স্থায়ী আবাসন ও পেশাগত মর্যাদা নিশ্চিত করতে হরিজনদের ১৪ দফা
Published: 28th, June 2025 GMT
পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের স্থায়ী আবাসন ও পেশাগত মর্যাদা নিশ্চিত করতে চলমান রাষ্ট্রীয় সংস্কারে ১৪ দফা দাবি অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে ‘পরিত্রাণ’ ও ‘বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ’। এ সময় জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ‘বৈষম্যবিরোধী বিল- ২০২২’ পুনরায় সংশোধনেরও দাবি তোলা হয়।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। ‘পরিচ্ছন্নতা খাতে নিয়োজিত স্যানিটেশন শ্রমিক ও হরিজন জনগোষ্ঠীর শ্রমের ন্যায্য অধিকার, মানবাধিকার সুরক্ষা ও পেশাগত মর্যাদা নিশ্চয়নে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের অন্তর্ভুক্তি’ শিরোনামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো তুলে ধরেন বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণলাল।
দাবিগুলো হলো- হরিজন জনগণের বসবাসের স্থানটির স্থায়ী বন্দোবস্ত, জন্মসনদ ও নাগরিকত্বের পরিচয়ে সঠিকভাবে স্বীকৃতি, সরকারি আবাসনে প্রবেশাধিকার, বিনা নোটিশে উচ্ছেদ বন্ধ ঘোষণা করা, সরকারের প্রতিটি পরিকল্পিত উন্নয়ন কাজে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, প্রযুক্তি ও সুরক্ষাসামগ্রী প্রদান, চাকরি স্থায়ীকরণ, স্বাস্থ্যসুরক্ষা ও ঝুঁকি বীমা চালু, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও পদোন্নতির ব্যবস্থা করা, জাতীয় বাজেটে অগ্রাধিকার দেওয়া, হরিজন কোটা চালুকরণ, ক্লিনার ইন্সপেক্টর (সিআই) নিয়োগ, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু করা, নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা করা, জাতপাতের বৈষম্য নির্মূল করা।
রিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণলাল বলেন, বাংলাদেশে বসবাসরত প্রায় ১৫ লাখ হরিজন জনগোষ্ঠী প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এ দেশের শহর, নগরের জীবন্ত ও পরিচ্ছন্ন রক্ষা মূল কারিগর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা পরিচ্ছন্নতা খাতের স্যানিটেশন শ্রমিক আমাদের কঠোর পরিশ্রম ছাড়া নগর জীবন অচল। রাষ্ট্রের নীতি-প্রতিশ্রুতির আর বাস্তবতার ব্যবধান পাহাড় সমান।
তিনি আরও বলেন, এই ১৪ দফা দাবি বাস্তবায়ন করে মানবাধিকার সুরক্ষা, সামাজিক সাম্য নিশ্চিত করে রাষ্ট্র সংস্কারের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের তরুণ ছাত্রসমাজের যে অঙ্গীকার রয়েছে সেটার বাস্তবায়ন চাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট উৎফল বিশ্বাস, হরিজন ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব প্রদীপ হেল প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন শ চ ত কর স রক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ