৯৬৭টি। সে বছর অবশ্য ম্যাচ হয়েছিল মোটে ৮১টি।
ম্যাচপ্রতি ছক্কায় শীর্ষ পাঁচ বছরছক্কার প্রভাব পড়েছে স্কোরকার্ডেও। এ বছর ব্যাটসম্যানদের মোট রানের ২৬.২৯ শতাংশই এসেছে ছক্কায়। অর্থাৎ, চার ভাগের এক ভাগ রানই এসেছে ছক্কা থেকে। এবারই প্রথমবার শতকরা হিসাবে ছক্কার অবদান ২৫ ছাড়াল। আগের রেকর্ডটা ছিল ২৪.৬৮, ২০১৮ সালের ঘটনা সেটি।
এ বছর ৭৪টি ছক্কা মেরে সূর্যকুমার যাদবের এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড ভেঙেছেন অস্ট্রিয়ার করণবীর সিং