জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে পুরো জুলাই মাস এবং ৮ আগস্ট পর্যন্ত আলোচনা সভা, সেমিনার, দোয়া মাহফিল, গণমিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১ জুলাই থেকে জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচি শুরু হবে। ওই দিন গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ, আহত ও পঙ্গুত্বের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের জন্য দেশব্যাপী শাখায় শাখায় দোয়া অনুষ্ঠান হবে। ২ থেকে ৪ জুলাই দরিদ্র, অসহায়, দুস্থ ও এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে। আর ৮ থেকে ১৫ জুলাই শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ, মতবিনিময় ও দোয়া অনুষ্ঠান করবেন জামায়াতের নেতা-কর্মীরা।

আগামী ১৬ জুলাই রংপুরে শহীদ আবু সাঈদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করবে জামায়াতে ইসলামী। ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ এবং শহীদ পরিবারদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে দলের আমির অংশ নেবেন। ২০ থেকে ২৪ জুলাই সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম, ২৫ থেকে ২৮ জুলাই তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ২৯ ও ৩০ জুলাই নারী ও ছাত্রীদের উদ্যোগে আলোচনা সভা করা হবে।

আগামী ১ আগস্ট জাতীয় সেমিনার এবং শহীদ স্মারকের ইংরেজি ও আরবি অনুবাদের মোড়ক উন্মোচন করা হবে বলে জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি বলছে, আগামী ১ থেকে ৩ আগস্ট ছাত্রদের উদ্যোগে আলোকচিত্র প্রদর্শনী কর্মসূচি পালন করা হবে। ৫ আগস্ট দেশব্যাপী গণমিছিল এবং রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে অংশগ্রহণ করা হবে।

৬ থেকে ৮ আগস্ট সাংবাদিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী ও আলেম-ওলামাদের উদ্যোগে আলোচনা সভা করবে জামায়াতে ইসলামী।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ইসল ম আগস ট

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ