নিমের ওষুধি গুণের কথা কমবেশি সবারই জানা। নিয়মিত কয়েকটি নিমপাতা খেলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা কমে। তবে দিনের অন্যান্য সময়ে তুলনায় খালি পেটে এই পাতা চিবোলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। প্রাচীন আয়ুর্বেদ চিকিৎসাতেও খালি পেটে নিম পাতা খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্যকর উপকারিতার কথা উল্লেখ করেছে।

আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, খালি পেটে নিম পাতা চিবানো খুবই উপকারী। মুখ পরিষ্কার করতে, দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে ও হজমশক্তি ভালো করতে সাহায্য করে এই পাতা। পাশাপাশি নিম রক্ত ​​শোধন ও ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই সহায়ক।

পেটের সমস্যা কমায়
আয়ুর্বেদের মতে, নিম পাতায় থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্যে শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।  প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩-৪টি কচি নিম পাতা চিবিয়ে খেলে পেটের অনেক ধরনের সমস্যা যেমন-গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেট ফাঁপা হওয়ার মতো সমস্যা কমে। 

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে 
নিম পাতায় পাওয়া রস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিম পাতায় ফ্ল্যাভোনয়েড, গ্লাইকোসাইড, টারপেনয়েড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো উপাদান থাকে। নিম পাতা শরীরের কোষগুলিকে ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীল করে তোলে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা ভারসাম্যপূর্ণ রাখে।

নিম পাতা ত্বককে ভেতর থেকে ডিটক্স করে, যার ফলে শরীরে উপস্থিত সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় এবং ত্বকও সুস্থ থাকে।  যারা ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তারা তাদের দৈনন্দিন রুটিনে নিম পাতা অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

লিভারকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে
নিম পাতা খাওয়া বিপাক উন্নত করে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। সকালে খালি পেটে নিম পাতা চিবিয়ে খেলে লিভার সুস্থ থাকে। নিম লিভারকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে।

দাঁত শক্তিশালী হয়
সকালে খালি পেটে নিম পাতা চিবিয়ে খেলে দাঁতের গর্ত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, এগুলি মুখের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। নিম পাতা চিবিয়ে খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়, মাড়ির প্রদাহ কমায় এবং দাঁত শক্তিশালী হয়।

সর্দি নিরাময়ে

সর্দি বসে গেলে নিম পাতার বেটে বেশ কয়েক ফোঁটা রস হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খান। উপকার পাবেন।

খুশকি দূর করতে 

খুশকি দূর করতে নিমপাতার সিদ্ধ করা পানি ভালো করে মাথায় লাগিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এতে ভালো কাজ হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স হ য য কর উপক র সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

বিটিভিতে আবার শোনা যাবে, ‘আমরা নতুন, আমরা কুঁড়ি...’

প্রায় দুই দশকের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ফিরছে নতুন কুঁড়ি। গত মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব পেজে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। এই খবর শুনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়েছেন—কারও মনে পড়েছে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার স্মৃতি, কারও মনে ভেসে উঠেছে শৈশবের প্রিয় অনুষ্ঠানটির দৃশ্য। ফেসবুকে অনেকে ছবিও শেয়ার করেছেন।
১৯৬৬ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে প্রথম প্রচারিত হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছিল কবি গোলাম মোস্তফার ‘কিশোর’ কবিতা থেকে। যার প্রথম ১৫ লাইন অনুষ্ঠানের সূচনাসংগীত হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে মোস্তফা মনোয়ারের প্রযোজনায় আবার শুরু হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। সে সময় বিটিভির অন্যতম আলোচিত এই অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে শিশু-কিশোরদের স্বপ্নের মঞ্চ। নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসা তরুণেরা গান, নাচ, অভিনয়, আবৃত্তি, গল্পবলা, কৌতুকসহ বিভিন্ন শাখায় নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ পান। ২০০৫ সাল পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান। পরে নানা কারণে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় বিটিভি। ২০২০ সালে অনুষ্ঠানটি আবার শুরু করার খবর শোনা গিয়েছিল। কিন্তু পরে বলা হয়, কোভিড মহামারির কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি।
তিন দশকে নতুন অনেক তারকার জন্ম দিয়েছে নতুন কুঁড়ি। অনেকে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, নাট্যাঙ্গন ও সংগীতজগতে নিজস্ব অবস্থান গড়ে তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন তারানা হালিম, রুমানা রশিদ ঈশিতা, তারিন জাহান, মেহের আফরোজ শাওন, নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ আরও অনেকে। এ তালিকায় আছেন সামিনা চৌধুরীসহ অনেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীও।

নতুন কুঁড়ির এ ছবিটি অভিনেত্রী শাওন ফেসবুকে শেয়ার করেছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ