বই বিপণিকেন্দ্র ও প্রকাশনা সংস্থা বাতিঘরের কর্ণধার দীপঙ্কর দাশকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর ছেড়ে দিল পুলিশ। আজ শনিবার বেলা একটার দিকে তাঁকে চট্টগ্রাম নগরের বাতিঘরের জামালখান শাখা থেকে নিয়ে যায় কোতোয়ালি থানার একদল পুলিশ।

বাতিঘরের কর্মীরা জানান, বেলা পৌনে একটার দিকে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুবেল আফরাদ বাতিঘরে আসেন। এ সময় তিনি দীপঙ্কর দাশকে বলেন, পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন। এরপর পুলিশের গাড়িতে করে দীপঙ্করকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি) মাহফুজুর রহমান বলেন, তিনি চায়ের দাওয়াত দেননি। দীপঙ্করের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা আছে। ওই মামলাসংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার জন্য তাঁকে কোতোয়ালি থানায় নিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, নগরের নিউমার্কেট এলাকায় গত বছরের ৪ জুলাই ছাত্র–জনতার সমাবেশে হামলার অভিযোগে হওয়া একটি মামলায় আসামিদের তালিকায় দীপঙ্কর দাশের নাম রয়েছে। মামলাটিতে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর মামলাটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাফহীমুল ইসলাম। মামলাটিতে আসামির সংখ্যা ৭৩৫। এর মধ্যে ২৩৫ নম্বরে দীপঙ্করের নাম রয়েছে।

বেলা ২টা ১০ মিনিটের দিকে বাতিঘরের কর্ণধার দীপঙ্কর দাশ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে মামলাসম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। আমি বলেছি—এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’

জানতে চাইলে কোতোয়ালি থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে বাইরে আছি। বিষয়টি জানি না। তবে হয়তো তাঁকে মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। আমি আপনাকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে পরে ফিডব্যাক দিব।’

সারা দেশে বাতিঘরের ছয়টি বই বিপণিকেন্দ্র রয়েছে। আজ শনিবার বাতিঘর চট্টগ্রামের জন্মদিন (প্রতিষ্ঠার সময়)। এ উপলক্ষে বিকেলে বাতিঘরের জামালখান কার্যালয়ে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। এতে সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেনের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ত ঘর র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদে ছাড় নয়

জুলাই সনদের ক্ষেত্রে সরকারকে এক বিন্দুও ছাড় দেবেন না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গত এক বছর ছাড় দিয়েছি। জুলাই ঘোষণাপত্রে ছাড় দিয়েছি। জুলাই সনদে কোনো ছাড় হবে না। এক পার্সেন্ট ছাড়ও জুলাই সনদে দেওয়া হবে না।’

আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার এনসিপির যুব সংগঠন জাতীয় যুব শক্তি আয়োজিত ‘জাতীয় যুব সম্মেলন ২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘যে মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা জনগণের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, যে নতুন বন্দোবস্তের কথা আমরা বলেছি, সেটিতে গণতন্ত্র নিশ্চিত হবে, স্বৈরাচার আর ফিরে আসতে পারবে না। রাষ্ট্রকাঠামোকে গণতান্ত্রিক হিসেবে গড়ে তুলব। সে জুলাই সনদে আমরা এক বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেব না।’

নাহিদ বলেন, বাংলাদেশের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে স্থিতিশীলতা এবং জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা। যদি রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে না পারে, দেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে নিজেদের মধ্যে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা তৈরি না হয়, তাহলে আরেকটি এক–এগারো আসবে। কারণ, ইতিহাসে এটাই দেখা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, সমীকরণ এখনো শেষ হয়ে যায় নাই। ফলে যারা এখনই সমীকরণ মিলিয়ে ফেলছে, তারা ভুল পথে হাঁটছে। গণ-অভ্যুত্থানের শক্তি এখনো রাজপথে আছে।’

আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে এনসিপির যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তি আয়োজিত ‘জাতীয় যুব সম্মেলন ২০২৫’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ